গুহাযুগ থেকে আজ ,অনন্তকাল ধরে তুমি আছো ,
তুমি ফুটে আছো এক নিষ্পাপ বিশুদ্ধ স্নিগ্ধতা নিয়ে,
হে অনন্তলতা ।
কি আশ্চর্য প্রানসক্তি , অনন্তকাল ধরে টিকে আছো স্বমহিমায়, তুমি বারবার
বেঁচে ওঠো ফিনিক্স পাখির মত !
আমাকে চেনা , দেখার ভালবাসার পর আর
নিজেকে দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্ত মনে হয় না আমার, তুমি শতাব্দীর পর শতাব্দী
পুস্পিত করে তুলেছ গুহামানবের গুহা থেকে ,আমার শখের বাগান।
ইতিহাসে একমাত্র তুমিই সুস্থ, অন্যরা ভীষণ অসুস্থ,
শহর আর সভ্যতার ময়লা স্রোত ভেঙে তুমি যখন আমার বাগানে
আমার হাত ছুঁয়ে যাও, তখন আমার মনে হয় এ-শহর, আর বিংশ শতাব্দীর
জীবন ও সভ্যতায়, একটি নীলিমার-ছোঁয়া। ......।
আজকের পপকর্নকে আমরা প্রায় সবাই চিনি , অনন্তলতার রূপসী ফলের দেহে লেখা আছে আধুনিক পপকর্ন আর সনাতন খইয়ের ইতিহাস। প্রত্নত্ত্ববিদরা পপকর্নের যে অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছেন তা কমপক্ষে ৮০ হাজার বছর আগেকার, অর্থাৎ গুহাবাসীরাও পপকর্নের ব্যবহার জানতো। ৫৬০০ বছর আগেকার মেক্সিকোর বাদুড় অধ্যুষিত গুহায় (Bat Cave) পাওয়া গেছে অনন্তলতার বীজের অস্তিত্ব। প্রাচীনকালে অনন্তলতার খই ছিল এক ধরনের দরকারি খাবার।শুধু খাবার নয়,সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত, নানা রকম চিকিৎসায় বিভিন্ন দেশে (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ঠান্ডাজনিত রোগে) অনন্তলতার ব্যবহার দেখা যায়।
অনন্ত কাল ধরে স্বমহিমায় টিকে আছে অদ্যাবধি, সে কারণে অনন্তলতা। সুন্দর ফুল
দেখে যুগে যুগে আবেগী মানুষ লাভ চেইন, লাভ ভাইন, আরো কতো রোম্যান্টিক
বিশেষণে ভূষিত করেছে তাকে। যদিও শোভাবর্ধক লতা হিসাবে এর খুব একটা
জনপ্রিয়তা নেই। আমাদের সখের বাগানে খুব একটা চোখে পড়ে না। বরং আগাছা
হিসাবেই এর পরিচিতি বেশি। প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপগুলোতে আগাছা হিসেবে এরা
চরম আকার ধারণ করেছে। অস্ট্রেলিয়া, ফ্লোরিডাতে চিহ্নিত হয়েছে আগ্রাসী
আগাছা (Exotic Pest Control Council, Florida) হিসেবে। আদিবাস মেক্সিকো
থেকে সারা দুনিয়াতে এই গাছ ছড়িয়েছে কচুরি পানার মতো। প্রচন্ড মৃত্তিকা ও
বায়ু দূষণের মধ্যেও বছর বছর ধরে বহাল তবিয়তে টিকে থাকে এরা। যে কোন গাছকে
জড়িয়ে, পাঁচিল বা বাড়ির ছাদে অনন্তলতা অহরহ দেখা যায়। লতানো স্বভাবের হওয়ায়
যে কোনো বাহন পেলেই অনেকদূর অবধি উঠতে পারে। প্রস্ফুটন প্রাচুর্য
দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় সব ধরনের বাগানেই এ গাছ আদর্শ। তাছাড়া বিশেষ উদ্যানশৈলীর
ক্ষেত্রেও বিভিন্ন নকশায় এ গাছ উপস্থাপন করা যায়।
গ্রীষ্মকালের শুরু থেকে তবে থাকে বর্ষা-শরত্ অবধি,থেকে যায় অনন্তলতার ফুল ফোটার রেশ । পাঁচটি পাঁপড়ি যুক্ত। ফুলের রূপ সহজে ম্লান হয় না।ফুল দেখতে ছোট হলেও বৃত্যাংশ বড় হয়।ফুলের আদল অনেকটা বাগানবিলাস বা বগেনভলিয়ার মত, তবে অনেকটাই ছোটো , অনেকেই বৃত্যাংশকেই ফুল বলে ভুল করে থাকে। অন্যান্য দেশে এর প্রকারভেদ থাকলেও আমাদের দেশে সাধারণত সাদা ও গাঢ় লাল বা গোলাপি রঙের ফুল দেখা যায়। গোলাপি রঙের ফুলের বৃত্যাংশ পাঁচটি ও রঙিন।
একটু দূর থেকে গাছ দেখে মনে হয়, গাছে বুঝি ফল ধরে না। অথচ সারা গাছে ধরে থাকে ৪-৬ মিলিমিটারের ছোটো ছোটো ফল দেখতে অনেকটা আমাদের ছেলেবেলায় খেলা লাট্টুর মতো । ফলগুলি লুকিয়ে থাকে ফুলের ৫ পাঁপড়ির নিচে, খানিকটা ভাঁট ফুল ও ফলের মতো ।
এর বংশবিস্তার সাধারনত বীজ ও কন্দ থেকে হয়। বীজগুলো জলে ভাসে, ভেসে চলে যায় দূরে। ডাঙ্গার দেশে পাখিরা খায়, হরিণ, ছাগল জাতীয় তৃণভোজী প্রাণী ও বাদুর জাতীয় প্রাণীরও খাদ্য। খাবারের মাধ্যমে বীজ চলে যায় আরেক জায়গায়। গাছ ধ্বংস হয়ে গেলেও আগুন লেগে ছাই হয়ে যায় চারদিক কিন্তু গাছের নিচের কন্দ আর সাকার-রুট (Succer Root) থেকে নতুন করে জন্ম হয় অক্ষয় অনন্তলতার।
তুমি ফুটে আছো এক নিষ্পাপ বিশুদ্ধ স্নিগ্ধতা নিয়ে,
হে অনন্তলতা ।
কি আশ্চর্য প্রানসক্তি , অনন্তকাল ধরে টিকে আছো স্বমহিমায়, তুমি বারবার
বেঁচে ওঠো ফিনিক্স পাখির মত !
আমাকে চেনা , দেখার ভালবাসার পর আর
নিজেকে দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্ত মনে হয় না আমার, তুমি শতাব্দীর পর শতাব্দী
পুস্পিত করে তুলেছ গুহামানবের গুহা থেকে ,আমার শখের বাগান।
ইতিহাসে একমাত্র তুমিই সুস্থ, অন্যরা ভীষণ অসুস্থ,
শহর আর সভ্যতার ময়লা স্রোত ভেঙে তুমি যখন আমার বাগানে
আমার হাত ছুঁয়ে যাও, তখন আমার মনে হয় এ-শহর, আর বিংশ শতাব্দীর
জীবন ও সভ্যতায়, একটি নীলিমার-ছোঁয়া। ......।
ছবি- কবিতা নাসরিন সৃষ্টি |
আজকের পপকর্নকে আমরা প্রায় সবাই চিনি , অনন্তলতার রূপসী ফলের দেহে লেখা আছে আধুনিক পপকর্ন আর সনাতন খইয়ের ইতিহাস। প্রত্নত্ত্ববিদরা পপকর্নের যে অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছেন তা কমপক্ষে ৮০ হাজার বছর আগেকার, অর্থাৎ গুহাবাসীরাও পপকর্নের ব্যবহার জানতো। ৫৬০০ বছর আগেকার মেক্সিকোর বাদুড় অধ্যুষিত গুহায় (Bat Cave) পাওয়া গেছে অনন্তলতার বীজের অস্তিত্ব। প্রাচীনকালে অনন্তলতার খই ছিল এক ধরনের দরকারি খাবার।শুধু খাবার নয়,সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত, নানা রকম চিকিৎসায় বিভিন্ন দেশে (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ঠান্ডাজনিত রোগে) অনন্তলতার ব্যবহার দেখা যায়।
ছবি - গুগল |
গ্রীষ্মকালের শুরু থেকে তবে থাকে বর্ষা-শরত্ অবধি,থেকে যায় অনন্তলতার ফুল ফোটার রেশ । পাঁচটি পাঁপড়ি যুক্ত। ফুলের রূপ সহজে ম্লান হয় না।ফুল দেখতে ছোট হলেও বৃত্যাংশ বড় হয়।ফুলের আদল অনেকটা বাগানবিলাস বা বগেনভলিয়ার মত, তবে অনেকটাই ছোটো , অনেকেই বৃত্যাংশকেই ফুল বলে ভুল করে থাকে। অন্যান্য দেশে এর প্রকারভেদ থাকলেও আমাদের দেশে সাধারণত সাদা ও গাঢ় লাল বা গোলাপি রঙের ফুল দেখা যায়। গোলাপি রঙের ফুলের বৃত্যাংশ পাঁচটি ও রঙিন।
একটু দূর থেকে গাছ দেখে মনে হয়, গাছে বুঝি ফল ধরে না। অথচ সারা গাছে ধরে থাকে ৪-৬ মিলিমিটারের ছোটো ছোটো ফল দেখতে অনেকটা আমাদের ছেলেবেলায় খেলা লাট্টুর মতো । ফলগুলি লুকিয়ে থাকে ফুলের ৫ পাঁপড়ির নিচে, খানিকটা ভাঁট ফুল ও ফলের মতো ।
ছবি - কবিতা নাসরিন সৃষ্টি |
এর বংশবিস্তার সাধারনত বীজ ও কন্দ থেকে হয়। বীজগুলো জলে ভাসে, ভেসে চলে যায় দূরে। ডাঙ্গার দেশে পাখিরা খায়, হরিণ, ছাগল জাতীয় তৃণভোজী প্রাণী ও বাদুর জাতীয় প্রাণীরও খাদ্য। খাবারের মাধ্যমে বীজ চলে যায় আরেক জায়গায়। গাছ ধ্বংস হয়ে গেলেও আগুন লেগে ছাই হয়ে যায় চারদিক কিন্তু গাছের নিচের কন্দ আর সাকার-রুট (Succer Root) থেকে নতুন করে জন্ম হয় অক্ষয় অনন্তলতার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন