"ভেঙ্গেছ দুয়ার, এসেছ জ্যোতির্ময়, তোমারি হউক জয়
তিমিরবিদার উদার অভ্যুদয়, তোমারি হউক জয়।।
হে বিজয়ী বীর, নব জীবনের প্রাতে
নবীন আশার খড়্গ তোমার হাতে-
জীর্ণ আবেশ কাটো সুকঠোর ঘাতে, বন্ধন হোক ক্ষয়।।
এসো দুঃসহ, এসো এসো নির্দয়, তোমারি হউক জয়।
এসো নির্মল, এসো এসো নির্ভয়, তোমারি হউক জয়।"
দু'হাজার বছর আগে বেথেলহ্যাম নগরী। তখন নগরীর প্রত্যেক বাড়িতে নাইট কুইন গাছ ছিল। এক রাতে ঘটল আশ্চর্যজনক ঘটনা। প্রতিটি বাড়ি নাইট কুইন ফুলে ফুলে ছেয়ে গেল। এ ঘটনায় কৌতূহলী নগরবাসী এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে দৌড়াতে লাগল। তারা কেউই বুঝে উঠতে পারল না প্রকৃতি কেন এই অজানা উৎসবে মেতে উঠেছে। পরে অবশ্য সবাই আসল ঘটনা বুঝতে পেরেছিল। সেই রাতে বেথেলহ্যামের এক ঘোড়ার আস্তাবলে জন্ম হয়েছিল এক মহাপুরুষের, তিনি যিশু খ্রিস্ট। বেথেলহ্যামের সব নাইট কুইন সে রাতে মেতে উঠেছিল যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসবে। এ জন্য আজো অনেকের কাছে এ ফুলটি 'বেথেলহ্যাম ফ্লাওয়ার' নামে পরিচিত।
রানীর মতো সৌন্দর্য নিয়ে রাতের গভীরে যে অপূর্ব সাদা ফুল অসাধারন মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে ফোটে তার নাম নাইট কুইন। রাত বেড়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে কলি থেকে একটি একটি করে পাপড়ি মেলতে থাকে। সে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছড়াতে থাকে মৃদু অথচ মন কেড়ে নেয়া সুগন্ধ। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ নাইট কুইন ফুলের সুগন্ধ ও সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে প্রতীক্ষা করে।
নাইট কুইন একটি দুর্লভ ফুল। অনেক সাধনা করে, অনেক অপেক্ষার প্রহর গুনে ফোটাতে হয় নাইট কুইন। কিন্তু তাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। যে রাতে ফুটে সে রাতেই ঝরে পড়ে। ফুলটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি গন্ধেও অতুলনীয়। সাদা রং এর ফুলের ভেতর ঘিয়ে রং এর আবরণ ও সুমিষ্ট গন্ধ নাইট কুইনকে দিয়েছে রাজকীয় চেহারা। এজন্য নাইট কুইন ফুলকে রাতের রাণী বলা হয়।
নাইট কুইনের বৈজ্ঞানিক নাম Epiphyllum oxypetalum এবং ইংরেজিতে Dutchman's pipe ও queen of the night নামে পরিচিত। বিরল ক্যাকটাস জাতীয় এ ফুলটির আদি নিবাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চল এবং মেক্সিকো হলেও এখন দেশের অনেক পুষ্পপ্রেমির বাড়িতে এ ফুল শোভা পায়।
এই ফুলের বৈশিষ্ট অন্যান্য যেকোনো ফুলের তুলনায় একটু আলাদা। বছরের মাত্র একদিনে এবং রাতের কোনো এক সময় ফোটাই এর স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য। নাইট কুইন নিজেকে আত্মপ্রকাশ ও বিকশিত করে রাতেই এবং সেই রাতের অন্ধকারেই হয় তার জীবনাবসান। এর ফলে ফুলটিকে সচরাচর দেখা যায় না। তাছাড়া চারা থেকে ফুলটি ফুটতে সময় নেয় তিন-চার বছরেরও বেশী। ফুলটি সাধারণত বর্ষায় ফোটে।
নাইট কুইন ফুলের আর একটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হলো এ ফুলের গাছ পাথরকুচি গাছের মতো পাতা থেকে অঙ্কুরিত হয়। একটি পাতা নরম মাটিতে রেখে দিলে ধীরে ধীরে সে পাতা থেকে অঙ্কুর বের হয় এবং পরে তা গাছে পরিণত হয়। একটি পাতা থেকে একাধিক গাছ জন্মাতে পারে। পাতা থেকে শুধু নাইট কুইন ফুলের গাছই জন্মায় না, সেই পাতা থেকেই প্রস্ফুটিত হয় অসাধারণ নাইট কুইন ফুল। প্রথমে পাতার যে কোনো দিকে ছোট একটি গুটির মতো বের হয়। এই গুটি আস্তে আস্তে বড় হয়। ১৪ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সেই গুটি কলিতে রূপান্তরিত হয়। আর কলি পুষ্ট হওয়ার পর যে রাতে ফুল ফুটবে সেদিন বিকালেই কলিটি অদ্ভুত সুন্দর সাজে সজ্জিত হয়ে ওঠে। তখন এর দিকে তাকালে খুব সহজেই বোঝা যায় রাতের রাণী আসছে। পৃথিবী অন্ধকারে ছেয়ে গেলে আস্তে আস্তে পাপড়ি মেলতে শুরু করে নাইট কুইনের কলি। রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একটি দুটি করে পাপড়ি মেলতে থাকে। সেই সঙ্গে মিষ্টি এক ধরনের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এ গন্ধে তীব্রতা না থাকলেও আছে এক ধরনের অদ্ভুত মাদকতা, যা যে কোনো মানুষকে মোহিত করার জন্য যথেষ্ট। পরিপূর্ণ অন্ধকার যখন রাতকে আনন্দিত করে নাইট কুইন তখন অন্ধকারের বুক চিরে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে মেলে ধরে। রাত যত বাড়তে থাকে তার রূপ ততই খুলতে থাকে। পূর্ব আকাশে আলোকছটা দেখা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে মৃত্যু ঘণ্টা বেজে ওঠে নাইট কুইনের। কারণ রাতের রানী দিনের আলো সইতে পারে না।
হিন্দু দেবতা ব্রক্ষার নামানুসারে এর নাম ব্রহ্মাকামালাম এবং বিশ্বাস করা হয় যে এই ফুল ফোটার সময় কোন কিছু প্রার্থনা করলে তা পূরণ হয়। প্রচলিত ভাষায় নাইট কুইনকে সৌভাগ্যের প্রতীকও বলা হয়। সামান্য একটি পাতা থেকে পল্লবিত এক ক্যাকটাস ও তার পাতায় মাত্র একরাত্রের জন্য ফোটা মৃদু সুবাসিত এই শুভ্র ফুল দেখার আনন্দ প্রকৃতিপ্রেমিদের জন্য অতুলনীয়।
তথ্য অ ছবি ঃ-গুগল সৌজন্যে
তিমিরবিদার উদার অভ্যুদয়, তোমারি হউক জয়।।
হে বিজয়ী বীর, নব জীবনের প্রাতে
নবীন আশার খড়্গ তোমার হাতে-
জীর্ণ আবেশ কাটো সুকঠোর ঘাতে, বন্ধন হোক ক্ষয়।।
এসো দুঃসহ, এসো এসো নির্দয়, তোমারি হউক জয়।
এসো নির্মল, এসো এসো নির্ভয়, তোমারি হউক জয়।"
দু'হাজার বছর আগে বেথেলহ্যাম নগরী। তখন নগরীর প্রত্যেক বাড়িতে নাইট কুইন গাছ ছিল। এক রাতে ঘটল আশ্চর্যজনক ঘটনা। প্রতিটি বাড়ি নাইট কুইন ফুলে ফুলে ছেয়ে গেল। এ ঘটনায় কৌতূহলী নগরবাসী এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে দৌড়াতে লাগল। তারা কেউই বুঝে উঠতে পারল না প্রকৃতি কেন এই অজানা উৎসবে মেতে উঠেছে। পরে অবশ্য সবাই আসল ঘটনা বুঝতে পেরেছিল। সেই রাতে বেথেলহ্যামের এক ঘোড়ার আস্তাবলে জন্ম হয়েছিল এক মহাপুরুষের, তিনি যিশু খ্রিস্ট। বেথেলহ্যামের সব নাইট কুইন সে রাতে মেতে উঠেছিল যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসবে। এ জন্য আজো অনেকের কাছে এ ফুলটি 'বেথেলহ্যাম ফ্লাওয়ার' নামে পরিচিত।
রানীর মতো সৌন্দর্য নিয়ে রাতের গভীরে যে অপূর্ব সাদা ফুল অসাধারন মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে ফোটে তার নাম নাইট কুইন। রাত বেড়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে কলি থেকে একটি একটি করে পাপড়ি মেলতে থাকে। সে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছড়াতে থাকে মৃদু অথচ মন কেড়ে নেয়া সুগন্ধ। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ নাইট কুইন ফুলের সুগন্ধ ও সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে প্রতীক্ষা করে।
নাইট কুইন একটি দুর্লভ ফুল। অনেক সাধনা করে, অনেক অপেক্ষার প্রহর গুনে ফোটাতে হয় নাইট কুইন। কিন্তু তাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। যে রাতে ফুটে সে রাতেই ঝরে পড়ে। ফুলটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি গন্ধেও অতুলনীয়। সাদা রং এর ফুলের ভেতর ঘিয়ে রং এর আবরণ ও সুমিষ্ট গন্ধ নাইট কুইনকে দিয়েছে রাজকীয় চেহারা। এজন্য নাইট কুইন ফুলকে রাতের রাণী বলা হয়।
নাইট কুইনের বৈজ্ঞানিক নাম Epiphyllum oxypetalum এবং ইংরেজিতে Dutchman's pipe ও queen of the night নামে পরিচিত। বিরল ক্যাকটাস জাতীয় এ ফুলটির আদি নিবাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চল এবং মেক্সিকো হলেও এখন দেশের অনেক পুষ্পপ্রেমির বাড়িতে এ ফুল শোভা পায়।
এই ফুলের বৈশিষ্ট অন্যান্য যেকোনো ফুলের তুলনায় একটু আলাদা। বছরের মাত্র একদিনে এবং রাতের কোনো এক সময় ফোটাই এর স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য। নাইট কুইন নিজেকে আত্মপ্রকাশ ও বিকশিত করে রাতেই এবং সেই রাতের অন্ধকারেই হয় তার জীবনাবসান। এর ফলে ফুলটিকে সচরাচর দেখা যায় না। তাছাড়া চারা থেকে ফুলটি ফুটতে সময় নেয় তিন-চার বছরেরও বেশী। ফুলটি সাধারণত বর্ষায় ফোটে।
নাইট কুইন ফুলের আর একটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হলো এ ফুলের গাছ পাথরকুচি গাছের মতো পাতা থেকে অঙ্কুরিত হয়। একটি পাতা নরম মাটিতে রেখে দিলে ধীরে ধীরে সে পাতা থেকে অঙ্কুর বের হয় এবং পরে তা গাছে পরিণত হয়। একটি পাতা থেকে একাধিক গাছ জন্মাতে পারে। পাতা থেকে শুধু নাইট কুইন ফুলের গাছই জন্মায় না, সেই পাতা থেকেই প্রস্ফুটিত হয় অসাধারণ নাইট কুইন ফুল। প্রথমে পাতার যে কোনো দিকে ছোট একটি গুটির মতো বের হয়। এই গুটি আস্তে আস্তে বড় হয়। ১৪ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সেই গুটি কলিতে রূপান্তরিত হয়। আর কলি পুষ্ট হওয়ার পর যে রাতে ফুল ফুটবে সেদিন বিকালেই কলিটি অদ্ভুত সুন্দর সাজে সজ্জিত হয়ে ওঠে। তখন এর দিকে তাকালে খুব সহজেই বোঝা যায় রাতের রাণী আসছে। পৃথিবী অন্ধকারে ছেয়ে গেলে আস্তে আস্তে পাপড়ি মেলতে শুরু করে নাইট কুইনের কলি। রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একটি দুটি করে পাপড়ি মেলতে থাকে। সেই সঙ্গে মিষ্টি এক ধরনের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এ গন্ধে তীব্রতা না থাকলেও আছে এক ধরনের অদ্ভুত মাদকতা, যা যে কোনো মানুষকে মোহিত করার জন্য যথেষ্ট। পরিপূর্ণ অন্ধকার যখন রাতকে আনন্দিত করে নাইট কুইন তখন অন্ধকারের বুক চিরে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে মেলে ধরে। রাত যত বাড়তে থাকে তার রূপ ততই খুলতে থাকে। পূর্ব আকাশে আলোকছটা দেখা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে মৃত্যু ঘণ্টা বেজে ওঠে নাইট কুইনের। কারণ রাতের রানী দিনের আলো সইতে পারে না।
হিন্দু দেবতা ব্রক্ষার নামানুসারে এর নাম ব্রহ্মাকামালাম এবং বিশ্বাস করা হয় যে এই ফুল ফোটার সময় কোন কিছু প্রার্থনা করলে তা পূরণ হয়। প্রচলিত ভাষায় নাইট কুইনকে সৌভাগ্যের প্রতীকও বলা হয়। সামান্য একটি পাতা থেকে পল্লবিত এক ক্যাকটাস ও তার পাতায় মাত্র একরাত্রের জন্য ফোটা মৃদু সুবাসিত এই শুভ্র ফুল দেখার আনন্দ প্রকৃতিপ্রেমিদের জন্য অতুলনীয়।
তথ্য অ ছবি ঃ-গুগল সৌজন্যে
ব্রহ্মকমল আলাদা ফুল বলে জানতাম। আপনি কি বলেন?
উত্তরমুছুন