ফুল ও গাছ ভালোবাসেন না এমন মানুষ সত্যি ই বিরল ।এই নিয়ে আমার একটা মজার গল্প বলি ।
আগেই বলেছি আমাদের বাড়ি 'অঙ্কার ধাম' এর বাগান সেই বাবার আমল থেকে, ছোটবেলা থেকে ফুল আর পাখিদের মধ্যেই বড় হয়েছি। ৭৭ কি ৭৮ সাল হবে , আমার মাসির বিয়ে হল , মাসি ও নতুন মেসোমশায় আমাদের বাড়িতে এসেছেন , অত্যন্ত ভদ্র মানুষ, সরকারী চাকুরি করেন । বাবা অফিসে , ছুটির দিন ,বাগানে ঘোরাঘুরি করছি ,মেসোমশাই ঘুরে ঘুরে বাগান দেখছেন , আমাকে বললেন , ""আচ্ছা এত ফুলগাছ, তোমরা কি গাছ বিক্রি কর " ? আমি বললাম না না ,এ সবই শখের ,সৌন্দর্যের জন্য ,( প্রসঙ্গত জানাই ,তখন পাড়ায় পাড়ায় এত নার্সারীর চল ছিল না) । আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে নতুন মেসোমশাই বললেন ," সুন্দর ! টাকার চেয়ে সুন্দর জিনিষ আর কিছু হয় না। এ সব গাছ বিক্রির চেষ্টা কর ,তাতে ভালো হবে , না হলে এভাবে সময় নস্ট করে কোনো লাভ নেই" 😀😁😁
আমি হতভম্ব !!! আমি এমন অদ্ভুত কথা জীবনে শুনিনি !!! আজ এই প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে সেই অদ্ভুত মানুষটার কথা মনে পরায় এই 'ধান ভানতে শিবের গীত গেয়ে ফেললাম' ।
আগেই বলেছি আমাদের বাড়ি 'অঙ্কার ধাম' এর বাগান সেই বাবার আমল থেকে, ছোটবেলা থেকে ফুল আর পাখিদের মধ্যেই বড় হয়েছি। ৭৭ কি ৭৮ সাল হবে , আমার মাসির বিয়ে হল , মাসি ও নতুন মেসোমশায় আমাদের বাড়িতে এসেছেন , অত্যন্ত ভদ্র মানুষ, সরকারী চাকুরি করেন । বাবা অফিসে , ছুটির দিন ,বাগানে ঘোরাঘুরি করছি ,মেসোমশাই ঘুরে ঘুরে বাগান দেখছেন , আমাকে বললেন , ""আচ্ছা এত ফুলগাছ, তোমরা কি গাছ বিক্রি কর " ? আমি বললাম না না ,এ সবই শখের ,সৌন্দর্যের জন্য ,( প্রসঙ্গত জানাই ,তখন পাড়ায় পাড়ায় এত নার্সারীর চল ছিল না) । আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে নতুন মেসোমশাই বললেন ," সুন্দর ! টাকার চেয়ে সুন্দর জিনিষ আর কিছু হয় না। এ সব গাছ বিক্রির চেষ্টা কর ,তাতে ভালো হবে , না হলে এভাবে সময় নস্ট করে কোনো লাভ নেই" 😀😁😁
আমি হতভম্ব !!! আমি এমন অদ্ভুত কথা জীবনে শুনিনি !!! আজ এই প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে সেই অদ্ভুত মানুষটার কথা মনে পরায় এই 'ধান ভানতে শিবের গীত গেয়ে ফেললাম' ।
যুগ যুগ ধরে 'শক হুন দল পাঠান মোঘল' দের ও বিভিন্ন বিদেশী বনিক ও সবুজপ্রেমীদের হাত ধরে নানা গাছ ও ফুল এসেছে 'সুজলা সুফলা শস্য স্যামলা' আমাদের এই বাংলায় ।অনুকূল ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ুর সুবাদে বাংলা একটি উদ্ভিদসমৃদ্ধ অঞ্চল। অধিকন্তু হিমালয়, বর্মা-মালয় ও পূর্ব-ভারতের উদ্ভিদজগতের মিলনস্থল বিধায় এখানে প্রজাতির সংখ্যা ও বৈচিত্র্য অনেক। যুগ যুগ ধরে এমন সমৃদ্ধ প্রকৃতির মাঝখানে বসবাসকারী বাংলার মানুষ স্বভাবতই উদ্ভিদঘনিষ্ঠ ও পুষ্পপ্রেমিক, আর সেই সাক্ষ্য আছে বাংলার প্রাচীন ও মধ্যযুগের কাব্য, লোকগাথা ও লোকগীতিতে, এমনকি তাম্রলিপিতেও। হিন্দু ও বৌদ্ধ যুগে পূজা-অর্চনার জন্য ফুলের যোগান দিতে নিশ্চিতই বাগান ছিল গৃহাঙ্গন ও মন্দিরে, ধ্যানার্থীর তপোবনে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রাজন্য ও অভিজাতদের প্রাসাদে। এসব ফুলের সবই ছিল দেশজ ও বনজ। আজও আমাদের পাহাড় ও বনাঞ্চলে অনেক প্রজাতির ফুল আছে যেগুলি বাগানে লাগানো যায়। তবে মুগলরাই ভারতে প্রথম সংগঠিত ও নির্দিষ্ট নকশার উদ্যানরীতি প্রবর্তন করেন। তারাই এদেশে আনেন মধ্যপ্রাচ্যের গাছপালা (চিনার, গোলাপ, লিলি ইত্যাদি)। ঔপনেবিশক শাসনামলে পাশ্চাত্য প্রভাবাধীন হওয়ায় এদেশে মুগলশৈলীর উদ্যানের কোন বিবর্তন আর ঘটে নি। আজও ভারতীয় উদ্যান বলতে মুগল উদ্যানই বোঝায়।
এদেশের বাগানের গাছপালার সিংহভাগই বিদেশী। এগুলি এনেছেন রাজা-বাদশা, পরিব্রাজক, বণিক, উপনিবেশিক শাসক ও তাদের কর্মচারীরা। এদেশের বাগানের ফুলগুলির মধ্যে মায়ানমার ও মালয় ছাড়া আছে চীন, জাপান, আফ্রিকা ও ক্রান্তীয় আমেরিকার বহু প্রজাতি। পরিচিতির সুবিধার্থে এগুলিকে বৃক্ষ, গুল্ম, লতা, কন্দীয়-মূলীয় ও মৌসুমি ঔষধিতে শ্রেণিবদ্ধ করা যায়।
বৃক্ষ পুষ্পবৃক্ষ সাধারণত লাগানো হয় পার্ক, বড় বাগান, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যালয়ের চত্বরে। সুশ্রী পাতা, রঙিন প্রস্ফুটন ও মধুর গন্ধের জন্য এগুলি আকর্ষণীয়। উল্লেখযোগ্য বৃক্ষ: শিরীষ (Albizia lebbek, Parrot tree), ছাতিম (Alstonia scholaris, Devit’s tree), কদম (Anthocphalus chinensis, Kadamba), দেবকাঞ্চন (Bauhinia purpurea, Mountain ebony), রক্তকাঞ্চন (B. variegata, Purple orchid tree), শিমুল (Bombax ceiba, Red silk-cotton tree), পলাশ (Butea monosperma, Flame of the forest), বটলব্রাস (Callistemon citrinus), সোনালু সোনাইল/কর্ণিকার (Cassia fistula, Indian laburnum), লাল সোনাইল (C. javanica), মিনজিরি (C. siamea, Kassod tree), নাগলিঙ্গম (Couroupita guianensis, Cannonball tree), বরুণ (Crataeva nurvala, Caper tree), কৃষ্ণচূড়া (Delonix regia, Peacock flower), গ্লিরিসিডিয়া (Gliricidia sepium, Madre D’caeae), কুরচি/কূটজ/গিরিমল্লিকা (Holarrhena antidysenterica, Easter flower), জারুল (Lagerstroemia speciosa, Pride of India, Queen of flowers), বিলাতী জারুল (L. thorellii), হিমচাঁপা/উদয়পদ্ম (Magnolia grandifloara, Laural magnolia), নাগেশ্বর (Mesua nagassarium, Ironwood tree), স্বর্ণচাপা (Michelia champaca, Golden champa), বকুল (Mimusops elengi, Indian medlar), শেফালী (Nyctanthes arbor-tristis, Coral jasmine), পেল্টোফরাম (Peltophorum pterocarpum, Rusty shield bearer), কাঠগোলাপ/গৌরচাঁপা/গোলকচাঁপা, গোলাচি (Plumeria spp., Frangipani), অশোক (Saraca asoca), কলকে (Thevetia peruviana, Yellow oleander)।
এদেশের বাগানের গাছপালার সিংহভাগই বিদেশী। এগুলি এনেছেন রাজা-বাদশা, পরিব্রাজক, বণিক, উপনিবেশিক শাসক ও তাদের কর্মচারীরা। এদেশের বাগানের ফুলগুলির মধ্যে মায়ানমার ও মালয় ছাড়া আছে চীন, জাপান, আফ্রিকা ও ক্রান্তীয় আমেরিকার বহু প্রজাতি। পরিচিতির সুবিধার্থে এগুলিকে বৃক্ষ, গুল্ম, লতা, কন্দীয়-মূলীয় ও মৌসুমি ঔষধিতে শ্রেণিবদ্ধ করা যায়।
বৃক্ষ পুষ্পবৃক্ষ সাধারণত লাগানো হয় পার্ক, বড় বাগান, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যালয়ের চত্বরে। সুশ্রী পাতা, রঙিন প্রস্ফুটন ও মধুর গন্ধের জন্য এগুলি আকর্ষণীয়। উল্লেখযোগ্য বৃক্ষ: শিরীষ (Albizia lebbek, Parrot tree), ছাতিম (Alstonia scholaris, Devit’s tree), কদম (Anthocphalus chinensis, Kadamba), দেবকাঞ্চন (Bauhinia purpurea, Mountain ebony), রক্তকাঞ্চন (B. variegata, Purple orchid tree), শিমুল (Bombax ceiba, Red silk-cotton tree), পলাশ (Butea monosperma, Flame of the forest), বটলব্রাস (Callistemon citrinus), সোনালু সোনাইল/কর্ণিকার (Cassia fistula, Indian laburnum), লাল সোনাইল (C. javanica), মিনজিরি (C. siamea, Kassod tree), নাগলিঙ্গম (Couroupita guianensis, Cannonball tree), বরুণ (Crataeva nurvala, Caper tree), কৃষ্ণচূড়া (Delonix regia, Peacock flower), গ্লিরিসিডিয়া (Gliricidia sepium, Madre D’caeae), কুরচি/কূটজ/গিরিমল্লিকা (Holarrhena antidysenterica, Easter flower), জারুল (Lagerstroemia speciosa, Pride of India, Queen of flowers), বিলাতী জারুল (L. thorellii), হিমচাঁপা/উদয়পদ্ম (Magnolia grandifloara, Laural magnolia), নাগেশ্বর (Mesua nagassarium, Ironwood tree), স্বর্ণচাপা (Michelia champaca, Golden champa), বকুল (Mimusops elengi, Indian medlar), শেফালী (Nyctanthes arbor-tristis, Coral jasmine), পেল্টোফরাম (Peltophorum pterocarpum, Rusty shield bearer), কাঠগোলাপ/গৌরচাঁপা/গোলকচাঁপা, গোলাচি (Plumeria spp., Frangipani), অশোক (Saraca asoca), কলকে (Thevetia peruviana, Yellow oleander)।
এগুলি ছাড়াও অনেক বাগানে দেখা যায় অপেক্ষাকৃত কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রজাতি: Amherstia nobilis (Tree of Heaven), Brownea coccinea (Scarlet flame bean), পুন্নাগ/সুলতান চাঁপা (Calophyllum inophyllum, Aleksandrian laurel), স্কারলেট কর্ডিয়া (Cordia sebenstena, Scarlet cordia), গুস্তাভিয়া (Gustavia augusta, Stink wood), পলকজুঁই Ixora paviflora, Torch tree), জ্যাকারান্ডা (Jacaranda mimosifolia, Jacaranda), মিলেসিয়া (Milletia peguensis, Jewels on a string), আকাশনীম/হিমঝুরি (Millingtonia hortensis, Indian cork tree), কনকচাঁপা/রামধনচাঁপা (Ochna squarrosa, Ramdhan champa), রুদ্রপলাশ (Spathodea companulata, African tulip tree), পরশপিপুল (Thespesia populnea, Portia tree)।
গুল্ম এগুলি গোড়া থেকে শাখায়িত, সাধারণত চিরসবুজ ও বহুবর্ষজীবী, ছোট-বড় সবধরণের বাগানেই লাগানো হয়। বাগান সজ্জার এই প্রধান উপকরণগুলির মধ্যে আছে: শিবঝুল/শিবজটা (Acalypha hispida, Cat’s tail), ঘণ্টাফুল (Allamanda nerifolia), ঝিন্টি কুরুবক (Barleria cristata Philipine violet), স্বর্ণঝিন্টি (B. prionitis), কাঞ্চন (Bauhinia acuminata, Orchid tree), রাধাচূড়া (Caesalpina pulcherrima, Peacock flower), হাসনাহেনা (Cestrum nocturnum, Queen of the night), ধুতরা (Datura fastuosa, Thorn apple), লালপাতা (Euphorbia pulcherrima, Poinsettia, Christmas flower), পাতাবাহার (Codiaeum variegatum, croton), গন্ধরাজ (Gardenia jasminoides, Cape Jasmine), জবা (Hibiscus rosa-sinensis, Chinarose), স্থলপদ্ম (H. mutabilis, Changable rose), লাল রঙ্গন (Ixora coccinea), হলুদ রঙ্গন (I. lutea), গোলাপী রঙ্গন (I. rosea), সিঙ্গাপুরী রঙ্গন (I. singapurensis), কুন্দ (Jasminum pubescens), বেলী (J. sambae, Arabian jasmine), ফুরুস (Lagerstroemia indica, Crape myrtle), গুয়েগাঁদা (Lantana camara), লঙ্কা জবা (Malvaviscus arboreus), সন্ধ্যামালতী/সন্ধ্যামণি (Mirabilis jalapa, Marvel of peru), কামিনী (Murrya exotica, Chinese box), নাগবল্লী (Mussaenda frondosa, M. erythrophylla, M. lutela), রক্তকরবী (Nerium oleander, Oleander), গোলাপ (Rosa spp.), টগর (Tabernaemontana coroneria, Cape jasmine), নয়নতারা (Vinca rosea, Periwinkle).
অপেক্ষাকৃত দুষ্প্রাপ্য গুল্মের মধ্যে রয়েছে: লাল ঘণ্টাফুল (Allamanda violocea), ছোট ঘণ্টাফুল (A, shottie), ব্রুনফেলসিয়া (Brunfelsia calycina, Yesterday-today-tomorrow), কেলিস্টেমন (Callistemon brevipes, C. haematocephata), রাজঘন্টা (Datura suaveoleus, Angel’s trumpet), ডম্বিয়া (Dombya mastersii), ঝুমকা জবা (Hibiscus schizopetalous, Coral hibiscus), নীল জবা (H. syriacus, Rose of sharon), স্বর্ণচামেলী (Jasminum humile, Yellow jasmine), জেট্রফা (Jatropha panduraefolia), জহুরি চাঁপা (Magnolia pumila), দাঁতরাঙ্গা/লুটকি (Melastoma malabathricum, Indian rhododendron), অঞ্জন (Memecylon umbellata, Red iron wood), নীল চিতা (Plumbago auriculata, Cape leadwort), রন্ডেলেসিয়া (Rondeletia odorata), রাসেলিয়া (Russelia juncea, Coral plant), সোনাপাতি (Tecoma gaudichandi, T. stans, Yellow bell), নীল ঘণ্টা (Thunbergia erecta)।
লতা এগুলির অধিকাংশই বহুবর্ষজীবী, কান্ড দুর্বল বিধায় নিজেই কিংবা অাঁকশি, কাঁটা ইত্যাদি উপাঙ্গের সাহায্যে আশ্রয় জড়িয়ে উপরে ওঠে। এগুলি মাটিতে তেমন জায়গা দখল করে না বলে ছোট বাগানেও বেশি সংখ্যায় লাগানো যায়। দালান, ফটক, বেড়া ইত্যাদিতে লতা বহুল ব্যবহূত। এগুলির অনেক প্রজাতি রঙিন ফুল ও অন্যগুলি সুগন্ধি প্রস্ফুটনের জন্য আকর্ষণীয়। লতানো গোলাপ ও বাগানবিলাসের এজন্য বিশেষ সমাদর। বাগানের সাধারণ লতার মধ্যে আছে: মালতী লতা (Aganosma dichotoma), হলুদ ঘণ্টাফুল/হরকাকরা (Allamanda cathartica), অনন্তলতা (Antigonon leptopus), কাঁঠালী চাঁপা (Artabotrys odoratissimus, Climbing ylangylang), বাগানবিলাস (Bougainvillea glabra, B. peruviana, B. spectabitis), ট্রাম্পেট ক্লাইম্বার (Campsis grandiflora, Trumpet climber), ব্লিডিং হার্ট (Clerodendrum thomsonae, Bleeding heart), অপরাজিতা (Clitoria ternatea, Mussel-shell climber), উলটচন্ডাল (Gloriosa superba, Glory lily), ভাদ্রা (Gmelina hystrix), মাধবীলতা (Hiptage benghalensis, চন্দ্রমুখী, দুধিয়া লতা (Ipomea abla, Moon flower), রেললতা (I. palmata, Railway creeper), মর্নিংগ্লোরি (I. Indica, Morning glory), জুঁই (Jasminum auriculatum), চামেলী J. grandifloram, Spanish jasmine), যূথিকা (J. offiinale, White jasmine), হ্যানিস্যাকল (Lonicera japonica, Japanese honeysuckle), ঝুমকা লতা (Passiflora caerulea, Passion flower), নীলমণি লতা (Petrea volubilis, Purple wreath), লতা পারুল (Psendocalyma alliaceum, Garlic vine), গোল্ডেন শাওয়ার (Pyrostegia venusta), তারামণি লতা, কুঞ্জলতা (Quamoclit pinnata, Cypress vine), মধুমালতী/মধুমঞ্জরি লতা Quisqualis indica, Rangoon creeper).
কন্দজ এগুলি সাধারণত বহুবর্ষজীবী, সচরাচর শীতে মরে যায় ও বসন্ত-গ্রীষ্মে আবার গজায়। কোন কোনটির ফুল খুবই আকর্ষণীয়, কোনটি বা সুগন্ধি। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য: বেলেডনা লিলি (Amaryllis belladona), লেপার্ড লিলি (Belamcanda chinensis, Leopard flower), কলাবতী/সর্বজয়া (Canna indica), সুখদর্শন (Crinum bulbispernum, Cape lily), ইউকারিস লিলি (Eucharis amazonica), গ্লাডিওলাস (Gladiolus spp.), ফায়ারবল লিলি (Haemanthus multiflorus, Fireball lily), দোলনচাঁপা (Hedyechium coronerium), স্পাইডার লিলি (Hymenocallis littoralis, Spider lily), ভুঁইচাঁপা (Kaempferia ratunda), রজনীগন্ধা (Polianthes tuberosa, Tuberose), ঘাসফুল (Zephyranthes spp., Zephyr lily).
মৌসুমি ফুল এগুলি সাধারণত শীতের শুরুতেই চাষ করা হয়, কোন কোনটি বর্ষায়ও। শীতের বিবর্ণ প্রকৃতিতে নানা রং ছড়ায় বলে এগুলির বিশেষ সমাদর। অধিকাংশই বিদেশী। এগুলির মধ্যে আছে: অ্যাজিরাটাম (Ageratum maxicana, Floss flower), হলিহক (Althaea rosea, Hollyhock), অ্যান্টারিনাম (Antirrhinum majus, Snapdragon), ক্যালান্ডুলা (Calendula officinalis, Pot marigold), অ্যাস্টার (Callistephus chinensis, Aster), মোরগ ফুল (Celosia argentea, Cockscomb), কর্ন ফ্লাওয়ার (Centaurea cyanus, Cornflower), সুইট সুলতান (C. moschata, Sweet sultan), চন্দ্রমল্লিকা (Chrysanthemum spp), ক্যারিওপসিস (Coreopsis drummondii, Calliopsis), কসমস (Cosmos bipinnatus, Cosmos), বর্ষাতি কসমস (C. sulphureus, Summer cosmos), ডালিয়া (Dahlia variabilis, Dahlia), লার্কস্পার (Dalphinium ajacis, Larkspur), সুইট উইলিয়ম (Dianthus barbatus, Sweet willian), কার্নেসন (D. caryophyllus, Carnation), পিংক (D. chimnensis, Indian pink), গ্যালার্ডিয়া (Gaillardia pulchella, Blanket flower), সূর্যমুখী (Helianthus annuus, Sunflower), বোতাম ফুল (Gomphrena globosa, Globe amaranta), স্ট্র ফ্লাওয়ার Helichrysum bracteatum, Strawflower), দোপাটি (Impatiens balsamina, Balsam), মর্নিংগ্লোরি (Ipomea rubrocaerulea, Marning glory), সুইট পি (Lathyrus odoratus, Sweet pea), লবেলিয়া (Lobelia erinus, Lobelia), লুপিন (Lupinus spp, Lupin), পপি (Papaver rhoeas, Corn popy), পেটুনিয়া (Petunia hybrida, Petunia), ফ্লক্স (Phlox drummondii, Phlox), পর্তুলেকা (Portulaea grandiflora, Rose moss), স্যালভিয়া (Salvia coccinea, Sage), গাঁদা (Tagetes erecta, African marigold), কালী গাঁদা (T. patula, French marigold), ন্যাস্টারসিয়াম (Tropaeolum majas, Nasturtium), ভার্বেনা (Verbena hybrida, Verbena), পেন্সি (Viola tricolor hortensis, Viola), জিনিয়া (Zinnia elegans, Zinnia)।
প্রাকৃতিক নিয়মে তরুপ্রজাতি প্রতিনিয়তই স্থান বদলায়। সুদূর আফ্রিকা কিংবা লাতিন আমেরিকার কোনো গাছ আমাদের দেশে এসেও দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে। আবার আমাদের অঞ্চলের কোনো গাছ অস্ট্রেলিয়ায় প্রাকৃতিক বৃক্ষ হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে। এ কারণেই গাছপালাকে নির্দিষ্ট কোনো ভৌগোলিক সীমারেখায় আবদ্ধ করা যায় না। সমগ্র পৃথিবী তার আবাসস্থল। তাই সবধরনের গাছপালাকেই সমগুরুত্বের দৃষ্টিতে দেখতে হয়। নানাভাবে আমাদের দেশে এসে থিতু হওয়া বিদেশি গাছগুলোকে দেশি নাম দিয়ে বরণ করা উচিত। রবীন্দ্রনাথ সেই কবে বিভিন্ন শ্রুতিমধুর নাম দিয়ে অনেক বিদেশি গাছপালাকে আপন করে নিয়েছেন। পেট্টিয়া’র নাম রেখেছেন নীলমণিলতা, রেঙ্গুনক্রিপারের নাম মধুমঞ্জরি লতা, মিলিংটোনিয়ার নাম হিমঝুরি, 'অ্যাডেনিয়াম' এর বাংলা নাম ‘কিন্নরী’,পাসসিফ্লরা এর নাম ঝুমকোলতা, এমন আরও কিছু গাছকে তিনি বাংলা নাম দিয়ে আদৃত করেছেন।
আরো কিছু বিদেশী গাছের নাম দিয়েছেন বিভিন্ন কবি, লেখক ও সবুজপ্রেমীরা । যেমন, আফ্রিকান টিউলিপ এর বাংলা নাম রুদ্রপলাশ,ক্রেব/ফুরুস এর বাংলা নাম ফুল্লরা,পয়েন্সেটিয়ার বাংলা নাম অগ্নিপত্রা, ম্যাগনোলিয়া গ্রান্ডিফ্লোরা\ উদয়পদ্ম, .স্কারলেট কর্ডিয়া\রক্ত্ররাগ, পুটুশ-ছত্রা/ল্যান্টানা,মর্নিং গ্লোরী \ভোরের-রানী, লিসিএন্থাস\ নন্দিনী, হোয়াইট বাটারফ্লাই পিএ(সাদা অপারাজিতা) মহাশ্বেতা ...
ইত্যাদি কিন্তু তারপর এক বিরাট শূন্যতা! বছরের পর বছর ধরে অনেক বিদেশি গাছ আমাদের দেশে এসে থিতু হয়েছে, অথচ তাদের কোনো বাংলা নাম নেই। ফলে শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি। একেকজন একক নামে চেনেন। এই সুযোগে গাছ বিক্রেতারাও রাতারাতি নামের কারিগর সেজে বসেছে। ক্রেতাদের সামনে ভুল-ভাল নামে উপস্থাপন করছে বিভিন্ন বিদেশি গাছ। এসব বিদেশি গাছপালা সংখ্যায় নেহায়েৎ কম নয়।
এমন কয়েকটি বিদেশি গাছের নাম এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে না;, গ্লিরিসিডিয়া, মিলেশিয়া, জ্যাকারান্ডা, কমব্রেটামলতা, অ্যালমান্ডা, ইউক্যালিপটাস, ইপিল ইপিল, ব্রনফেলসিয়া, অ্যারোকেরিয়া, ক্যাশিয়া সায়ামিয়া, ক্যাশিয়া জাভানিকা, ক্যামেলিয়া, গুস্তাভিয়া, গোল্ডেন শাওয়ার, গ্ল্যাডিওলাস, ট্যাবেবুইয়া, ট্রাম্পিট লতা, পেটুনিয়া, পেল্টোফরাম টেরোকার্পাম, বটলব্রাশ, মানিপ্ল্যান্ট, ল্যান্টানা, সাইকাস, স্কারলেট কর্ডিয়া ইত্যাদি। উদ্ভিদবিজ্ঞানী, কবি, লেখক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে নামকরণের দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। তাহলে বিদেশি গাছের নাম নিয়ে আর কোনো বিভ্রান্তি থাকবে না।
আরো কিছু বিদেশী গাছের নাম দিয়েছেন বিভিন্ন কবি, লেখক ও সবুজপ্রেমীরা । যেমন, আফ্রিকান টিউলিপ এর বাংলা নাম রুদ্রপলাশ,ক্রেব/ফুরুস এর বাংলা নাম ফুল্লরা,পয়েন্সেটিয়ার বাংলা নাম অগ্নিপত্রা, ম্যাগনোলিয়া গ্রান্ডিফ্লোরা\ উদয়পদ্ম, .স্কারলেট কর্ডিয়া\রক্ত্ররাগ, পুটুশ-ছত্রা/ল্যান্টানা,মর্নিং গ্লোরী \ভোরের-রানী, লিসিএন্থাস\ নন্দিনী, হোয়াইট বাটারফ্লাই পিএ(সাদা অপারাজিতা) মহাশ্বেতা ...
ইত্যাদি কিন্তু তারপর এক বিরাট শূন্যতা! বছরের পর বছর ধরে অনেক বিদেশি গাছ আমাদের দেশে এসে থিতু হয়েছে, অথচ তাদের কোনো বাংলা নাম নেই। ফলে শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি। একেকজন একক নামে চেনেন। এই সুযোগে গাছ বিক্রেতারাও রাতারাতি নামের কারিগর সেজে বসেছে। ক্রেতাদের সামনে ভুল-ভাল নামে উপস্থাপন করছে বিভিন্ন বিদেশি গাছ। এসব বিদেশি গাছপালা সংখ্যায় নেহায়েৎ কম নয়।
এমন কয়েকটি বিদেশি গাছের নাম এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে না;, গ্লিরিসিডিয়া, মিলেশিয়া, জ্যাকারান্ডা, কমব্রেটামলতা, অ্যালমান্ডা, ইউক্যালিপটাস, ইপিল ইপিল, ব্রনফেলসিয়া, অ্যারোকেরিয়া, ক্যাশিয়া সায়ামিয়া, ক্যাশিয়া জাভানিকা, ক্যামেলিয়া, গুস্তাভিয়া, গোল্ডেন শাওয়ার, গ্ল্যাডিওলাস, ট্যাবেবুইয়া, ট্রাম্পিট লতা, পেটুনিয়া, পেল্টোফরাম টেরোকার্পাম, বটলব্রাশ, মানিপ্ল্যান্ট, ল্যান্টানা, সাইকাস, স্কারলেট কর্ডিয়া ইত্যাদি। উদ্ভিদবিজ্ঞানী, কবি, লেখক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে নামকরণের দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। তাহলে বিদেশি গাছের নাম নিয়ে আর কোনো বিভ্রান্তি থাকবে না।
বাগান করতে গেলে যে প্রশ্ন সবার প্রথমে মনে আসে,কখন কি গাছ লাগাবো,কখন কি ফুল ফোটে >? আমি আমার মতো করে বিভিন্ন মরশুমে ফোটা ফুলের একটি চিত্র দেবার চেস্টা করলাম ।
১. সারা বছর ফোটে এমন ফুলঃ
(ক) লতানোঃ অপরাজিতা, কাঁঠালীচাঁপা, কেশরাজ, মর্নিংগ্লোরি, মুসেন্ডা
(খ) বীরুৎঃ নয়নতারা, সন্ধ্যামালতী
(গ) গুল্মঃ কুন্দ, করবী, গোলাপ, গন্ধরাজ, জবা , ঝাঁটি, ঝুমকো জবা, টগর, ধুতুরা, নীল ঘন্টা, বেলী, মেহেদী, মল্লিকা, রঙ্গন, লঙ্কাজবা, লুটকি, শিবজটা, হাস্নাহেনা
(ঘ) বৃক্ষঃ বটলব্রাশ
(খ) বীরুৎঃ নয়নতারা, সন্ধ্যামালতী
(গ) গুল্মঃ কুন্দ, করবী, গোলাপ, গন্ধরাজ, জবা , ঝাঁটি, ঝুমকো জবা, টগর, ধুতুরা, নীল ঘন্টা, বেলী, মেহেদী, মল্লিকা, রঙ্গন, লঙ্কাজবা, লুটকি, শিবজটা, হাস্নাহেনা
(ঘ) বৃক্ষঃ বটলব্রাশ
২. ফেব্রুয়ারী থেকে ফোটা শুরু হয় এমন ফুলঃ
(ক) লতানোঃ নীলমণিলতা, মাধুরীলতা
(খ) বীরুৎঃ কলাবতী
(গ) গুল্মঃ ক্যামেলিয়া, গোকুল
(ঘ) বৃক্ষঃ অশোক, কাঠবাদাম, পারিজাত, পারুল, পিয়াল, পলাশ, বকুল, মুচকুন্দ, শিমুল
(খ) বীরুৎঃ কলাবতী
(গ) গুল্মঃ ক্যামেলিয়া, গোকুল
(ঘ) বৃক্ষঃ অশোক, কাঠবাদাম, পারিজাত, পারুল, পিয়াল, পলাশ, বকুল, মুচকুন্দ, শিমুল
৩. এপ্রিল থেকে ফোটা শুরু হয় এমন ফুলঃ
(ক) লতানোঃ গন্ধভাদালী, চামেলী, ঝুমকো, লবঙ্গলতা
(খ) বীরুৎঃ দোপাটি, ভূঁইচাঁপা, লিলি, কালো বাসক
(গ) গুল্মঃ কাঁটা মেহেদী, ডালিম, সুরভী
(ঘ) বৃক্ষঃ উদয়পদ্ম, ক্যাসিয়া, কনকচাঁপা, কলকে, কৃষ্ণচূড়া, গাব, গামারী, গুলাল, ঘোড়া নীম, জারুল, তেলশুর, নীম, পাদাউক, পেল্টোফোরাম, বরুণ, শিরীষ, সোনালু, লাল সোনাইল
(খ) বীরুৎঃ দোপাটি, ভূঁইচাঁপা, লিলি, কালো বাসক
(গ) গুল্মঃ কাঁটা মেহেদী, ডালিম, সুরভী
(ঘ) বৃক্ষঃ উদয়পদ্ম, ক্যাসিয়া, কনকচাঁপা, কলকে, কৃষ্ণচূড়া, গাব, গামারী, গুলাল, ঘোড়া নীম, জারুল, তেলশুর, নীম, পাদাউক, পেল্টোফোরাম, বরুণ, শিরীষ, সোনালু, লাল সোনাইল
৪. জুন থেকে ফোটা শুরু হয় এমন ফুলঃ
(ক) লতানোঃ উলটচণ্ডাল, কুঞ্জলতা, জুঁই, মাধবীলতা
(খ) বীরুৎঃ দোলনচাঁপা, দুপুরচণ্ডী, রজনীগন্ধা
(গ) গুল্মঃ কাঞ্চন, কেয়া, ঘেঁটু, নীলজবা, ফুরুস, রাধাচূড়া, লান্টানা, শ্বেত অতসী
(ঘ) বৃক্ষঃ কামিনী, কদম, চাঁপা, নাগেশ্বর, নাগলিঙ্গম
(খ) বীরুৎঃ দোলনচাঁপা, দুপুরচণ্ডী, রজনীগন্ধা
(গ) গুল্মঃ কাঞ্চন, কেয়া, ঘেঁটু, নীলজবা, ফুরুস, রাধাচূড়া, লান্টানা, শ্বেত অতসী
(ঘ) বৃক্ষঃ কামিনী, কদম, চাঁপা, নাগেশ্বর, নাগলিঙ্গম
৫. অগাস্ট থেকে ফোটা শুরু হয় এমন ফুলঃ
(ক) বীরুৎঃ মোরগ ফুল
(খ) গুল্মঃ ঘন্টাফুল, স্থলপদ্ম
(গ) বৃক্ষঃ শিউলি
(খ) গুল্মঃ ঘন্টাফুল, স্থলপদ্ম
(গ) বৃক্ষঃ শিউলি
৬. অক্টোবর থেকে ফোটা শুরু হয় এমন ফুলঃ
(ক) বীরুৎঃ অতসী
(খ) বৃক্ষঃ কাঞ্চন, ছাতিম, হিজল
(খ) বৃক্ষঃ কাঞ্চন, ছাতিম, হিজল
৭. ডিসেম্বর থেকে ফোটা শুরু হয় এমন ফুলঃ
(ক) লতানোঃ অনন্তলতা, বাগানবিলাস
(খ) বীরুৎঃ গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, সূর্যমুখী, অ্যাস্টার, কসমস, জিনিয়া, ডালিয়া, পিটুনিয়া, পর্টুলেকা, ফ্লক্স, ভার্বেনা, লার্কস্পার, সুইট পি, সালভিয়া, হলিহক
(গ) গুল্মঃ বকফুল
(ঘ) বৃক্ষঃ কুড়চি
(খ) বীরুৎঃ গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, সূর্যমুখী, অ্যাস্টার, কসমস, জিনিয়া, ডালিয়া, পিটুনিয়া, পর্টুলেকা, ফ্লক্স, ভার্বেনা, লার্কস্পার, সুইট পি, সালভিয়া, হলিহক
(গ) গুল্মঃ বকফুল
(ঘ) বৃক্ষঃ কুড়চি
গত কয়েক বছর ধরেই চলছে উন্নয়নের নামে বৃক্ষ নিধন উৎসব , ছায়া সুনিবিড় নির্জন রাস্তা বদলে যাচ্ছে ঝাঁ চকচকে হাই ওয়ে তে । আজকের কেরিয়ারিস্ট ছেলেমেয়েদের কাছে গাছ ফুল নিয়ে এই সব আলোচনা , কিছু নিস্কর্মা বোকা,হাফ পাগল লোকের কাজ ।
কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখি জানেন,এই ঝাঁ চকচকে রাস্তার দুই ধার বর্ণে গন্ধে উজ্জ্বল হয়ে আছে, পলাশ,কুরচি,জাকারান্ডা,লাল সোনাইল,কনকচুড়া,শিমুল,রাধাচুড়া, স্বর্ণচাঁপা ,অশোক, গুলমোহর ,হিজল প্রভৃতি গাছে ।
আপনি একবার কল্পনায় ভেবে দেখুন। আপনার চোখের সামনে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পথ। তার দু’পাশে থরে থরে সাজানো জারুল, সোনালু আর কৃষ্ণচূড়া। বিন্যাসটা এমন যে প্রথমে কৃষ্ণচূড়া, তারপর সোনালু, সোনালুর পর জারুল; এভাবেই তৈরি করা হয়েছে তিন রঙের সুসজ্জিত বীথি। জারুলের রঙ উজ্জ্বল বেগুনি, সোনালুর রঙ হলুদ, সোনালি আর কৃষ্ণচূড়ার প্রধান রঙ টকটকে লাল। এমন সৌন্দর্য থেকে কি চোখ ফেরানো যায়? চোখটা সরিয়ে নিলেও মনটা কিন্তু পড়েই থাকবে সেখানে। আর সেখানেই যদি হয় আমাদের পুষ্প উৎসব, তাহলে কেমন হয়। আমরা এমন একটি পুষ্প উৎসবের স্বপ্ন দেখছি দীর্ঘদিন। এমন একটি স্বপ্ন দেখা কি অবান্তর কারণ গ্রীষ্মের প্রকৃতিতে ছড়ানো থাকে যাবতীয় উন্মাদনার রঙ। কৃষ্ণচূড়ার রঙ পাগল করা। অনেকদূর থেকেই তার উজ্জ্বল রঙ আমাদের উতলা করে। জাপানে শুধু চেরি ফুল ফোটার মৌসুমে ওরা প্রতিবছর মস্তবড় উৎসব করে। ওদের একটিই তো ফুল; আর আমাদের আমাদের বৃক্ষবৈচিত্র্য : নতুন ভাবনা
কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখি জানেন,এই ঝাঁ চকচকে রাস্তার দুই ধার বর্ণে গন্ধে উজ্জ্বল হয়ে আছে, পলাশ,কুরচি,জাকারান্ডা,লাল সোনাইল,কনকচুড়া,শিমুল,রাধাচুড়া, স্বর্ণচাঁপা ,অশোক, গুলমোহর ,হিজল প্রভৃতি গাছে ।
আপনি একবার কল্পনায় ভেবে দেখুন। আপনার চোখের সামনে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পথ। তার দু’পাশে থরে থরে সাজানো জারুল, সোনালু আর কৃষ্ণচূড়া। বিন্যাসটা এমন যে প্রথমে কৃষ্ণচূড়া, তারপর সোনালু, সোনালুর পর জারুল; এভাবেই তৈরি করা হয়েছে তিন রঙের সুসজ্জিত বীথি। জারুলের রঙ উজ্জ্বল বেগুনি, সোনালুর রঙ হলুদ, সোনালি আর কৃষ্ণচূড়ার প্রধান রঙ টকটকে লাল। এমন সৌন্দর্য থেকে কি চোখ ফেরানো যায়? চোখটা সরিয়ে নিলেও মনটা কিন্তু পড়েই থাকবে সেখানে। আর সেখানেই যদি হয় আমাদের পুষ্প উৎসব, তাহলে কেমন হয়। আমরা এমন একটি পুষ্প উৎসবের স্বপ্ন দেখছি দীর্ঘদিন। এমন একটি স্বপ্ন দেখা কি অবান্তর কারণ গ্রীষ্মের প্রকৃতিতে ছড়ানো থাকে যাবতীয় উন্মাদনার রঙ। কৃষ্ণচূড়ার রঙ পাগল করা। অনেকদূর থেকেই তার উজ্জ্বল রঙ আমাদের উতলা করে। জাপানে শুধু চেরি ফুল ফোটার মৌসুমে ওরা প্রতিবছর মস্তবড় উৎসব করে। ওদের একটিই তো ফুল; আর আমাদের আমাদের বৃক্ষবৈচিত্র্য : নতুন ভাবনা
তিন তিনটি প্রধান ফুল। তাহলে কেন আমরা বঞ্চিত হচ্ছি এমন একটি নান্দনিক উৎসব থেকে। আমাদের দেশে এই ধরনের একটি অ্যাভিনিউ তৈরি করা কি খুব ব্যয়বহুল? মোটেই না, অতি সহজ। আমাদের অনেক সড়ক আছে, যার দু’পাশ এখনো বৃক্ষ ও ছায়াহীন। এমন একটি সড়কই বেছে নিতে পারি। হতে পারে কলকাতার অদূরে কিংবা অনেক দূরে। আবার নতুন কোনো সড়কও হতে পারে। পর্যায়ক্রমে রেল সড়কের পাশেও এমন বর্ণচ্ছটা তৈরি করা যেতে পারে। এমন একটি পুষ্প বিন্যস্ত পথকে ঘিরে প্রাথমিক পর্যায়ে উৎসবটি হতে পারে দু’দিনব্যাপী।
আমি ১০০% আশাবাদী একদিন আমাদের এই বাংলার প্রতিটা রাস্তা,রেল সড়কের দুই ধার সেজে উঠবে ফুলে,ফলে , হয়ত সেদিন আমি থাকব না ,তবু ,.........
" আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শংখচিল শালিখের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়।
হয়তো বা হাঁস হব- কিশোরীর- ঘুঙুর রহিবে লাল পায়
সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে।
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এই সবুজ করুণ ডাঙ্গায়।
আমি ১০০% আশাবাদী একদিন আমাদের এই বাংলার প্রতিটা রাস্তা,রেল সড়কের দুই ধার সেজে উঠবে ফুলে,ফলে , হয়ত সেদিন আমি থাকব না ,তবু ,.........
" আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শংখচিল শালিখের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়।
হয়তো বা হাঁস হব- কিশোরীর- ঘুঙুর রহিবে লাল পায়
সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে।
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এই সবুজ করুণ ডাঙ্গায়।
হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে।
হয়তো শুনিবে এক লক্ষ্মীপেঁচা ডাকিতেছে শিমূলের ডালে।
হয়তো খইয়ের ধান ছড়াতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে।
রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে
ডিঙ্গা বায়; রাঙ্গা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে
দেখিবে ধবল বক; আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভীড়ে।"
গ্রন্থঋন --
Green Nature, Each Flower Is A Word, - Dwijen Sharma
হয়তো শুনিবে এক লক্ষ্মীপেঁচা ডাকিতেছে শিমূলের ডালে।
হয়তো খইয়ের ধান ছড়াতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে।
রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে
ডিঙ্গা বায়; রাঙ্গা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে
দেখিবে ধবল বক; আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভীড়ে।"
গ্রন্থঋন --
Green Nature, Each Flower Is A Word, - Dwijen Sharma
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন