ছি ছি সখা কি করিলে,
কোন্ প্রাণে পরশিলে
কামিনীকুসুম;
ছিল বন আলো করিয়া—
মানুষপরশ-ভরে
শিহরিয়া সকাতরে
ওই যে শতধা হয়ে পড়িল গো ঝরিয়া।
জান তো কামিনী সতী,
কোমল কুসুম অতি
দূর হ’তে দেখিবারে, ছুঁইবারে নহে সে—
দূর হ’তে মৃদু বায়, গন্ধ তার দিয়ে যায়,
কাছে গেলে মানুষের শ্বাস নাহি সহে সে।
মধুপের পদক্ষেপে পড়িতেছে কেঁপে কেঁপে,
কাতর হতেছে কত প্রভাতের সমীরে!
--রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কামিনী ফুল যখন ফোটে তখন পরিপূর্ণ পুষ্পিত ডাল অসংখ্য ফুলের ভারে নুয়ে পড়ে। সুগন্ধি ছড়িয়ে দেয় বাতাসে। বৃষ্টিস্নাত দিনে কিংবা অবাধ্য বাতাসের ঝাপটায় কামিনী গাছ থেকে দলবেঁধে ঝরে পড়ে সাদা সাদা পাপড়ি। গাছের দিকে তাকালে দেখা যায় তখনো পাতার ফাঁকে স্নিগ্ধ হাসছে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল। ফুলের পাপড়ি ঝরে ঝরে গাছের তলাটি দেখে তখন মনে হবে কেউ যেন মায়াবী সাদা চাদর বিছিয়ে দিয়েছে। এ ফুলটিকে একটু ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছায় হাত বাড়ালে নিমিষেই ঝরে যাবে সব পাপড়ি, শুধু আঙুলে লেগে থাকবে মিষ্টি গন্ধ।
এ ফুলের আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। কারো কারো মতে চীন। বৈজ্ঞানিক নাম Murraya exotica. এটি Rutaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ। অন্যান্য স্থানীয় নামের মধ্যে Orange Jasmine, Chinese box উল্লেখযোগ্য।
কিছুটা বড় আকারের পাতা ও ফুলের থোকার আরেকটি ভারতীয় প্রজাতি Murraya paniculate আছে। বীজ ও কলমের মাধ্যমে বংশবিস্তার হয়।
ছোটখাটো ধরনের গাছ, ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ফুলের পাঁচ পাপড়ির মাঝে একটি হলদে পরাগ কেশর থাকে। দুধ সাদা এই ফুল গুচ্ছবদ্ধ, অনেকটা লেবু ফুলের মতো। বর্ষার ফুল হলেও বছরে বেশ কয়েকবার কামিনী ফোটে।
শুধু ফুলের সৌরভ কিংবা রূপ নয়, কামিনীর পাতার সৌন্দর্য মুগ্ধ হওয়ার মতো। ঘন বিন্যস্ত ছোট চিরসবুজ পাতাগুলো বেশ দৃষ্টিনন্দন। তাই এর বাণিজ্যিক ব্যবহারও লক্ষণীয়। পুষ্পস্তবক তৈরি ও বিয়ের সজ্জায় কামিনী পাতার ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়।
কোন্ প্রাণে পরশিলে
কামিনীকুসুম;
ছিল বন আলো করিয়া—
মানুষপরশ-ভরে
শিহরিয়া সকাতরে
ওই যে শতধা হয়ে পড়িল গো ঝরিয়া।
জান তো কামিনী সতী,
কোমল কুসুম অতি
দূর হ’তে দেখিবারে, ছুঁইবারে নহে সে—
দূর হ’তে মৃদু বায়, গন্ধ তার দিয়ে যায়,
কাছে গেলে মানুষের শ্বাস নাহি সহে সে।
মধুপের পদক্ষেপে পড়িতেছে কেঁপে কেঁপে,
কাতর হতেছে কত প্রভাতের সমীরে!
--রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কামিনী ফুল যখন ফোটে তখন পরিপূর্ণ পুষ্পিত ডাল অসংখ্য ফুলের ভারে নুয়ে পড়ে। সুগন্ধি ছড়িয়ে দেয় বাতাসে। বৃষ্টিস্নাত দিনে কিংবা অবাধ্য বাতাসের ঝাপটায় কামিনী গাছ থেকে দলবেঁধে ঝরে পড়ে সাদা সাদা পাপড়ি। গাছের দিকে তাকালে দেখা যায় তখনো পাতার ফাঁকে স্নিগ্ধ হাসছে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল। ফুলের পাপড়ি ঝরে ঝরে গাছের তলাটি দেখে তখন মনে হবে কেউ যেন মায়াবী সাদা চাদর বিছিয়ে দিয়েছে। এ ফুলটিকে একটু ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছায় হাত বাড়ালে নিমিষেই ঝরে যাবে সব পাপড়ি, শুধু আঙুলে লেগে থাকবে মিষ্টি গন্ধ।
এ ফুলের আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। কারো কারো মতে চীন। বৈজ্ঞানিক নাম Murraya exotica. এটি Rutaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ। অন্যান্য স্থানীয় নামের মধ্যে Orange Jasmine, Chinese box উল্লেখযোগ্য।
কিছুটা বড় আকারের পাতা ও ফুলের থোকার আরেকটি ভারতীয় প্রজাতি Murraya paniculate আছে। বীজ ও কলমের মাধ্যমে বংশবিস্তার হয়।
ছোটখাটো ধরনের গাছ, ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ফুলের পাঁচ পাপড়ির মাঝে একটি হলদে পরাগ কেশর থাকে। দুধ সাদা এই ফুল গুচ্ছবদ্ধ, অনেকটা লেবু ফুলের মতো। বর্ষার ফুল হলেও বছরে বেশ কয়েকবার কামিনী ফোটে।
শুধু ফুলের সৌরভ কিংবা রূপ নয়, কামিনীর পাতার সৌন্দর্য মুগ্ধ হওয়ার মতো। ঘন বিন্যস্ত ছোট চিরসবুজ পাতাগুলো বেশ দৃষ্টিনন্দন। তাই এর বাণিজ্যিক ব্যবহারও লক্ষণীয়। পুষ্পস্তবক তৈরি ও বিয়ের সজ্জায় কামিনী পাতার ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন