ফুলের প্রতি কোনোরূপ আকর্ষণ নেই, ধারণা করি পৃথিবীতে এমন রুক্ষ-শুষ্ক
মানুষ খুব কমই আছে। বরং নেই বললেই চলে। চার বছরের শিশু থেকে ৮০ বছরের
বৃদ্ধ, কমবেশি সবার মধ্যেই ফুলের প্রতি আকর্ষণ আছে। ফুলের সৌন্দর্য আর
সৌরভের কাছে পরাস্ত হয়নি, এমন মানুষ পৃথিবীতে বিরল।
• সত্ত্বগুণসম্পন্ন ফুল প্রতিদিনের পূজায় ব্যবহার্য। তমগুণ সম্পন্ন পুষ্প বিশেষ পূজার জন্য।
• সত্ত্বগুণস্পন্ন ফুলের মধ্যে রয়েছে, অর্ক, দ্রোণ, জুঁই, শ্বেতপদ্ম ইত্যাদি।
• রজগুণস্পন্ন ফুলের উদাহরণ রক্তপদ্ম, কল্কে ফুল।
• তমগুণসম্পন্ন ফুল চিনে জবা, কেতকী ইত্যাদি।
• মনে করা হয়, প্রতিটি ফুলের বিশেষ বিশেষ শক্তিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা রয়েছে।
• সেই ক্ষমতা অনুযায়ী তাদের জন্য নির্দিষ্ট দেবতাও রয়েছেন। যেমন, সাদা ধুতুরা শিবের জন্য নির্দিষ্ট।
• ফুলের সঙ্গে বিল্বপত্রের প্রয়োগও শাস্ত্রানুগ। বিল্বপত্র একই রকম ভাবে শক্তিকে আকর্ষণ করে।
• ফুল ও বেলপাতার যোগ সম্ভবত এক প্রাচীন জৈবরসায়ণের সূত্রকে ব্যক্ত করে।
• তুলসি পাতার ব্যবহারও একই জৈবরাসায়নিক ভাবনার ফল।
ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। মানুষের
সৌন্দর্যপ্রেম সহজাত। সহজাত সৌন্দর্যপ্রেম থেকেই সৌন্দর্যের প্রতীক
ফুলের প্রতি মানুষের আকর্ষণ। এর পাপড়ির বিন্যাস, রঙের বৈচিত্র্য ও গন্ধের
মাধুর্য মানুষের মনকে ভরে তোলে স্বর্গীয় আনন্দে। ফুল পবিত্রতার প্রতীক। ফুল
নিষ্পাপতার প্রতীক। কোনো মানুষের পবিত্রতা বোঝানোর জন্য আমরা বলি, ‘ফুলের
মতো পবিত্র।’ শিশুকে আমরা ভালো মানুষ হতে ও নিষ্পাপ-নিষ্কলঙ্ক হতে উদ্বুদ্ধ
করতে গিয়ে বলি, ‘ফুলের মতো পবিত্র হও।’ শিশু নিষ্পাপ, পবিত্র। তাই শিশুকে
ফুলের সঙ্গে উপমা দেয়া হয়। বলা হয়- পুষ্পশিশু।
ফুল ভালোবাসার প্রতীক। ভালোবাসার মানুষকে
ফুল দেয়ার রীতি পৃথিবীতে দীর্ঘকাল থেকে চলে আসছে। বলা হয়ে থাকে, ১৮৪০ সালে
ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়ার বিয়ের সময় প্রিয় মানুষকে ফুল দেয়ার রীতি
প্রথম চালু হয়। সে হিসেবে ভালোবাসাবাসিতে ফুলচর্চার বয়স পৌনে ২০০ বছর।
মানব-সংস্কৃতির পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে ফুল।
বাঙালির জীবনাচারেও ফুলের ব্যবহার বহুবিধ। ভালোবাসার অর্ঘ্য হোক অথবা
ধর্মালোচনার সভা - ফুল আছে সর্বত্রই। অবোধ বালিকার বেণীতে, নবদম্পতির
ফুলশয্যায়, রাজনৈতিক দলের জনসভায়, করপোরেট অফিসের টেবিলে- ফুল আছে সবখানেই ।
হিন্দু ধর্মে ফূল :-
হিন্দু সনাতন ধর্মে পূজার্চনায় ফলের ব্যবহার অনিবার্য। প্রায় প্রতিটি
দেবতার পূজাবিদি এবং মন্ত্রে পুষ্পের উল্লেখ রয়েছে। রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি
অর্পণের সুনির্দিষ্ট বিধি। পুষ্প সুন্দর, সুগন্ধযুক্ত। কেবল কি সেই কারণেই
তার স্থান দেবতার পায়ে? নাকি আরও কোনও কারণ রয়েছে পুষ্পার্পণের পিছনে?
শাস্ত্র জানাচ্ছে—
• ফুলও ত্রিগুণসম্পন্ন। এদের মধ্যেও সত্ব, তম ও রজ-ভাদ রয়েছে। এই বিভাজন তাদের বর্ণ, গন্ধ এবং উৎসের নিরিখে কৃত।শাস্ত্র জানাচ্ছে—
• সত্ত্বগুণসম্পন্ন ফুল প্রতিদিনের পূজায় ব্যবহার্য। তমগুণ সম্পন্ন পুষ্প বিশেষ পূজার জন্য।
• সত্ত্বগুণস্পন্ন ফুলের মধ্যে রয়েছে, অর্ক, দ্রোণ, জুঁই, শ্বেতপদ্ম ইত্যাদি।
• রজগুণস্পন্ন ফুলের উদাহরণ রক্তপদ্ম, কল্কে ফুল।
• তমগুণসম্পন্ন ফুল চিনে জবা, কেতকী ইত্যাদি।
• মনে করা হয়, প্রতিটি ফুলের বিশেষ বিশেষ শক্তিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা রয়েছে।
• সেই ক্ষমতা অনুযায়ী তাদের জন্য নির্দিষ্ট দেবতাও রয়েছেন। যেমন, সাদা ধুতুরা শিবের জন্য নির্দিষ্ট।
• ফুলের সঙ্গে বিল্বপত্রের প্রয়োগও শাস্ত্রানুগ। বিল্বপত্র একই রকম ভাবে শক্তিকে আকর্ষণ করে।
• ফুল ও বেলপাতার যোগ সম্ভবত এক প্রাচীন জৈবরসায়ণের সূত্রকে ব্যক্ত করে।
• তুলসি পাতার ব্যবহারও একই জৈবরাসায়নিক ভাবনার ফল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন