ওঙ্কার ধামে ফোটা গ্লাডিওলাস ফুল,ফটো :-তিতলি |
গ্লাডিওলাস ফুল ইদানিংকালে আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এর ইংরেজি নাম Sword lily ও বৈজ্ঞনিক নাম Gladiolus sp. গ্লাডিওলাস ফুল কমবেশি সারাবছরই আমাদের দেশে উৎপাদন করা হয়। গ্লাডিওলাস ফুল বিভিন্ন রঙ- এর হয়ে থাকে। যেমন-সাদা, হলুদ, গোলাপী, লাল, ফিকে লাল, বেগুনী ইত্যাদি। যে কোনো উৎসবে এই ফুলের উপস্থিতি দেখা যায়। টিনা, পুনম, ফ্রেন্ডশিপ, হোয়াইট ফ্রেন্ডশিপসহ বিভিন্ন প্রজাতির গ্গ্ন্যাডিওলাস ফুল রয়েছে। বেশি জৈব পদার্থযুক্ত মাটিই গ্লাডিওলাস ফুল চাষের জন্য ভালো। যে জমিতে এই ফুল চাষ করা হবে তাতে যেন জল নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এই ফুলের চারা সাধারণত কন্দ থেকে তৈরি হয়। কন্দ লাগানোর আগে জমি ভালো করে তৈরি করে নিতে হবে। কন্দের আকৃতির ওপর সাধারণত নির্ভর করে ফুলের আকার ও আকৃতি। ফুল সংগ্রহ : এগাছ থেকে ফুল ৭০-৯০ দিনের মধ্যেই সংগ্রহ করা যায়। দুপুরে গাছ থেকে ফুল তোলা যাবে না।
foto:-Anirban Mukherjee |
গ্গ্ন্যাডিওলাস ফুলের চাহিদা প্রচুর। বংশবিস্তার ১. বীজ, গুঁড়ি কন্দ ও গুঁড়ি কন্দের গায়ে জন্মানো ছোট ছোট কন্দ থেকে গ্লাডিওলাসের বংশবিস্তার করা যায়। ২. বীজ থেকে তৈরি চারাতে ফুল আসতে অনেক সময় লাগে এবং জাতিগত বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে না। তাই বীজ দিয়ে সাধারণত বংশবিস্তার করা হয় না। ৩. ফুল দেয়া শেষ হলে গাছ শুকিয়ে যায়। এ সময় মাটি খুঁড়ে গ্লাডিওলাসের কন্দ তুলে নিয়ে এর গায়ে জন্মানো ছোট কন্দগুলো আলাদা করে নিতে হবে। ৪. এর কন্দগুলোর গায়ে লেগে থাকা মাটি পরিষ্কার করে নিয়ে কন্দগুলো ছায়াযুক্ত জায়গায় রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। ৫. শুকানোর পর কন্দগুলো কিছুটা অন্ধকার শুকানো জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে। ৬. এগুলো সুপ্ত অবস্থা অতিক্রম করে গজানো শুরু করলে নতুন ফুল গাছের জন্য মাটিতে রোপণ করতে হবে।
ডাক্তার বাগানের গ্লাডিওলাস ফুল,ফটো:-ইন্দ্রজিৎ ব্যানার্জী |
আমাদের ওঙ্কার ধামের কাছেই আছে ডাঃ ব্যানার্জীর বাগান ও নার্সারী,যা এলাকায় ডাক্তার বাগান নামে পরিচিত। এনারা প্রায় তিন পুরুষ ধরে গ্লাডিওলাসের চাষ করে আসছেন। বাগানের বর্তমান কর্ণধার ইন্দ্রজিৎ ব্যানার্জী (মন্টুদা) আমার অগ্রজপ্রতিম।
আমি প্রতি বছরই বাগানে শখ করে গ্লাডিওলাস লাগাই, এই ফুল মনের বড়োই শান্তি দেয়।
.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন