"রাঙা হাসি রাশি রাশি অশোকে পলাশে ,রাঙা নেশা মেঘে মেশা প্রভাত বেলা সে".................ফুলের নাম- অশোক
বৈজ্ঞানিক নাম- Saraca asoca
পরিবার- Fabaceae
অন্যান্য নাম- হেমাপুষ্প, অঞ্জনপ্রিয়া, মধুপুষ্প
পলাশের মতোই আগুনরঙা আর একটি ফুল হল অশোক ,এটিও অত্যন্ত প্রাচীন একটি ফুল। রামায়ণে আমরা এই গাছটির উল্লেখ পেয়েছি ,রাবন সীতাকে হরণ করে অশোককাননে চেরিপরিবৃতা বন্দিনী করে রেখেছিলো। ভেবে নেওয়া যেতে পারে আর্যদের আগমনকালে অশোক ছিল একটি অতি পরিচিত গাছ।
অশোক গাছ আমাদের দেশের প্রায় সব জায়গায়ই দেখা যায়। এটি ভারত উপমহাদেশের গাছ।এর পাতা ও ফুল সুন্দর বলে অনেক জায়গায়ই অশোক গাছ লাগানো হয়। পাতাগুলো বল্লমাকার দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫ সেন্টিমিটারের মতো। এই গাছের আর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এর বাকলগুলোর গা মসৃণ হয় না, তবে এই গাছের অনেক ভেষজ গুণ আছে। অশোক একটি মাঝারি আকারের গাছ। এর ফুলগুলো ছোট ছোট এবং গুচ্ছবদ্ধ হয়ে ফোটে। সুন্দর কমলা আর লাল রংয়ের হয়ে থাকে। অন্য আর একটি প্রজাতি দেখতে পাওয়া যায় যার ফুলের রঙ হলুদ।ফুলগুলো ফোটে পলাশের মতো বসন্তকালে।
মূলত ফুলের জন্যই গাছটি বিখ্যাত। কারণ বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এই ফুল কিছুটা আলাদা। কম সংখ্যক উদ্ভিদ প্রজাতির ক্ষেত্রেই কাণ্ড থেকে ডালপালাজুড়ে ফুল ফোটে। শুধু তাই নয়, এদের প্রস্টম্ফুটনকালও অতি দীর্ঘ। আমাদের এই দেশি বৃক্ষটির খ্যাতি সুপ্রাচীন। অশোক কে বলা হয় দুঃখহারী।
স্বর্ণঅশোকে নাম শুনলেই মনে পড়ে সোনালী রং এর কথা। আসলে স্বর্ণঅশোক একটা দুর্লভ ফুল। এর স্থানীয় অন্যান্য কোনো নাম নেই। ফুল ফোটে হেমন্তে ও শীত মৌসুমে। জন্মস্থান : মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা।
আমাদের দেশে যে কয় ধরনের অশোক পাওয়া যায় তার মধ্যে স্বর্ণঅশোক বেশ আকর্ষণীয় ও একই সঙ্গে দুষ্প্রাপ্য।অন্যান্য অশোকের সঙ্গে প্রস্ফুটনকালের কিছুটা ভিন্নতা আছে। ফুল উজ্জ্বল সোনালি রঙের বলেই নাম স্বর্ণঅশোক। গাছ মাঝারি আকৃতির। কাণ্ড কালচে রঙের, ডালপালা ঊর্ধ্বমুখী ও শক্তপোক্ত ধরনের।
তবে অন্যান্য অশোকের তুলনায় স্বর্ণঅশোকের পাতা খানিকটা বড়। সাধারণত বাংলা মাসের পৌষ-মাঘ প্রধান প্রস্ফুটন মৌসুম। সারা গাছজুড়ে হলুদ-সোনালি রঙের অসংখ্য গুচ্ছবদ্ধ ফুল ফোটে। তখন ডালপালা পুষ্পভারে কিছুটা আনত থাকে। গুচ্ছবদ্ধ ফুলগুলো উজ্জ্বল রঙের হওয়ায় অনেক দূর থেকেই নজর কাড়ে।
স্বর্ণঅশোক চিরসবুজ ছায়াঘন বৃক্ষ। সাধারণত ১০ থেকে ২৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। পত্র পক্ষল যৌগিক, পত্রাক্ষ ২০ থেকে ৫৬ সেন্টিমিটার লম্বা ও রোমহীন। পুষ্পবিন্যাস করিম্ব, ১৭ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার প্রশস্ত, প্রধান শাখাগুলো ৭ থেকে ১৮ সেন্টিমিটার। পুষ্পদলহীন, সোনালি-হলুদ থেকে ফিকে কমলা, নলাকার, মঞ্জুরিপত্র ডিম্বাকার, আশুপাতি, মঞ্জরি ২টি, ২ থেকে ৫ মিমি লম্বা, দীর্ঘায়ত-ভল্লাকার, আশুপাতি, বৃন্ত ১০ মিমি লম্বা, পুষ্পাধার ১ থেকে আড়াই সেন্টিমিটার লম্বা।
বৃত্তাংশ ৪টি, ৫ থেকে ১০ মিমি, হলুদ। পুংকেশর ৩ থেকে ৬টি, পরাগধানী উপবৃত্তাকার, ১ থেকে ২ মিমি লম্বা। ফল পড, ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার, ভল্লাকার-দীর্ঘায়ত, ফিকে লাল, বেগুনি লাল, বাঁকা, ঠোঁটযুক্ত, কখনো প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার। চিরসবুজ অরণ্য এবং উষ্ণ অঞ্চল পছন্দ।
হিন্দু ধর্মে নারীদের লোকাচারে অশোক সষ্টি নামে একটি ব্রত অছে ,এই ব্রত পালনে অশোক ফুল ও কুঁড়ির একটি বিশেষ ভূমিকা আছে।
আমাদের ওঙ্কারধামে একটি অশোক গাছ ছিল আমার মায়ের লাগানো ,কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত ২০০৯ সালে এক কালবৈশাখী ঝড়ে গাছটি উল্টে যায় এবং মারা যায়।
বৈজ্ঞানিক নামঃ Saraca indica
পরিবার: Fabacea
বৈজ্ঞানিক নাম- Saraca asoca
পরিবার- Fabaceae
অন্যান্য নাম- হেমাপুষ্প, অঞ্জনপ্রিয়া, মধুপুষ্প
পলাশের মতোই আগুনরঙা আর একটি ফুল হল অশোক ,এটিও অত্যন্ত প্রাচীন একটি ফুল। রামায়ণে আমরা এই গাছটির উল্লেখ পেয়েছি ,রাবন সীতাকে হরণ করে অশোককাননে চেরিপরিবৃতা বন্দিনী করে রেখেছিলো। ভেবে নেওয়া যেতে পারে আর্যদের আগমনকালে অশোক ছিল একটি অতি পরিচিত গাছ।
অশোক গাছ আমাদের দেশের প্রায় সব জায়গায়ই দেখা যায়। এটি ভারত উপমহাদেশের গাছ।এর পাতা ও ফুল সুন্দর বলে অনেক জায়গায়ই অশোক গাছ লাগানো হয়। পাতাগুলো বল্লমাকার দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫ সেন্টিমিটারের মতো। এই গাছের আর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এর বাকলগুলোর গা মসৃণ হয় না, তবে এই গাছের অনেক ভেষজ গুণ আছে। অশোক একটি মাঝারি আকারের গাছ। এর ফুলগুলো ছোট ছোট এবং গুচ্ছবদ্ধ হয়ে ফোটে। সুন্দর কমলা আর লাল রংয়ের হয়ে থাকে। অন্য আর একটি প্রজাতি দেখতে পাওয়া যায় যার ফুলের রঙ হলুদ।ফুলগুলো ফোটে পলাশের মতো বসন্তকালে।
মূলত ফুলের জন্যই গাছটি বিখ্যাত। কারণ বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এই ফুল কিছুটা আলাদা। কম সংখ্যক উদ্ভিদ প্রজাতির ক্ষেত্রেই কাণ্ড থেকে ডালপালাজুড়ে ফুল ফোটে। শুধু তাই নয়, এদের প্রস্টম্ফুটনকালও অতি দীর্ঘ। আমাদের এই দেশি বৃক্ষটির খ্যাতি সুপ্রাচীন। অশোক কে বলা হয় দুঃখহারী।
স্বর্ণঅশোকে নাম শুনলেই মনে পড়ে সোনালী রং এর কথা। আসলে স্বর্ণঅশোক একটা দুর্লভ ফুল। এর স্থানীয় অন্যান্য কোনো নাম নেই। ফুল ফোটে হেমন্তে ও শীত মৌসুমে। জন্মস্থান : মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা।
আমাদের দেশে যে কয় ধরনের অশোক পাওয়া যায় তার মধ্যে স্বর্ণঅশোক বেশ আকর্ষণীয় ও একই সঙ্গে দুষ্প্রাপ্য।অন্যান্য অশোকের সঙ্গে প্রস্ফুটনকালের কিছুটা ভিন্নতা আছে। ফুল উজ্জ্বল সোনালি রঙের বলেই নাম স্বর্ণঅশোক। গাছ মাঝারি আকৃতির। কাণ্ড কালচে রঙের, ডালপালা ঊর্ধ্বমুখী ও শক্তপোক্ত ধরনের।
তবে অন্যান্য অশোকের তুলনায় স্বর্ণঅশোকের পাতা খানিকটা বড়। সাধারণত বাংলা মাসের পৌষ-মাঘ প্রধান প্রস্ফুটন মৌসুম। সারা গাছজুড়ে হলুদ-সোনালি রঙের অসংখ্য গুচ্ছবদ্ধ ফুল ফোটে। তখন ডালপালা পুষ্পভারে কিছুটা আনত থাকে। গুচ্ছবদ্ধ ফুলগুলো উজ্জ্বল রঙের হওয়ায় অনেক দূর থেকেই নজর কাড়ে।
স্বর্ণঅশোক চিরসবুজ ছায়াঘন বৃক্ষ। সাধারণত ১০ থেকে ২৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। পত্র পক্ষল যৌগিক, পত্রাক্ষ ২০ থেকে ৫৬ সেন্টিমিটার লম্বা ও রোমহীন। পুষ্পবিন্যাস করিম্ব, ১৭ থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার প্রশস্ত, প্রধান শাখাগুলো ৭ থেকে ১৮ সেন্টিমিটার। পুষ্পদলহীন, সোনালি-হলুদ থেকে ফিকে কমলা, নলাকার, মঞ্জুরিপত্র ডিম্বাকার, আশুপাতি, মঞ্জরি ২টি, ২ থেকে ৫ মিমি লম্বা, দীর্ঘায়ত-ভল্লাকার, আশুপাতি, বৃন্ত ১০ মিমি লম্বা, পুষ্পাধার ১ থেকে আড়াই সেন্টিমিটার লম্বা।
বৃত্তাংশ ৪টি, ৫ থেকে ১০ মিমি, হলুদ। পুংকেশর ৩ থেকে ৬টি, পরাগধানী উপবৃত্তাকার, ১ থেকে ২ মিমি লম্বা। ফল পড, ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার, ভল্লাকার-দীর্ঘায়ত, ফিকে লাল, বেগুনি লাল, বাঁকা, ঠোঁটযুক্ত, কখনো প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার। চিরসবুজ অরণ্য এবং উষ্ণ অঞ্চল পছন্দ।
হিন্দু ধর্মে নারীদের লোকাচারে অশোক সষ্টি নামে একটি ব্রত অছে ,এই ব্রত পালনে অশোক ফুল ও কুঁড়ির একটি বিশেষ ভূমিকা আছে।
আমাদের ওঙ্কারধামে একটি অশোক গাছ ছিল আমার মায়ের লাগানো ,কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত ২০০৯ সালে এক কালবৈশাখী ঝড়ে গাছটি উল্টে যায় এবং মারা যায়।
বৈজ্ঞানিক নামঃ Saraca indica
পরিবার: Fabacea
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন