ফুলের নাম- টগর
অন্যান্য নাম - কাঠমল্লিকা, কাঠকরবী, কাঠমালতী, চাদনী, অনন্ত সাগর, Crape jasmine, Carnation of India, pin-wheel flower ইত্যাদি।
পরিবার- Apocynaceae
নিসর্গী দ্বিজেন শর্মা তার ফুলগুলি যেন কথা বইয়ে লিখেছেন,
"বৈজ্ঞানিক নাম- Tabernaemontana coronaria(Syn. T. divaricata)
অন্যান্য নাম - কাঠমল্লিকা, কাঠকরবী, কাঠমালতী, চাদনী, অনন্ত সাগর, Crape jasmine, Carnation of India, pin-wheel flower ইত্যাদি।
পরিবার- Apocynaceae
নিসর্গী দ্বিজেন শর্মা তার ফুলগুলি যেন কথা বইয়ে লিখেছেন,
"বৈজ্ঞানিক নাম- Tabernaemontana coronaria(Syn. T. divaricata)
ক্রান্তীয় আমেরিকার প্রজাতি। বড় আকারের গুল্ম, কখনো বৃক্ষসম, ১.৫-৪ মিটার
লম্বা, চিরসবুজ। পাতা ৫-১২*২-৫ সেমি, উজ্জ্বল সবুজ, নিচ ফ্যাকাশে, মসৃণ।
শীত ছাড়া প্রায় সারা বছরই ফুল ফোটে। গন্ধহীন বা সুগন্ধি দুই ধরণেরই ফুল
পাওয়া যায়। পাতার কক্ষে বা ডালের আগায় সাদা ফুলে গাছ ভরে যায়। বনে জঙ্গলেও
এই গাছ পাওয়া যায়। একটি প্রজাতির ফুল ৩-৫ সেমি চওড়া, সিঙ্গল বা আধা ডাবল,
ডাবল, গন্ধহীন, দলনলের আগায় ৫ টি পাপড়ি, চ্যপ্টা, কোনো ফুলের পাপড়ির আগা
চোখা কোনোটি গোলাকার। অপর প্রজাতি, ফুল বড়, ডাবল, সুগন্ধি(T. dichotoma)।"
আবার নিসর্গী বিপ্রদাশ বড়ুয়া তার গাছপালা তরুলতা বইয়ে লিখেছেন,
"টগর দুই রকম- থোকা টগর ও একক টগর। ভারতে এই দুই রকমের টগর পাওয়া যায়। একটি টগরের একক পাপড়ি, অন্যটির গুচ্ছ পাপড়ি। এদের "বড় টগর" ও "ছোট টগর" বলা হয়।
টগর চিরহরিৎ ঝোপঝাড়বিশিষ্ট গাছ। ঝাঁকড়া মাথার জন্য টগর গাছ সুন্দর। ডালগুলোও সোজা ওঠে না, বহু শাখা-প্রশাখা নিয়ে ঝোঁপের মতো বাগানের শোভা বাড়ায়। সুন্দর করে ছেঁটে দিলে চমৎকার ঘন ঝোঁপ হয়। কলম করে চারা করা যায়, আবার বর্ষাকালে ডাল লাগালেও হয়। টগর সমতল ভূমির গাছ। পর্বতের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দেখা যায়। বাংলাদেশের বনে-বাদাড়ে টগর এমনিতেই জন্মে। টগরের কাণ্ডের ছাল ধূসর। গাছের পাতা বা ডাল ছিঁড়লে সাদা দুধের মতো কষ ঝরে বলে একে "ক্ষীরী বৃক্ষ" বলা যায়। পাতা ৪-৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা ও এক দেড় ইঞ্চি চওড়া হয়। পাতার আগা ক্রমশ সরু। ফুল দুধ-সাদা। সারা বছর ফুল ফোটে। থোকা টগরের সুন্দর মৃদু গন্ধ হয় কিন্তু একক টগরের গন্ধ নেই। ফুল থেকে ফলও হয়। তার মধ্যে ৩ থেকে ৬ টি বীজ হয়। বড় টগরের বোঁটা মোটা এবং একক ফুল হয়। পাতাও একটু বড়।
আগে টগরের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ছিল Ervatamia coronaria stapf.। এখন বৈজ্ঞানিক নাম Tabernaemonlana divaricata(L.) Br., যা Apocynaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। সারা পৃথিবীতে এই গণের ৪০ টি প্রজাতি আছে। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এই গাছ আমাদের দেশে এসেছে। এর মধ্যে বাংলা ও ভারতে ৪টি প্রজাতি পাওয়া যায়।
টগরের মূল ও শেকড় ওষুধে ব্যবহৃত হয়। শেকড় তেতো ও কটু স্বাদের। এতে কৃমি ও চুলকানি দূর হয়। ঘামাচিতে টগরের কাঠ ঘষে প্রতিদিন চন্দনের মতো গায়ে মাখলে উপকার হয়। অনেকে টগরের কাঁচা ডাল চিবিয়ে দাঁতের অসুখ সারায়।"
ইদানিং 'চায়না টগর ' নামে একটি প্রজাতি এসেছে,"ওঙ্কার ধাম " এও কয়েকটি লাগিয়েছি , এটির উচ্চতা ২ ফুট এর মধ্যেই হয়,ছোট ছোট সাদা ফুলে সবসময় ঢেকে থাকে।
আবার নিসর্গী বিপ্রদাশ বড়ুয়া তার গাছপালা তরুলতা বইয়ে লিখেছেন,
"টগর দুই রকম- থোকা টগর ও একক টগর। ভারতে এই দুই রকমের টগর পাওয়া যায়। একটি টগরের একক পাপড়ি, অন্যটির গুচ্ছ পাপড়ি। এদের "বড় টগর" ও "ছোট টগর" বলা হয়।
টগর চিরহরিৎ ঝোপঝাড়বিশিষ্ট গাছ। ঝাঁকড়া মাথার জন্য টগর গাছ সুন্দর। ডালগুলোও সোজা ওঠে না, বহু শাখা-প্রশাখা নিয়ে ঝোঁপের মতো বাগানের শোভা বাড়ায়। সুন্দর করে ছেঁটে দিলে চমৎকার ঘন ঝোঁপ হয়। কলম করে চারা করা যায়, আবার বর্ষাকালে ডাল লাগালেও হয়। টগর সমতল ভূমির গাছ। পর্বতের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দেখা যায়। বাংলাদেশের বনে-বাদাড়ে টগর এমনিতেই জন্মে। টগরের কাণ্ডের ছাল ধূসর। গাছের পাতা বা ডাল ছিঁড়লে সাদা দুধের মতো কষ ঝরে বলে একে "ক্ষীরী বৃক্ষ" বলা যায়। পাতা ৪-৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা ও এক দেড় ইঞ্চি চওড়া হয়। পাতার আগা ক্রমশ সরু। ফুল দুধ-সাদা। সারা বছর ফুল ফোটে। থোকা টগরের সুন্দর মৃদু গন্ধ হয় কিন্তু একক টগরের গন্ধ নেই। ফুল থেকে ফলও হয়। তার মধ্যে ৩ থেকে ৬ টি বীজ হয়। বড় টগরের বোঁটা মোটা এবং একক ফুল হয়। পাতাও একটু বড়।
আগে টগরের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ছিল Ervatamia coronaria stapf.। এখন বৈজ্ঞানিক নাম Tabernaemonlana divaricata(L.) Br., যা Apocynaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। সারা পৃথিবীতে এই গণের ৪০ টি প্রজাতি আছে। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এই গাছ আমাদের দেশে এসেছে। এর মধ্যে বাংলা ও ভারতে ৪টি প্রজাতি পাওয়া যায়।
টগরের মূল ও শেকড় ওষুধে ব্যবহৃত হয়। শেকড় তেতো ও কটু স্বাদের। এতে কৃমি ও চুলকানি দূর হয়। ঘামাচিতে টগরের কাঠ ঘষে প্রতিদিন চন্দনের মতো গায়ে মাখলে উপকার হয়। অনেকে টগরের কাঁচা ডাল চিবিয়ে দাঁতের অসুখ সারায়।"
ইদানিং 'চায়না টগর ' নামে একটি প্রজাতি এসেছে,"ওঙ্কার ধাম " এও কয়েকটি লাগিয়েছি , এটির উচ্চতা ২ ফুট এর মধ্যেই হয়,ছোট ছোট সাদা ফুলে সবসময় ঢেকে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন