ছেলেবেলা থেকে লতানো গাছের প্রতি আমার আলাদা একটু ভালোলাগা আছে , কারণটা ঠিক জানিনা । ফুলভারে সজ্জিত লতানো গাছকে কেমন যেন আদুরে মনে হয় ।
বাড়ির প্রবেশদ্বারে জনপ্রিয় বাগানবিলাস আর মাধবীলতা। সামনের খোলা জায়গার জন্য বেলি, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ, জুঁই আর দোলনচাঁপা। নগরে কম দেখা গেলেও গ্রামের দিকে বাড়ির সদর দরজায় এখনো দেখা যায় বাগানবিলাস, নীল অপরাজিতাসহ বেশ কিছু দেশি লতানো ফুল গাছ।
বারান্দা
থেকে লতানো গাছ বাড়ির গা বেয়ে নেমে এলে ভীষণ সুন্দর দেখায়। বারান্দা
থেকে নামিয়ে দেয়ার জন্য লতানো গাছ হিসেবে লাগাতে পারেন অপরাজিতা ফুল।
বাগানবিলাস এবং মাধবীলতাও পুরো বাড়িকে ফুলে ফুলে ভরিয়ে আকর্ষণীয় করে
তোলে। লতানো সুনির্দিষ্ট গন্ধবাহী
লতানো গাছ চার পাশের সমগ্র পরিবেশটাকে পাল্টে দিয়ে এক অভূতপূর্ব মায়াবী
পরিবেশ সৃষ্টি করে। কখনো জনালার পাশে বেড়ে ওঠা লতানো গাছ চমৎকার এক আলো
আঁধারী এক পরিবেশ এনে দেয়।
লতানো উদ্ভিদের যে অপার সৌন্দর্য রয়েছে
কেবল চোখ মেলে তাকালেই তা বোঝা যায় না। এর মনোহরা রূপকে বুঝতে হলে
সৌন্দর্য্য পিপাসু মনটাকে যে সেভাবে তৈরি করতে হয়। একটি বাগানের রূপই
পাল্টে দিতে পারে এসব গাছের সুষ্ঠু ব্যবহার।
কোন কোন লতানো গাছ আসলে এদের লতানো স্বভাবের কারণেই বেশ নান্দনিক শোভা
সৃষ্টি করে। ফুল সৃষ্টি না করলেও এদের আবেদন কোন কিছু কম নয়। অনেক লতানো
গাছই আবার ফুলধারী। লতানো উদ্ভিদ প্রায় সবই দীর্ঘজীবী। তবে এরা অধিকাংশ
ক্ষেত্রে ফুল ধারণ করে বছরের বিশেষ বিশেষ ঋতুতে। তবে হ্যা, শুধু বাগান
করেলই চলবে না, প্রতিদিন নিয়ম করে যত্ন নিন, দেখবেন লতানো গাছ বেয়ে চুঁয়ে
পরবে অদ্ভুদ এক শীতল আনন্দ l
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন