'দারুণ আলাদা একা অভিমানী এই ক্যাকটাস।
যেন কোন বোবা রমণীর সখী ছিলো দীর্ঘকাল
কিংবা আজন্ম শুধু দেখেছে আকাল
এরকম ভাব-ভঙ্গি তার।
ধ্রুপদী আঙিনা ব্যাপী কন্টকিত হাহাকার আর অবহেলা,
যেন সে উদ্ভিদ নয়
তাকালেই মনে হয় বিরান কারবালা।'
------- হেলাল হাফিজ
ক্যাকটাস সত্যি অন্য রকম। আর সব গাছের মতো, ফুলের মতো নয়। সাদা চোখে প্রাণহীন দেখায় বটে। বাস্তবে এর ভরপুর প্রাণ। বহু বছর বাঁচে। সৌন্দর্য বিলি করে। এভাবে বছরের পর বছর বাসার বারান্দা বা ছাদের টবে টিকে থাকে। ড্রইংরুমেও নির্ঝঞ্ঝাট ক্যাকটাস। সব মিলিয়ে সৌন্দর্যপ্রেমীদের ভীষণ প্রিয়।
খুবসহজে চোখে পড়ে এর সৌন্দর্যটা। অবশ্য ক্যাকটাসের বেলায় খুব যে যত্নের দরকার হয়, তাও নয়। বিশেষ পরিচর্যা ছাড়াই দিব্যি বেঁচে থাকে। আলো-বাতাস-পানির তেমন দরকার হয় না। বৃদ্ধির জন্য জায়গায়ও লাগে কম। কাঁটা এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। নিন্দুকেরা বলেন, ক্যাকটাস খুব স্বার্থপর! সহজে কারও উপকারে আসে না। গায়ে কোন পোকার মাকড় বসবে? খাদ্য খুঁজবে? না, সে সুযোগ দেয় না ক্যাকটাস। এর গায়ের ঘন কাঁটা তাদের রুখে দেয়। ক্যাকটাস শেকড় দিয়ে আশপাশের সব গাছের পানি নাকি একলা শুষে নেয়, আছে এমন অভিযোগও! এর ফলে ক্যাকটাসের পাশে অন্য কোন গাছ নাকি স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়ে উঠতে পারে না। তবে ক্যাকটাসের সৌন্দর্য এসব সমালোচনাকে পেছনে ফেলে দেয়। বিশেষ করে যখন ফুল ফোটে তখন অন্য রকম মুগ্ধতা নিয়ে তাকাতে হয় ক্যাকটাসের দিকে। তবে খুব স্থায়ী হয় না ক্যাকটাসের ফুল। অধিকাংশই দু’এক দিনের মধ্যে ঝরে পড়ে। তবে বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, কোন কোন গাছ বেঁচে থাকে তিন শ’ বছর পর্যন্ত! মূলত রাতে ফুল ফোটে। ফুলের রং সাধারণত সাদা। বাহারি ফুল ফোটে দিনের বেলায়। হলুদ, লাল, গোলাপি, বেগুনি আরো কত কত রং!
বনসাইয়ের মতো ক্যাকটাস নিয়ন্ত্রণ করে বা প্রুনিং করে বছরের পর বছর ঘরের ভেতর রাখা যায়।
যেন কোন বোবা রমণীর সখী ছিলো দীর্ঘকাল
কিংবা আজন্ম শুধু দেখেছে আকাল
এরকম ভাব-ভঙ্গি তার।
ধ্রুপদী আঙিনা ব্যাপী কন্টকিত হাহাকার আর অবহেলা,
যেন সে উদ্ভিদ নয়
তাকালেই মনে হয় বিরান কারবালা।'
------- হেলাল হাফিজ
ক্যাকটাস সত্যি অন্য রকম। আর সব গাছের মতো, ফুলের মতো নয়। সাদা চোখে প্রাণহীন দেখায় বটে। বাস্তবে এর ভরপুর প্রাণ। বহু বছর বাঁচে। সৌন্দর্য বিলি করে। এভাবে বছরের পর বছর বাসার বারান্দা বা ছাদের টবে টিকে থাকে। ড্রইংরুমেও নির্ঝঞ্ঝাট ক্যাকটাস। সব মিলিয়ে সৌন্দর্যপ্রেমীদের ভীষণ প্রিয়।
খুবসহজে চোখে পড়ে এর সৌন্দর্যটা। অবশ্য ক্যাকটাসের বেলায় খুব যে যত্নের দরকার হয়, তাও নয়। বিশেষ পরিচর্যা ছাড়াই দিব্যি বেঁচে থাকে। আলো-বাতাস-পানির তেমন দরকার হয় না। বৃদ্ধির জন্য জায়গায়ও লাগে কম। কাঁটা এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। নিন্দুকেরা বলেন, ক্যাকটাস খুব স্বার্থপর! সহজে কারও উপকারে আসে না। গায়ে কোন পোকার মাকড় বসবে? খাদ্য খুঁজবে? না, সে সুযোগ দেয় না ক্যাকটাস। এর গায়ের ঘন কাঁটা তাদের রুখে দেয়। ক্যাকটাস শেকড় দিয়ে আশপাশের সব গাছের পানি নাকি একলা শুষে নেয়, আছে এমন অভিযোগও! এর ফলে ক্যাকটাসের পাশে অন্য কোন গাছ নাকি স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়ে উঠতে পারে না। তবে ক্যাকটাসের সৌন্দর্য এসব সমালোচনাকে পেছনে ফেলে দেয়। বিশেষ করে যখন ফুল ফোটে তখন অন্য রকম মুগ্ধতা নিয়ে তাকাতে হয় ক্যাকটাসের দিকে। তবে খুব স্থায়ী হয় না ক্যাকটাসের ফুল। অধিকাংশই দু’এক দিনের মধ্যে ঝরে পড়ে। তবে বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, কোন কোন গাছ বেঁচে থাকে তিন শ’ বছর পর্যন্ত! মূলত রাতে ফুল ফোটে। ফুলের রং সাধারণত সাদা। বাহারি ফুল ফোটে দিনের বেলায়। হলুদ, লাল, গোলাপি, বেগুনি আরো কত কত রং!
বনসাইয়ের মতো ক্যাকটাস নিয়ন্ত্রণ করে বা প্রুনিং করে বছরের পর বছর ঘরের ভেতর রাখা যায়।