”ঝরকে ঝরকে ঝরিছে বকুল আঁচল আকাশে হতেছে আকুল” – রবীন্দ্রনাথ।
বাংলায় বকুল ফুলের জন্যে পরিচিত এই গাছ। বকুলের অন্যান্য ব্যবহার বাংলায় তেমন নেই। এটি একটি অতি পরিচিত ফুল। আমাদের দেশের প্রায় সব জায়গায় এর গাছ পাওয়া যায়। বাগানে ছায়া পাওয়ার জন্য সাধারনত বকুল গাছ লাগানো হয়ে থাকে।
এটি মাঝারি আকারের গাছ এবং এর পাতা গুলি হয় ঢেউ খেলানো। ফুল গুলো খুব ছোট হয়। বড় জোড় ১ সেঃ মিঃ। ফুল গুলো দেখতে ছোট ছোট তারার মতো। বকুল ফুলের সুবাসে থাকে মিষ্টি গন্ধ। ফুল শুকিয়ে গেলেও এর সুবাস অনেক দিন পর্যন্ত থাকে।
বকুল ফুল, ফল, পাকা ফল, পাতা, গাছের ছাল, কাণ্ড, কাঠ সব কিছুই কাজে লাগে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে এর ব্যবহার রয়েছে।
বৈজ্ঞানিক নাম: Mimusops elengi পরিবারের নাম: Sapotaceae
প্রচলিত নাম : Bullet-wood Tree, Indian Medaller
বকুল একটি চিরহরিৎ বৃক্ষ। এটি ১৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। মাঝারি আকারের এই গাছ দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উত্তর অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনাঞ্চলে জন্মে। এই বৃক্ষের পাতা গুলো মসৃন, গাড় সবুজ ও ঢেউ খেলানো, আকারে ৫ থেকে ১৪ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২।৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার চওড়া হয়। বকুল গাছকে মায়ানমারের লোকেরা পবিত্রবৃক্ষ মনে করে।
বকুল ফুল আকারে খুব ছোট ছোট হয়। আকারে বড় জোড় ১ সেঃ মিঃ। দেখতে ছোট ছোট তারার মতো ফুল গুলো যখন ফোটে তখন গাছের চেহারা হয় অন্যরকম। এবং মাটি যখন ঝড়ে পরে তার দৃশ্য নয়নাভিরাম। বকুল ছোট তারার মত হলুদাভ সাদা বা ক্রীম রঙের হয়। এই ফুল রাত্রে ফোটে এবং সারাদিন ধরে টুপটাপ ঝরতে থাকে। ভারি সুগন্ধী এই বকুল। শুকনো বকুল ফুলের সুগন্ধটা অনেকদিন থাকে তাই এই ফুলের মালা অনেকদিন ঘরে রেখে দেয়া যায়। ফুলে থাকে উদ্বায়ী তেল।বকুল গাছকে ছেটে সুন্দর করে রাখা যায়। বকুল ফুল খুব ছোট, রঙ পাংশু-সাদা। পাপড়ির পরাগচক্রের বৈশিষ্ট্যের জন্য তারার মতো দেখায়। আর সুগন্ধ বাতাসে ভর করে দূরবাহী হয়। শুকনো ফুল ম্লান আর বিবর্ণ হলেও ঘ্রাণের জন্য আদরকাড়া। ঝরা ফুল গাছতলায় বিছিয়ে থাকে। ফুল মধুপ্রদায়ী বলে মৌমাছি ও ভ্রমর আসে, গুঞ্জন তোলে।
বকুল গাছের ছাল মোটা, আর রঙ গাঢ় কালচে বাদামী কিংবা কালচে ছাই রঙের হয়ে থাকে।
বকুল ফল বকুল গাছে ছোট ছোট কুলের মত ডিম্বাকৃতির ফল হয় ।ফল গুলো কাচা অবস্থায় সবুজ,পাঁকলে লাল বর্ণ ধারণ করে।পাখিরা বকুল ফল খেয়ে থাকে।অনেক সময় বাচ্চাদের ও বকুল ফল খেতে দেখা যায়।ফলের স্বাদ কষ যুক্ত হালকা মিষ্টি। গাছে এই ফল আসে বর্ষাকালে ।
বীজ - বকুল ফলে একটি করে ডিম্বাকৃতির, বাদামী বীজ থাকে। তবে কখনও কখনও দুটি বীজও থাকতে দেখা যায় । এই বীজ থেকে অনুদ্বায়ী তেল পাওয়া যায়।
ভারি সুন্দর গাছ এই বকুল, ঘন সবুজ পাতায় ঠাসা, মাথাটা গোলগাল কিংবা লম্বাটে। বয়স্ক গাছ ৩০- ৪০ মিটার উচু হয়ে থাকে। কখনই পাতা ঝরিয়ে উদোম হয় না বলে আদর্শ ছাযাতরুও। শিক্ষাঙ্গন, মন্দির, রাস্তাপার্শ্ব, উদ্যান, বাড়ীতে বকুল গাছ লাগানো হয়।
(বৈজ্ঞানিক নাম:Mimusops elengi) হচ্ছে মিনাসপ্স্ (Minasops) প্রজাতির একটি ফুল। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর তীরবর্তী এলাকার ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, বার্মা, ইন্দো-চীন, থাইল্যান্ড, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এলাকা জুড়ে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। তবে, মালয়েশিয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, নিউ ক্যালিডোনিয়া (ফ্রান্স), ভানুয়াটু, এবং উত্তর অস্ট্রেলিয়াতে এই গাছ চাষ করা হয়।
বকুল ফুল, ফল, পাতা, কাণ্ড দিয়ে বিভিন্ন অসুখ নিরাময়ের নানারকম আয়ুর্বেদিক ব্যবহার রয়েছে।
Mimusops Elengi (Sapotaceae) - Bullet-wood Tree - Indian Medaller
Bakul Tree
MIMUSOPS ELENGI Linn.
বাংলায় বকুল ফুলের জন্যে পরিচিত এই গাছ। বকুলের অন্যান্য ব্যবহার বাংলায় তেমন নেই। এটি একটি অতি পরিচিত ফুল। আমাদের দেশের প্রায় সব জায়গায় এর গাছ পাওয়া যায়। বাগানে ছায়া পাওয়ার জন্য সাধারনত বকুল গাছ লাগানো হয়ে থাকে।
এটি মাঝারি আকারের গাছ এবং এর পাতা গুলি হয় ঢেউ খেলানো। ফুল গুলো খুব ছোট হয়। বড় জোড় ১ সেঃ মিঃ। ফুল গুলো দেখতে ছোট ছোট তারার মতো। বকুল ফুলের সুবাসে থাকে মিষ্টি গন্ধ। ফুল শুকিয়ে গেলেও এর সুবাস অনেক দিন পর্যন্ত থাকে।
বকুল ফুল, ফল, পাকা ফল, পাতা, গাছের ছাল, কাণ্ড, কাঠ সব কিছুই কাজে লাগে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে এর ব্যবহার রয়েছে।
বৈজ্ঞানিক নাম: Mimusops elengi পরিবারের নাম: Sapotaceae
প্রচলিত নাম : Bullet-wood Tree, Indian Medaller
বকুল একটি চিরহরিৎ বৃক্ষ। এটি ১৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। মাঝারি আকারের এই গাছ দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উত্তর অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনাঞ্চলে জন্মে। এই বৃক্ষের পাতা গুলো মসৃন, গাড় সবুজ ও ঢেউ খেলানো, আকারে ৫ থেকে ১৪ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২।৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার চওড়া হয়। বকুল গাছকে মায়ানমারের লোকেরা পবিত্রবৃক্ষ মনে করে।
বকুল ফুল আকারে খুব ছোট ছোট হয়। আকারে বড় জোড় ১ সেঃ মিঃ। দেখতে ছোট ছোট তারার মতো ফুল গুলো যখন ফোটে তখন গাছের চেহারা হয় অন্যরকম। এবং মাটি যখন ঝড়ে পরে তার দৃশ্য নয়নাভিরাম। বকুল ছোট তারার মত হলুদাভ সাদা বা ক্রীম রঙের হয়। এই ফুল রাত্রে ফোটে এবং সারাদিন ধরে টুপটাপ ঝরতে থাকে। ভারি সুগন্ধী এই বকুল। শুকনো বকুল ফুলের সুগন্ধটা অনেকদিন থাকে তাই এই ফুলের মালা অনেকদিন ঘরে রেখে দেয়া যায়। ফুলে থাকে উদ্বায়ী তেল।বকুল গাছকে ছেটে সুন্দর করে রাখা যায়। বকুল ফুল খুব ছোট, রঙ পাংশু-সাদা। পাপড়ির পরাগচক্রের বৈশিষ্ট্যের জন্য তারার মতো দেখায়। আর সুগন্ধ বাতাসে ভর করে দূরবাহী হয়। শুকনো ফুল ম্লান আর বিবর্ণ হলেও ঘ্রাণের জন্য আদরকাড়া। ঝরা ফুল গাছতলায় বিছিয়ে থাকে। ফুল মধুপ্রদায়ী বলে মৌমাছি ও ভ্রমর আসে, গুঞ্জন তোলে।
বকুল ফল বকুল গাছে ছোট ছোট কুলের মত ডিম্বাকৃতির ফল হয় ।ফল গুলো কাচা অবস্থায় সবুজ,পাঁকলে লাল বর্ণ ধারণ করে।পাখিরা বকুল ফল খেয়ে থাকে।অনেক সময় বাচ্চাদের ও বকুল ফল খেতে দেখা যায়।ফলের স্বাদ কষ যুক্ত হালকা মিষ্টি। গাছে এই ফল আসে বর্ষাকালে ।
বীজ - বকুল ফলে একটি করে ডিম্বাকৃতির, বাদামী বীজ থাকে। তবে কখনও কখনও দুটি বীজও থাকতে দেখা যায় । এই বীজ থেকে অনুদ্বায়ী তেল পাওয়া যায়।
ভারি সুন্দর গাছ এই বকুল, ঘন সবুজ পাতায় ঠাসা, মাথাটা গোলগাল কিংবা লম্বাটে। বয়স্ক গাছ ৩০- ৪০ মিটার উচু হয়ে থাকে। কখনই পাতা ঝরিয়ে উদোম হয় না বলে আদর্শ ছাযাতরুও। শিক্ষাঙ্গন, মন্দির, রাস্তাপার্শ্ব, উদ্যান, বাড়ীতে বকুল গাছ লাগানো হয়।
(বৈজ্ঞানিক নাম:Mimusops elengi) হচ্ছে মিনাসপ্স্ (Minasops) প্রজাতির একটি ফুল। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর তীরবর্তী এলাকার ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, বার্মা, ইন্দো-চীন, থাইল্যান্ড, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এলাকা জুড়ে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। তবে, মালয়েশিয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, নিউ ক্যালিডোনিয়া (ফ্রান্স), ভানুয়াটু, এবং উত্তর অস্ট্রেলিয়াতে এই গাছ চাষ করা হয়।
বকুল ফুল, ফল, পাতা, কাণ্ড দিয়ে বিভিন্ন অসুখ নিরাময়ের নানারকম আয়ুর্বেদিক ব্যবহার রয়েছে।
- ফুল - ফুলের রস হৃদযন্ত্রের অসুখ, leucorrhoea, menorrhagia নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়।
- শুকনা ফুলের গুঁড়া দিয়ে তৈরী ঔষধ "আহওয়া" নামক এক ধরনের কঠিন জ্বর, মাথা ব্যাথা এবং ঘার, কাঁধ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে সৃষ্ট ব্যাথার নিরাময়ে ব্যবহার হয়।
- শুকনা ফুলের গুঁড়া মাথা ঠান্ডা রাখে ও মেধা বাড়াতে উপকারী।
- শুকনো বকুল ফুলের গুঁড়া নাক দিয়ে নিঃশ্বাসের সাথে টেনে নিলে মাথা ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।
- বকুল গাছের ছাল - গাছের ছাল দিয়ে কাটা ছেঁড়ার ক্ষত পরিষ্কার করা যায়। এছাড়াও বকুল গাছের ছাল ও তেঁতুল গাছের ছাল সিদ্ধ করে পাচনের মাধ্যমে তৈরি তরল ঔষধ ত্বকের নানারকম রোগ সারাতে ব্যবহৃত হয়।
- বকুলের কাণ্ড - গাছের কাণ্ড থেকে পাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক ধরনের ঔষধ তৈরি করা যা দাঁতের সমস্যা নিরাময়ে অনেক উপকারী। এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় ফিলিপাইনে। এছাড়াও এই ঔষধ জ্বর ও ডায়রিয়া থেকে আরোগ্য লাভের জন্যে ব্যবহার করে ফিলিপাইনের অধিবাসীরা। স্থানিয় লোকেরা এই তরল পানি দিয়ে গার্গল করে গলার অসুখের নিরাময়ের জন্যে। মুখ ধোয়ার তরল প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে এই তরল ঔষধ যা মাড়ি শক্ত করে।
- বকুলের পাতা সিদ্ধ করে মাথায় দিলে মাথা ব্যাথা কমে যায়। পাতার রস চোখের জন্যেও উপকারী।
- ফুল - ভারতে এই ফুল দিয়ে তৈরি তরল, সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহারে প্রচলন রয়েছে।
- ফুল দিয়ে মালা গাথার প্রচলন অনেক পুরনো দিন থেকে চলে আসছে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন এলাকার নারীরা এই ফুলের মালা চুলে পরে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যে।
- ফল - পাকা ফল খাওয়া যায়। মালয়'রা বকুল ফল সংরক্ষণ করে রাখে এবং আচার তৈরি করে।
- কান্ড - অনেক এলাকায় বকুল গাছের কাণ্ড বা নরম ডাল দাঁত মাজার জন্যে ব্যবহার করা হয়।
- কাঠ - বকুল কাঠ অনেক দামি আর দুষ্প্রাপ্য । এর কাঠ অনেক শক্ত, কঠিন হয় কিন্তু খুব সহজে কাটা যায় আর খুব সুন্দর পালিশ করা যায়. এই কাঠের রঙ গাঢ় লাল। এই কাঠ ঘর-বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।
- "কখন দখিন হতে কে দিল দুয়ার ঠেলি,
চমকি উঠিল জাগি চামেলি নয়ন মেলি।
বকুল পেয়েছে ছাড়া, করবী দিয়েছে সাড়া,
শিরীষ শিহরি উঠে দূর হতে কারে দেখি।" - তথ্যসূত্র :-
- Mimusops elengi Linn.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন