‘হঠাৎ কিসের মন্ত্র এসে
ভুলিয়ে দিলে এক নিমেষে
বাদল বেলার কথা,
হারিয়ে পাওয়া আলোটিরে
নাচায় ডালে ফিরে ফিরে
ঝুমকো ফুলের লতা।’
দেখতে অনেকটাই কানের অলংকার ঝুমকোর মতো। সেই সুবাদে ফুলটির পরিচিতি ঝুমকো লতা বলে। আবার স্থানীয়ভাবে এর পরিচিতি রাধিকা নাচন। হালকা বেগুনি রঙের আভায় ফোটা ঝুমকো লতা সত্যি বাহারি এক ফুল।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর প্রিয়াকে বলছেন,
"নাই পরিলে নোটন খোঁপায়
ঝুমকো জবার ফুল,
এমনি এসো লুটিয়ে পিঠে
আকুল এলোচুল।"
ঝুমকো লতানো উদ্ভিদের ফুল। ডালপালা ও পাতা শক্ত ও দৃঢ়। সাধারণত ফুল ফোটে গ্রীষ্মে ও বর্ষায়। পৃথিবী জুড়ে ঝুমকো ফুলের প্রায় পাঁচশটি প্রজাতি আছে। ইংরেজীতে Passion flower বা Love-in-a-mist বলে। বৈজ্ঞানিক নাম Passiflora spp. মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি দেখা যায় আমাদের দেশে। এখানে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় নীল ও বেগুনি রঙের সুগন্ধি ফুলগুলো।
এদের আদি নিবাস ব্রাজিল। তবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় এদের বেশ দেখা যায়। দাবা কলমের মাধ্যমে এদের বংশবিস্তার হয়। ফুলের অতুলনীয় সৌন্দর্য, রূপ আর মিষ্টি মাদকময় গন্ধের জন্য ঝুমকো লতা সবার প্রিয়।
আমাদের ওঙ্কার ধামে প্রায় ৩ রকম প্রজাতির পাসসিফ্লরা বা ঝুমকোলতা ছিল , পরে বিভিন্ন কারনে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। অজ্ঞাত কারণে আর কিছুতেই বাঁচাতে পারছিলাম না আমার প্রিয় ঝুমকোলতাদের। গতবছর বর্ষায় আমি,স্বাতী আর আমার মেয়ে তিতলি একটা আশ্রমে গিয়েছিলাম ,( প্রসঙ্গত জানাই ছুটি পেলেই আমরা তিনজনে বেরিয়ে পড়তাম কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য না নিয়েই , সঙ্গী আমার হুন্ডাই ,সারাদিন ইচ্ছেমতো ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় বা রাত্রে ফিরতাম ) আশ্রমে একটি চালা জুড়ে ফুল ফুটে আলো হয়ে আছে ঝুমকোলতা।
তিতলি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল ,'এটা কি গাছ বাবা,কি সুন্দর ফুল,...! এই গাছ কিন্তু আমার চাই,' জোগাড় হলো ২ টি চারা , তিতলি নিজের হাতে লাগলো আমাদের সিঁড়ির পাশে। আমি সাধারণত একটু লেট -রাইজার , বাগানে কোনো নতুন ফুল ফুটলে আমাকে ডেকে তুলে না দেখানো পর্যন্ত শান্তি হতো না আমার তিতলি মায়ের। এই বছর বর্ষায় একদিন সকাল ৮ টা নাগাদ ব্যালকনিতে গিয়ে দেখি তিতলির লাগানো ঝুমকোলতায় ৫ তা ফুল ফুটেছে,...........
এটা দেখলে যে আনন্দ করে আমাকে ডেকে দেখাতো সেই আমার তিতলিমা আজ বহু দূরে, অমৃতলোকে, ওর প্রিয় মেঘ,চাঁদ,ফুল,পাখি আর প্রজাপতিদের দেশে ,........!!!
স্বাতী কে ডেকে দেখলাম ফুলগুলো, আমাদের দু জনের চোখেই জলের ধারা,............ আমি জানি আমার মেয়ে তিতলি ও দেখছে ওর নিজের হাতে লাগানো ঝুমকোলতাদের , হয়তো আমাকে ডেকে বলছে 'বাবা দ্যাখো আমার গাছে প্রথম ফুল ফুটেছে ' শুধু আমরা শুনতে পাচ্ছি ,........... বা এগুলোই আমার মেয়ে তিতলি। মনে পড়লো ইংরেজ কবি লর্ড টেনিসনের কবিতাটা,
"There has fallen a splendid tear
From the passion flower at the gate.
She is coming, my love, my dear;
She is coming, my life, my fate."
ভালো থাকিস আমার সোনা মা, তোর প্রিয় ফুলেদের দেশে ফুলেদের সাথে ,........................
ভুলিয়ে দিলে এক নিমেষে
বাদল বেলার কথা,
হারিয়ে পাওয়া আলোটিরে
নাচায় ডালে ফিরে ফিরে
ঝুমকো ফুলের লতা।’
দেখতে অনেকটাই কানের অলংকার ঝুমকোর মতো। সেই সুবাদে ফুলটির পরিচিতি ঝুমকো লতা বলে। আবার স্থানীয়ভাবে এর পরিচিতি রাধিকা নাচন। হালকা বেগুনি রঙের আভায় ফোটা ঝুমকো লতা সত্যি বাহারি এক ফুল।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর প্রিয়াকে বলছেন,
"নাই পরিলে নোটন খোঁপায়
ঝুমকো জবার ফুল,
এমনি এসো লুটিয়ে পিঠে
আকুল এলোচুল।"
ঝুমকো লতানো উদ্ভিদের ফুল। ডালপালা ও পাতা শক্ত ও দৃঢ়। সাধারণত ফুল ফোটে গ্রীষ্মে ও বর্ষায়। পৃথিবী জুড়ে ঝুমকো ফুলের প্রায় পাঁচশটি প্রজাতি আছে। ইংরেজীতে Passion flower বা Love-in-a-mist বলে। বৈজ্ঞানিক নাম Passiflora spp. মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি দেখা যায় আমাদের দেশে। এখানে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় নীল ও বেগুনি রঙের সুগন্ধি ফুলগুলো।
এদের আদি নিবাস ব্রাজিল। তবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় এদের বেশ দেখা যায়। দাবা কলমের মাধ্যমে এদের বংশবিস্তার হয়। ফুলের অতুলনীয় সৌন্দর্য, রূপ আর মিষ্টি মাদকময় গন্ধের জন্য ঝুমকো লতা সবার প্রিয়।
আমাদের ওঙ্কার ধামে প্রায় ৩ রকম প্রজাতির পাসসিফ্লরা বা ঝুমকোলতা ছিল , পরে বিভিন্ন কারনে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। অজ্ঞাত কারণে আর কিছুতেই বাঁচাতে পারছিলাম না আমার প্রিয় ঝুমকোলতাদের। গতবছর বর্ষায় আমি,স্বাতী আর আমার মেয়ে তিতলি একটা আশ্রমে গিয়েছিলাম ,( প্রসঙ্গত জানাই ছুটি পেলেই আমরা তিনজনে বেরিয়ে পড়তাম কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য না নিয়েই , সঙ্গী আমার হুন্ডাই ,সারাদিন ইচ্ছেমতো ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় বা রাত্রে ফিরতাম ) আশ্রমে একটি চালা জুড়ে ফুল ফুটে আলো হয়ে আছে ঝুমকোলতা।
তিতলি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল ,'এটা কি গাছ বাবা,কি সুন্দর ফুল,...! এই গাছ কিন্তু আমার চাই,' জোগাড় হলো ২ টি চারা , তিতলি নিজের হাতে লাগলো আমাদের সিঁড়ির পাশে। আমি সাধারণত একটু লেট -রাইজার , বাগানে কোনো নতুন ফুল ফুটলে আমাকে ডেকে তুলে না দেখানো পর্যন্ত শান্তি হতো না আমার তিতলি মায়ের। এই বছর বর্ষায় একদিন সকাল ৮ টা নাগাদ ব্যালকনিতে গিয়ে দেখি তিতলির লাগানো ঝুমকোলতায় ৫ তা ফুল ফুটেছে,...........
এটা দেখলে যে আনন্দ করে আমাকে ডেকে দেখাতো সেই আমার তিতলিমা আজ বহু দূরে, অমৃতলোকে, ওর প্রিয় মেঘ,চাঁদ,ফুল,পাখি আর প্রজাপতিদের দেশে ,........!!!
স্বাতী কে ডেকে দেখলাম ফুলগুলো, আমাদের দু জনের চোখেই জলের ধারা,............ আমি জানি আমার মেয়ে তিতলি ও দেখছে ওর নিজের হাতে লাগানো ঝুমকোলতাদের , হয়তো আমাকে ডেকে বলছে 'বাবা দ্যাখো আমার গাছে প্রথম ফুল ফুটেছে ' শুধু আমরা শুনতে পাচ্ছি ,........... বা এগুলোই আমার মেয়ে তিতলি। মনে পড়লো ইংরেজ কবি লর্ড টেনিসনের কবিতাটা,
"There has fallen a splendid tear
From the passion flower at the gate.
She is coming, my love, my dear;
She is coming, my life, my fate."
ভালো থাকিস আমার সোনা মা, তোর প্রিয় ফুলেদের দেশে ফুলেদের সাথে ,........................
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন