"শ্রাবনের মেঘগুলি জড়ো হলো আকাশে
অঝোরে নামবে বুঝি শ্রাবন ঝরায়ে
কবিতার বই সবে খুলেছি
হিমেল হাওয়ায় মন ভিজেছে
জানালার পাশে চাঁপা মাধবী
বাগানবিলাসী, হেনা দুলেছে
আজ কেন মন উদাসী হয়ে
দূর অজানায় চায় হারাতে........"
বহুশ্রুত এই গানে উল্লেখিত বাগানবিলাস হলো আমাদের খুবই পরিচিত অনিন্দ্য সুন্দর একটা ফুল বোগেনভোলিয়া।
আমাদের নাগরিক জীবনে এক ঝলক স্নিগ্ধতার পরশ বুলিয়ে দিতে বাগানবিলাসের জুড়ি নেই। আপনি হয়তো রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, তখন দেখলেন কোন বাড়ির গেটের উপর থেকে ঝুলে আছে লাল বাগানবিলাসের ঝোপ। আপনার পথচলার সব ক্লান্তি নিমেষেই দূর হয়ে যাবে তাতে। আবার শহর থেকে অনেক দূরের গ্রামীণ জনপদেও সে দূর্লভ বা অনাদৃতা নয়। অবশ্য এই সুন্দরী' কাগজফুল\ গেইট ফুল’ নামেই বেশি পরিচিত। বাড়ির সদর দরজায় বেশি মানানসই বলেই হয়তো সবাই একে এই নামেই ডাকে।
আমাদের বাড়ির খুব কাছেই জিরাট ও কালিয়াগড়ের প্রাচীনতম দেবালয় সিদ্ধেশ্বরী মন্দির। পাশেই বর্তমান সেবাইত চট্টোপাধ্যায় বাড়ি। মনে পরে খুব ছেলেবেলায় মায়ের সাথে মন্দিরে যাওয়ার সময় ওই বাড়ির গেটে প্রথম দেখেছিলাম এই শ্বেতাম্বরী সুন্দরী কে , গেট আলো করে ফুটে থাকতো সাদা বোগেনভোলিয়া বা বাগানবিলাস। মুগ্ধ হয়েছিলাম ,...... ভালোবাসার সূচনা সেই সময় থেকেই।
বাগানবিলাস গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের লতা-গুল্ম জাতীয় একটি সুদৃশ্য ফুলগাছ। মূলতঃ উষ্ণমণ্ডলীয় দেশসমূহ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে গৃহসজ্জ্বা কিংবা বাড়ীর চারপাশের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে লতাজাতীয় গুল্ম হিসেবে বাগানবিলাস লাগানো হয়। বিশ্বের সর্বত্র গরম আবহাওয়ায় ছায়াচ্ছন্ন পথ তৈরী ও বারান্দার শোভা বর্ধনে বাগানবিলাস লাগানো হয়।
বাগানবিলাসের ইংরেজি নাম Bougainvillea এবং উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Bougainvillea glabra. দক্ষিন আমেরিকার ব্রাজিল, পেরু, আর্জেন্টিনা এই দেশগুলো বাগানবিলাসের আদি নিবাস। ফ্রান্সের বিখ্যাত নাবিক দ্য বোগেনভিলা ১৭৬৬-১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে জলপথে পৃথিবী ভ্রমণ করেন। সেই সময় তিনি ব্রাজিলের জঙ্গলে এই ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন এবং এই ফুলটি সংগ্রহ করেন। সে থেকেই তার নামানুসারে এর নাম হয় বোগেনভেলিয়া। আমাদের দেশের মাটি,জলবায়ু আর মানুষের সাথে বাগানবিলাস এমনভাবে মিশে গেছে যে, এখন এই সময়ে এসে এই ফুলকে দেখলে কোনকালে যে এটা বিদেশি ফুল ছিল তেমনটা আর মনেই হয় না। বোগেনভিলার বাংলা নাম বাগানবিলাস প্রবর্তন করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তৎকালীন কোন এক অভিজাত, বিলাসী লোকের বাড়ির বাগানে রবি ঠাকুর প্রথম দেখেন এই ফুল। অপূর্ব এই ফুলের রঙ ও রূপে কবি যারপরনাই মুগ্ধ হন।তিনি কৌতূহলে এর নাম জানতে চান। অপরূপ সুন্দর এই ফুলের বিদেশি নাম শুনে কবি কিছুটা অখুশি হন। তখন তিনি এর নাম দেন ‘বাগানবিলাস’। সেই থেকে বিদেশি ফুল ‘বোগেনভিলিয়া ’ হয়ে গেল আমাদের নিজস্ব ফুল ‘বাগানবিলাস’।
বাগানবিলাস ফুলের বৈশিষ্ট্য হল এ গাছ ছাদের প্রচণ্ড গরম ও রোদ সহ্য করতে পারে। তাই তো ছাদ, কার্নিশ, ব্যালকনি, গ্যারেজ সাজাতে এর জুড়ি নেই। লম্বায় এই গাছ ১-১২ মিটার পর্যন্ত হয়। এটা নির্ভর করে গাছটি কত উঁচু অবলম্বন ধরে বেড়ে উঠছে সম্পূর্ণ তার উপর। বাগানবিলাস কাঁটাযুক্ত গাছ; এর কাঁটাগুলো ভালোই তীক্ষ্ণ।
বাগানবিলাসের এতো কদর মূলত এর ফুলের কারণেই। ফুল খুবই ছোট এবং গন্ধহীন। ফুলগুলোর একটা থেকে আরেকটার দূরত্ব থাকে খুব কম; অর্থাৎ এরা থাকে খুব ঘন। প্রতিটি ফুলে তিনটি বৈচিত্র্যপূর্ণ রঙিন পাতাকৃতি পাপড়ি তিন দিক থেকে একে অপরকে ঘিরে থাকে। ঘেরাওয়ের ভিতরে থাকে পুংকেশর, স্ত্রীকেশর ইত্যাদি। সেই পাপড়ির আবার বিভিন্ন রঙ-গোলাপী, ম্যাজেন্টা, বেগুনী, লাল, কমলা, হলুদ, সাদা। এক গাছেই আবার কয়েক রঙ এর সমাহার ও থাকতে পারে। পৃথিবী ব্যাপি বাগানবিলাসের ১৮টি প্রজাতির সন্ধান মেলে। আমাদের দেশে লাল রঙের প্রজাতিটি বেশি দেখা গেলেও হলুদ, সাদা, কমলা এবং মিশ্র রঙের একটি প্রজাতি ও দেখা যায়।
বাগানবিলাসের নতুন ডালে ফুল হয় বেশি। তাই এই গাছ বছরে একবার ছেঁটে দিতে হয়। গাছ ছাঁটার উপযোগী সময় হল মে মাস। উষ্ণ আবহাওয়ায় সারা বছরই বাগানবিলাস ফুল দেয়। তবে শরতের শেষ এবং শীতের শুরুতে বাগানবিলাসের গাছে গাছে ফুলের সমাহার দেখা যায়। এ গাছের বংশবৃদ্ধি করা সম্ভব কাটিং, গুটি কলম ও চোখ কলম করে। তবে আমাদের দেশে বাগানবিলাসের চারার জন্য প্রধানত গুটিকলম ও দাবা কলমই করা হয়ে থাকে।
বিভিন্ন প্রজাতির বাগানবিলাস রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে গুয়াম দ্বীপপুঞ্জ,মাতসু দ্বীপপুঞ্জ, তাইওয়ানের পিংটুং কাউন্টি; মালয়েশিয়ার ইপোহ; ফিলিপাইনের তাগবিলরন; ক্যালিফোর্নিয়ার কেমারিলো, নাগুনা নিগুয়েল, স্যান ক্লিমেন্টে; চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনঝেন, হুইঝো, ঝুহাই এবং জিয়াংমেন; ওকিনাওয়ার নাহায়ে প্রচলিত রয়েছে।
প্রকৃতিবিদগণ বাগানবিলাসকে ‘অর্নামেন্টাল প্ল্যান্ট’ বা ‘শোভাবর্ধক উদ্ভিদ’ হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। এর কোন ভেষজ গুণের কথা আজ পর্যন্ত শোনা যায়নি।
তবে অন্যান্য টক্সিকোডেনড্রোন প্রজাতির গাছের ন্যায় বাগানবিলাস গাছের বিষাক্ত রসের সংস্পর্শে চামড়ায় ফুসকুড়ির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
আমাদের ওঙ্কার ধামে বেশ কয়েকটি বাগানবিলাস আছে , তার মধ্যে আমাদের গেটের গোলাপী রঙের গাছটির বয়স প্রায় ২৫ বছর। এই গাছটির জন্যই এলাকায় ওঙ্কার ধাম ফুলগাছ ওলা বাড়ী ও দোকান নামে পরিচিত। পরে আমার মেয়ে তিতলির শখে সাদা ও হলুদ রঙের দুটি গাছ লাগানো হয়।
এর পাপড়িগুলো খুব পাতলা আর রঙিন কাগজের মতো দেখতে বলে কোথাও কোথাও এটি পরিচিত ‘কাগজ ফুল’ নামেও। তবে বোগেনভিলা, বাগানবিলাস, গেইট ফুল বা কাগজ ফুল যেখানে যে নামেই ডাকা হোক না কেন নিসর্গ প্রেমীদের কাছে এর আবেদন চিরন্তন ও সর্বজনীন।
অঝোরে নামবে বুঝি শ্রাবন ঝরায়ে
কবিতার বই সবে খুলেছি
হিমেল হাওয়ায় মন ভিজেছে
জানালার পাশে চাঁপা মাধবী
বাগানবিলাসী, হেনা দুলেছে
আজ কেন মন উদাসী হয়ে
দূর অজানায় চায় হারাতে........"
বহুশ্রুত এই গানে উল্লেখিত বাগানবিলাস হলো আমাদের খুবই পরিচিত অনিন্দ্য সুন্দর একটা ফুল বোগেনভোলিয়া।
আমাদের নাগরিক জীবনে এক ঝলক স্নিগ্ধতার পরশ বুলিয়ে দিতে বাগানবিলাসের জুড়ি নেই। আপনি হয়তো রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, তখন দেখলেন কোন বাড়ির গেটের উপর থেকে ঝুলে আছে লাল বাগানবিলাসের ঝোপ। আপনার পথচলার সব ক্লান্তি নিমেষেই দূর হয়ে যাবে তাতে। আবার শহর থেকে অনেক দূরের গ্রামীণ জনপদেও সে দূর্লভ বা অনাদৃতা নয়। অবশ্য এই সুন্দরী' কাগজফুল\ গেইট ফুল’ নামেই বেশি পরিচিত। বাড়ির সদর দরজায় বেশি মানানসই বলেই হয়তো সবাই একে এই নামেই ডাকে।
আমাদের বাড়ির খুব কাছেই জিরাট ও কালিয়াগড়ের প্রাচীনতম দেবালয় সিদ্ধেশ্বরী মন্দির। পাশেই বর্তমান সেবাইত চট্টোপাধ্যায় বাড়ি। মনে পরে খুব ছেলেবেলায় মায়ের সাথে মন্দিরে যাওয়ার সময় ওই বাড়ির গেটে প্রথম দেখেছিলাম এই শ্বেতাম্বরী সুন্দরী কে , গেট আলো করে ফুটে থাকতো সাদা বোগেনভোলিয়া বা বাগানবিলাস। মুগ্ধ হয়েছিলাম ,...... ভালোবাসার সূচনা সেই সময় থেকেই।
বাগানবিলাস গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের লতা-গুল্ম জাতীয় একটি সুদৃশ্য ফুলগাছ। মূলতঃ উষ্ণমণ্ডলীয় দেশসমূহ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে গৃহসজ্জ্বা কিংবা বাড়ীর চারপাশের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে লতাজাতীয় গুল্ম হিসেবে বাগানবিলাস লাগানো হয়। বিশ্বের সর্বত্র গরম আবহাওয়ায় ছায়াচ্ছন্ন পথ তৈরী ও বারান্দার শোভা বর্ধনে বাগানবিলাস লাগানো হয়।
বাগানবিলাসের ইংরেজি নাম Bougainvillea এবং উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Bougainvillea glabra. দক্ষিন আমেরিকার ব্রাজিল, পেরু, আর্জেন্টিনা এই দেশগুলো বাগানবিলাসের আদি নিবাস। ফ্রান্সের বিখ্যাত নাবিক দ্য বোগেনভিলা ১৭৬৬-১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে জলপথে পৃথিবী ভ্রমণ করেন। সেই সময় তিনি ব্রাজিলের জঙ্গলে এই ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন এবং এই ফুলটি সংগ্রহ করেন। সে থেকেই তার নামানুসারে এর নাম হয় বোগেনভেলিয়া। আমাদের দেশের মাটি,জলবায়ু আর মানুষের সাথে বাগানবিলাস এমনভাবে মিশে গেছে যে, এখন এই সময়ে এসে এই ফুলকে দেখলে কোনকালে যে এটা বিদেশি ফুল ছিল তেমনটা আর মনেই হয় না। বোগেনভিলার বাংলা নাম বাগানবিলাস প্রবর্তন করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তৎকালীন কোন এক অভিজাত, বিলাসী লোকের বাড়ির বাগানে রবি ঠাকুর প্রথম দেখেন এই ফুল। অপূর্ব এই ফুলের রঙ ও রূপে কবি যারপরনাই মুগ্ধ হন।তিনি কৌতূহলে এর নাম জানতে চান। অপরূপ সুন্দর এই ফুলের বিদেশি নাম শুনে কবি কিছুটা অখুশি হন। তখন তিনি এর নাম দেন ‘বাগানবিলাস’। সেই থেকে বিদেশি ফুল ‘বোগেনভিলিয়া ’ হয়ে গেল আমাদের নিজস্ব ফুল ‘বাগানবিলাস’।
বাগানবিলাস ফুলের বৈশিষ্ট্য হল এ গাছ ছাদের প্রচণ্ড গরম ও রোদ সহ্য করতে পারে। তাই তো ছাদ, কার্নিশ, ব্যালকনি, গ্যারেজ সাজাতে এর জুড়ি নেই। লম্বায় এই গাছ ১-১২ মিটার পর্যন্ত হয়। এটা নির্ভর করে গাছটি কত উঁচু অবলম্বন ধরে বেড়ে উঠছে সম্পূর্ণ তার উপর। বাগানবিলাস কাঁটাযুক্ত গাছ; এর কাঁটাগুলো ভালোই তীক্ষ্ণ।
বাগানবিলাসের এতো কদর মূলত এর ফুলের কারণেই। ফুল খুবই ছোট এবং গন্ধহীন। ফুলগুলোর একটা থেকে আরেকটার দূরত্ব থাকে খুব কম; অর্থাৎ এরা থাকে খুব ঘন। প্রতিটি ফুলে তিনটি বৈচিত্র্যপূর্ণ রঙিন পাতাকৃতি পাপড়ি তিন দিক থেকে একে অপরকে ঘিরে থাকে। ঘেরাওয়ের ভিতরে থাকে পুংকেশর, স্ত্রীকেশর ইত্যাদি। সেই পাপড়ির আবার বিভিন্ন রঙ-গোলাপী, ম্যাজেন্টা, বেগুনী, লাল, কমলা, হলুদ, সাদা। এক গাছেই আবার কয়েক রঙ এর সমাহার ও থাকতে পারে। পৃথিবী ব্যাপি বাগানবিলাসের ১৮টি প্রজাতির সন্ধান মেলে। আমাদের দেশে লাল রঙের প্রজাতিটি বেশি দেখা গেলেও হলুদ, সাদা, কমলা এবং মিশ্র রঙের একটি প্রজাতি ও দেখা যায়।
বাগানবিলাসের নতুন ডালে ফুল হয় বেশি। তাই এই গাছ বছরে একবার ছেঁটে দিতে হয়। গাছ ছাঁটার উপযোগী সময় হল মে মাস। উষ্ণ আবহাওয়ায় সারা বছরই বাগানবিলাস ফুল দেয়। তবে শরতের শেষ এবং শীতের শুরুতে বাগানবিলাসের গাছে গাছে ফুলের সমাহার দেখা যায়। এ গাছের বংশবৃদ্ধি করা সম্ভব কাটিং, গুটি কলম ও চোখ কলম করে। তবে আমাদের দেশে বাগানবিলাসের চারার জন্য প্রধানত গুটিকলম ও দাবা কলমই করা হয়ে থাকে।
বিভিন্ন প্রজাতির বাগানবিলাস রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে গুয়াম দ্বীপপুঞ্জ,মাতসু দ্বীপপুঞ্জ, তাইওয়ানের পিংটুং কাউন্টি; মালয়েশিয়ার ইপোহ; ফিলিপাইনের তাগবিলরন; ক্যালিফোর্নিয়ার কেমারিলো, নাগুনা নিগুয়েল, স্যান ক্লিমেন্টে; চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনঝেন, হুইঝো, ঝুহাই এবং জিয়াংমেন; ওকিনাওয়ার নাহায়ে প্রচলিত রয়েছে।
প্রকৃতিবিদগণ বাগানবিলাসকে ‘অর্নামেন্টাল প্ল্যান্ট’ বা ‘শোভাবর্ধক উদ্ভিদ’ হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। এর কোন ভেষজ গুণের কথা আজ পর্যন্ত শোনা যায়নি।
তবে অন্যান্য টক্সিকোডেনড্রোন প্রজাতির গাছের ন্যায় বাগানবিলাস গাছের বিষাক্ত রসের সংস্পর্শে চামড়ায় ফুসকুড়ির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
আমাদের ওঙ্কার ধামে বেশ কয়েকটি বাগানবিলাস আছে , তার মধ্যে আমাদের গেটের গোলাপী রঙের গাছটির বয়স প্রায় ২৫ বছর। এই গাছটির জন্যই এলাকায় ওঙ্কার ধাম ফুলগাছ ওলা বাড়ী ও দোকান নামে পরিচিত। পরে আমার মেয়ে তিতলির শখে সাদা ও হলুদ রঙের দুটি গাছ লাগানো হয়।
এর পাপড়িগুলো খুব পাতলা আর রঙিন কাগজের মতো দেখতে বলে কোথাও কোথাও এটি পরিচিত ‘কাগজ ফুল’ নামেও। তবে বোগেনভিলা, বাগানবিলাস, গেইট ফুল বা কাগজ ফুল যেখানে যে নামেই ডাকা হোক না কেন নিসর্গ প্রেমীদের কাছে এর আবেদন চিরন্তন ও সর্বজনীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন