শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বাজলো তোমার আলোর বেনু ,মাতলো রে ভুবন :- শিউলী ও কাশ ফুল

ফোটোঃ-রিতা নন্দী

শিউলি ফুলের রাশি শিশিরের আঘাতও সয় না
অন্তর আমার কৈশোরে তারা এ-রকমই ছিল
এখন শিউলি ফুলের খবরও রাখি না অবশ্য
জানি না, তারা স্বভাব বদলেছে কিনা।
আমার কৈশোরে শিউলির বোঁটার রং ছিল শুধু
শিউলির বোঁটারই মতন
কোনো কিছুর সঙ্গেই তার তুলনা চলতো না
আমার কৈশোরে পথের ওপর ঝরে পড়ে থাকা
শিশির মাখা শিউলির ওপর পা ফেললে
পাপ হতে
আমার পাপ কাটাবার জন্য প্রণাম করতাম।
আমার কৈশোরে শিউলির সম্মানে সরে যেত বৃষ্টিময় মেঘ
তখন রেদ্দুর ছিল তাপহীন উজ্জ্বল
দু’হাত ভরা শিউলির ঘ্রাণ নিতে নিতে মনে হতো
আমার কোনো গোপন দু:খ নেই, আমার হৃদয়ে
কোনো দাগ নেই। 
       

– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

 

শারদীয়া আবাহন
পূরব ব্যানার্জী
শরতের আকাশে লেগেছে ওই উৎসবের ছোঁয়া
উত্তাল মন ভাদুরে গানে, বহিছে হিমেল হাওয়া।
শ্বেত সুভ্র রাশি রাশি তুলো আকাশের বুকে বিছায়েছে কেহ !
মাঠেঘাটে দিঘীপাড়ে কাশ ফুল শোভিছে মায়াবী সাজে।
দিয়েছে জানান আবাহনি গান প্রকৃতি ধরনি মাঝে ।।

বাউল বাতাস কুঞ্জে কুঞ্জে অলি সাথে করে কলতান।
বছর ফিরিয়া কে যেন আসিছে, দেয় তার আজি ফরমান।
মাটির প্রতিমা ধীরে ধীরে ওই জীবন্ত রুপে জাগিতেছে ভাই
উৎসবের এক মহড়া চলিছে বাংলার ঘরে ঘরে।
অসুর দলনি দেবী দশভুজার আমন্ত্রনের তরে।।
শিউলি ফুলের লাজবতী রুপে প্রকৃতি পড়েছে প্রেমে
সোনালী ধানের ঢেউএ মাঠ ভরে, মৌচাকে মৌ জমে।
বুলবুল ধরে গান চেনা সুরে বলাকার দল মেঘ তলে উড়ে
ছন্দে ছন্দে ভরেছে ভুবন শারদীয়ার অভিযানে।
মাতৃপক্ষে দেবী বন্দনায়, মাতে বছরের অবসানে।।
মেঘ মাধুর্যে পরিপূর্ণ বর্ষার আকাশকে এবং শ্রাবনের সজল মেঘের বারিধারাকে ‘যেতে নাহি দিব’ বলে, শিশির সিক্ত শিউলিঝরা শরৎ প্রাতের সমীরণে নরম সুরেলা সুরের মূর্ছনা উঠিয়ে- শুভ্র কাশবনে মৃদু দুলুনি দিয়ে নীলাকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভাসিয়ে সবার মনে পুলক জাগিয়ে কোমল শান্ত সিগ্ধ শরৎ এর আগমন ঘটে। শরতের স্বচ্ছ নীল আকাশ দেখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন-
নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই লুকোচুরি খেলা।



ভাদ্র-আশ্বিন দু্ই মাস শরৎকাল-অর্থাৎ আগস্ট মাসের মধ্যভাগ থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যভাগ পর্যন্ত। তখন প্রকৃতি হেসে উঠে- তাই কবি গেয়ে উঠেন, মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি কিন্তু মেঘ বলেছে যাবো যাবো- তারপরও যাচ্ছে না। শরতের আশ্বিনের ভোরের স্নিগ্ধতায় এ অপরূপ ঋতু শরৎকে দেখে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন- আমার রাত পোহালো শারদ প্রাতে।
শরৎ হল প্রকৃতির ঋতু- তাই এই ঋতুতে প্রকৃতির শোভা বৃদ্ধি করতে ফুটে উঠে শিউলি, পদ্ম,শালুক , টগর, কামিনী, মালতি, জবা, হাসনাহেনা এবং শুভ্র কাশফুল। কাশফুল শরতের আগমনের প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন- দুই ধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা। কাশফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রকৃতি প্রেমীরা ভিড় করেন কাশবনে এবং শরতের মৃদু হাওয়ায় মোহনীয় রূপে দোলে ওঠা শুভ্র কাশফুলের মধ্যদিয়ে ঝকঝকে নীলাকাশে সাদা মেঘ ভেসে যাওয়ার দৃশ্য দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন শরৎ প্রেমীরা। শরতের আরো একটি প্রতীক শিশির সিক্ত শিউলি ফুলের সৌরভের কথা উল্লেখ না করলে শরতের অপরূপ প্রকৃতির বর্ণনাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

শিউলি ফোটে শরতের নির্জন রাতে এবং মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে দিয়ে নিশির শিশির সিক্ত শিউলিতলা সাদা করে দিয়ে ঝরে যায় খুব ভোরে সূর্য উঠার আগেই। শিউলি ফুলের অপূর্ব মালা গাঁথা নিয়ে বাংলা কাব্যে কত কবিতা, কত গান, কত ছড়া রয়েছে তার হিসেব নেই এবং অনেক উপন্যাস-উপাখ্যানেওশরতের শিউলি ফুলের মালার কথা উল্লেখ রয়েছে। নজরুল গীতিতেও শিউলি ফুলের মালার কথা উল্লেখ রয়েছে- ‘শিউলি ফুলের মালা দোলে শারদ রাতের বুকে ঐ।’ ‘শিউলি মালা গেঁথে ছিলাম তোমায় দেবো বলে।’


তাই শরৎ হল একটি শিল্পী ঋতু- বাংলার প্রকৃতি তার অপার রূপ বিলিয়ে দিয়েছে এই ঋতুতে। বাংলার ষড়-ঋতুতে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ঋতুরাজ্যে চলছে নানা অনিয়ম ,তারপরও শারদ প্রাতের স্নিগ্ধতায় যে কেউ মুগ্ধ না হয়ে পারবেন না। তাইতো রবীন্দ্রনাথের শরৎ মুগ্ধতা আবারও প্রকাশ পায় তার সঙ্গীতে- তোমায় দেখেছি শারদ প্রাতে

কী করি আজ ভেবে না পাই, পথ হারিয়ে কোন বনে যাই

বর্ষার একটানা মেঘ-বাদলের পর নীল আকাশে রৌদ্রোজ্বল ঝলমল দিনের আগমনে কবির মনে ছুটির ঘন্টা বেজে ওঠে এবং মেঘ কেটে যাওয়ায় সকলকে নিয়ে রোদমাখা খুশি উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে মন চায়।


শরৎএর মত এমনশুভ্র-স্নিগ্ধ-শান্তমৌসুম আর নেই।শরতের মোহনীয় অপরাহ্ন, শরতেরস্বপ্নীল সাদা মেঘ, শুভ্রকাশবন, শরতের স্বচ্ছজ্যোৎস্নায় মনরোমাঞ্চিত হয়ে উঠেএবং প্রিয়জনকে কাছেপেতে ইচ্ছে করে।নীল আকাশে সাদাতুলোর মত মেঘগুলোকেউড়ে যেতে দেখেমন উদাসীন হয়েউঠে- মনের কিনারাছুঁয়ে যায় কীসব অজানা অনুভূতি! তাইতোশরৎপ্রেমী রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন-

`শরৎ, তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি
ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি
শরৎ, তোমার শিশির-ধোয়া কুণ্ডলে
বনের পথে লুটিয়ে পড়া অঞ্চলে
আজ প্রভাতের হৃদয় উঠে চঞ্চলি
বিশ্ব পরিবেশ পরিক্রমায় বাংলার শরৎ প্রকৃতি সম্পূর্ণ আলাদা-এরকম স্নিগ্ধ-শান্ত ঋতু পৃথিবীর আর কোথাও নেই- তাই এ যেন বিশ্বের ৩০ কোটি বাঙালির একান্ত নিজস্ব ‍ঋতু। বিশ্বের অন্যান্য দেশে শরতে পত্রপতনশীল গাছ-পালার রং বদলাতে থাকে- কিন্তু বাংলার গাছপালা থাকে চিরহরিৎ। তাই শরতের রং-বেরঙের পাতার বৈচিত্র আমাদের চোখে পড়ে না। স্নিগ্ধ শরতের পূর্বাহ্ন-মধ্যাহ্ন-অপরাহ্ণ-রাত সবগুলোই উপভোগ করার মত। তাই আজ বাংলার শরতের শান্ত-স্নিগ্ধ কোমল মোহনীয় অপূর্ব রূপ ছড়িয়ে যাক বাঙালির মত সবার চোখে-মুখে, সবার অন্তরে।


 বর্ষা শেষে আসে শরৎ। আর শরৎ মানেই শিউলি ফুলের শুভ্রতা, স্নিগ্ধতা, নির্মলতা। শিউলির সুবাস শরতের শুধু সকালই নয়, সন্ধ্যাকেও মাতিয়ে তোলে। কমলা-হলুদ বোঁটার সাদা পাপড়ির শিউলি চোখ মেলে তাকায় সন্ধ্যাতেই। রাতভর গন্ধ বিলিয়ে ভোরে ঘাসের উপর ঝরে পড়ে। সূর্যের আলোয় চিকচিক করা শিশিরে ভেজা ঘাসের উপর শিউলি ফুল- শরতের এক অনন্য ছবি। যার কারণে মহাকবি কালিদাস থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল এবং বিভূতিভূষণসহ অনেক কবি-সাহিত্যিক শিউলি ফুল নিয়ে সাহিত্য রচনা করেছেন।


শিউলি ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম : Nyctanthes arbor-tristis. Nyctanthes প্রজাতির একটি ফুল। অনেকে শিউলিরে ডাকে শেফালি নামে। লাতিন Nyctanthes-এর অর্থ হচ্ছে ‘সন্ধ্যায় ফোটা’ এবং arbor-tristis-এর মানে হচ্ছে ‘বিষণ্ণ গাছ’। সন্ধ্যায় ফোটা আর সকালে ঝরা ফুলের মাঝে বিষণ্ণভাবে দাঁড়িয়ে থাকাটাই এই রকম নামকরণের কারণ বলে ধারণা করা হয়। শিউলিকে কখনও কখনও 'tree of sorrow' বা ‘দুঃখের বৃক্ষ’ও বলা হয়ে থাকে।শিউলি ফুলের গাছ নরম ধূসর বাকল বিশিষ্ট। উচ্চতা ১০ মিটারের মতো। গাছের পাতা ৬ থেকে ৭ সেন্টিমিটার লম্বা এবং সমান্তরাল প্রান্তের বিপরীতমুখী থাকে। সুগন্ধি এই ফুলে রয়েছে পাঁচ থেকে সাতটি সাদা বৃতি এবং মাঝে লালচে-কমলা টিউবের মতো বৃন্ত। ফল চ্যাপ্টা ও বাদামি হৃদপিণ্ডাকৃতির। ফলের ব্যাস ২ সেন্টিমিটার এবং দুই ভাগে বিভক্ত। প্রতিটি ভাগে একটি করে বীজ থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব থাইল্যান্ড থেকে পশ্চিমে বাংলাদেশ, ভারত, উত্তরে নেপাল ও পূর্বে পাকিস্তান পর্যন্ত শিউলি আধিপত্য দেখা যায়।

পুরাণের কথা:

শিউলির আরেক নাম পারিজাত! হিন্দু পৌরাণিক কাহিনীতে অনেক বার এসেছে শিউলি ফুল বা পারিজাত এর কথা। 
কৃষ্ণের দুই স্ত্রী- সত্যভামা ও রুক্মিণীর খুব ইচ্ছে তাদের বাগানও পারিজাতের ঘ্রাণে আমোদিত হোক। কিন্তু পারিজাত তো স্বর্গের শোভা! কৃষ্ণ স্ত্রীদের খুশি করতে চান। তাই লুকিয়ে স্বর্গের পারিজাত বৃক্ষ থেকে একটি ডাল ভেঙ্গে এনে সত্যভামার বাগানে রোপণ করেন, যার ফুল রুক্মিণীর বাগানেও ঝরে পরে সুগন্ধ ছড়ায়। এদিকে দেবরাজ  ইন্দ্রতো ঘটনাটা জেনে খুব রেগে যান! তিনি বিষ্ণু অবতারের উপর গোপনে ক্রুদ্ধ ছিলেন। এই কারনে তিনি কৃষ্ণকে শাপ দেন কৃষ্ণের বাগানের পারিজাত বৃক্ষ ফুল দেবে ঠিকই কিন্তু ফল কোনদিন আসবে না, তার বীজে কখনও নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে না।
 দেবতার পূজোয় শিউলিই এমন ফুল যেটি মাটিতে ঝড়ে পরলেও তাকে দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয়ে থাকে।




বাংলা ভাষায় এই শিউলি ফুল নিয়ে অনেক কবিতা, কাব্য রয়েছে।
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন
" শিউলি ফুল,   শিউলি ফুল,   কেমন ভুল,   এমন ভুল॥     রাতের বায়   কোন্‌ মায়ায়   আনিল হায়   বনছায়ায়,
          ভোরবেলায়   বারে বারেই   ফিরিবারে   হলি ব্যাকুল॥
              কেন রে তুই উন্মনা!   নয়নে তোর হিমকণা।
কোন্‌ ভাষায়   চাস বিদায়,   গন্ধ তোর   কী জানায়--
     সঙ্গে হায়   পলে পলেই   দলে দলে   যায় বকুল॥



শিউলি-কানন সাজায় তোমার
শুভ্র ছুটির সাজি।
শিশির-হাওয়া শিরশিরিয়ে
কখন রাতারাতি।


আবার নজরুলও কম পছন্দ করেননা ফুলটিকে, তাইতো তিনি লিখেছেন :
আবার যেদিন শিউলি ফুটে ভ’রবে তোমার অঙ্গন,
তুলতে সে-ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কণ -
কাঁদবে কুটীর-অঙ্গন!
শিউলি ঢাকা মোর সমাধি
প’ড়বে মনে, উঠবে কাঁদি’!
বুকের মালা ক’রবে জ্বালা
চোখের জলে সেদিন বালা
মুখের হাসি ঘুচবে -
বুঝবে সেদিন বুঝবে!



এছাড়াও আছে অনেক নাম না জানা , অজানা, বিখ্যাত, অখ্যাত কবির কবিতা। যা দেখে মনে হয় কবিরা শিউলি ফুলকে অন্য ফুলের চেয়ে আলাদা ভাবেই দেখেন



ভোরের শিউলি ফুল
সিক্ত দেহে ঝরে পড়ে -
ভোরের আলোয়ে লজ্জা পেয়ে ?
রজনীগন্ধার মদিরতা তার নেই,
নেই গোলাপের বর্ণছটা ।
শতদলের শত পাপড়ির আভিজাত্য-
সে তো তার স্বপ্নের কল্পলোকেও অধরা ।
সুন্দর পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা হঠাৎ কি খেয়ালে
একবিন্দু সৌন্দর্য ছুড়ে দিয়েছিল তার দিকে-
হয়েত বা তাচ্ছিল্য, অবহেলায় ।
বর্ণময় জগতের চাকচিক্যে তা লক্ষ করেনি কেউ-
তাই পূজার থালিতেও সে ব্রাত্য ।

ঈশান কোণে, নেই কালো মেঘ
শাদা মেঘের ভেলা!!
সাদা বসন, শিউলি গাছের
সবুজ পাতার ফাঁকে!!
ভোরের আগে, কে যায়রে?
শিউলি কুড়াতে!!
আঁচল ভরা, শিউলি ফুলে
গাঁথবে মালা বসে!



শিউলি ফুটেছে আজ আমার আঙিনায়
স্নিগ্ধ বাতাসে তার সৌরভ ছড়ায়
শিশিরে ভেজা স্নিগ্ধ সকাল
আনন্দরসে মনটা মাতাল।
শিউলির মালা গাঁথব বলে
ভালবাসার ফুল যতনে রেখেছি তুলে


আমার নয়ন-ভুলানো এলে,
আমি কী হেরিলাম হূদয় মেলে
শিউলিতলার পাশে পাশে ঝরা ফুলের রাশে রাশে
শিশির-ভেজা ঘাসে ঘাসে অরুণরাঙা চরণ ফেলে
নয়ন-ভুলানো এলে



কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘আশ্বিনে’ কবিতায় হৃদয়ের কথাই প্রকাশ করেন -
আকাশ আজিকে নির্মলতম নীল,
উজ্জ্বল আজি চাঁপার বরণ আলো;
সবুজে সোনায় ভূলোকে দ্যুলোকে মিল
দূরে-চাওয়া মোর নয়নে লেগেছে ভালো।
ঘাসে ঝ'রে-পড়া শিউলির সৌরভে
মন-কেমনের বেদনা বাতাসে লাগে।
মালতী বিতানে শালিকের কলরবে
কাছ-ছাড়া পাওয়া ছুটির আভাস আগে।
 তথ্য  সহায়তা :- গুগল
ছবি :- অনির্বান মুখার্জী,রিতা নন্দী ,শ্রী মুখার্জী।

৩টি মন্তব্য: