মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৬

পারুল-লতা

পারুল-লতা পারুল-লতা
       একটি কথা কই,
তোমার রূপে মুগ্ধ হলাম
       হবে আমার সই ?

শিশিরভেজা হেমন্তের প্রকৃতিতে অন্যান্য ঋতুর চেয়ে ফুলের সংখ্যা অনেক কম। হিমঝুরি, দেবকাঞ্চন, রাজ অশোক, সোনাপাতি ইত্যাদি ফুল থাকলে আপন মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে শোভা ছড়ায় লতা-পারুল। লতা-পারুল কাষ্ঠল, শক্ত, লতানো গুল্ম। ইংরেজি নাম: Garlic vine, বৈজ্ঞানিক নাম Mansoa alliacea. এটি Bignoniaceae পরিবারের উদ্ভিদ। লতা-পারুলের সমনামগুলো হল-Cydista aequinoctialis, Bignonia alliacea, Pseudocalymma alliaceum, Adenocalymma alliaceum. ফুলটি বাংলায় নীল-পারুল, রসুন্দি, নীলঘণ্টা ইত্যাদি নামে পরিচিত। লতা-পারুলের আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। উত্তর ও মধ্য আমেরিকাসহ ব্রাজিলে ফুলটির বিস্তার রয়েছে। ফুলপ্রেমীদের ভালোবাসার জন্যই বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ফুলটিকে দেখা যায়। ঝোপালো চিরসবুজ এ লতা কোনো গাছ বেয়ে বেয়ে উপরে উঠে মাঝারি ঝোপের আকার নেয়। পাতায় রসুনের মতো গন্ধ থাকে। ফুলের রঙ হয় হালকা বেগুনি। বড় বড় থোকায় অনেক ফুল ফোটে। দল ফানেলাকার। পাপড়ি পাঁচটি মুক্ত। পাতা যৌগিক। পত্রক আয়তাকার, চার থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার লম্বা, মসৃণ। শীর্ষের পত্রক প্রায়ই আকর্ষীতে পরিণত। রোদের তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাপড়িগুলো কিছুটা ঢলে পড়ে। হালকা ছায়া-রোদের পরিবেশে লতা-পারুল ভালো জন্মে, ফুলের উজ্জ্বলতা থাকে অনেকদিন। ফুলটিকে ঢোলকলমির কিংবা মাইক ফুল বলে মনে হতে পারে। কলমে চাষ হয়। শিকড় থেকেও চারা গজায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন