শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৬

দাদ-মর্দন \অঙ্গনা

আগেই বলেছি ছুটি পেলেই আমরা বেড়িয়ে পরতাম কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য না নিয়েই , কাজের কথা ভুলে গিয়ে, ফোন অফ করে দিনটা একান্তভাবেই আমার হত । ওই দিনটা হত আমার মনের বাউন্দুলে সত্তার ।
   ২০১৫ সালের অগাস্ট মাস ,এমনই এক দিনে সারাদিন ঘুরে বাড়ি  ফিরছি , গ্রামের পাশ দিয়ে সিঙ্গেল রাস্তা , আনমনে গাড়ি চালাচ্ছি, তিতলি বলল ' বাবা একটু দাঁড়াও, দ্যাখো কি সুন্দর ফুল্ গুলো,...!" তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছে , দেখলাম রাস্তার পাশের ঝোপগুলি বাসন্তী রঙে যেন হাসছে,.........।।
   গাড়ি দাড় করিয়ে কাছে গিয়ে দেখি, সূর্যাস্তের সোনালী আভা গায়ে মেখে যেন লজ্জায় রাঙ্গা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে উপেক্ষিতা ফুলগুলি ......।। রাস্তার পাশের ঝোপগুলো হলুদ হয়ে আছে.........! এ যেন এক অকাল-বসন্ত । ওদের কামেরাবন্দি করতে করতে তিতলির বলল, ' বাবা ,এই ফুলগুলোর নাম কি ?' তা তো জানি না ! ওদের ছবি আর একটি নিয়ে হাজির হলাম আমার অনুজপ্রতিম উদ্ভিদ-বিজ্ঞানের অধ্যাপক অরিন্দমের বাড়ি । ওর কাছেই জানলাম এই অনাম্নি সুন্দরীর নাম দাদ-মর্দন , শুধু রূপ নয়, এর গুণ ও আছে,প্রাচীনকালে চর্ম্ম-রোগের চিকিৎসায় এর ব্যবহার হত । বনে জঙ্গলে,রাস্তার পাশে জন্মায় , জুলাই থেকে  নভেম্বর পর্যন্ত চলে ফুলেল-পর্ব তারপর আগাছার ভীরে হারিয়ে যায় এরা ।


     বাড়ি ফেরার পথে দেখলাম তিতলি ঠিক খুশি নয়, আমি বললাম কি হয়েছে মা ? ফুলের নাম তো জানা হল তবু খুশী নয় কেন ? ও বলল ' বাবা এত সুন্দর একটা ফুলের কি বিশ্রী নাম , আমি এই অনাম্নি ফুলটার নাম দেব অঙ্গনা '...।।
  রাস্তা থেকে তুলে আনা অনাম্নি অঙ্গনার ঠাঁই হল বাগানে , মাম চলে জাবার পর অজত্নে অবহেলায় হয়ত অভিমানে মামের অনেক গাছ,পাখিদের মতই ও চলে গেল মামের ছাদবাগান ছেড়ে ......।।
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন