মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

কৃষ্ণচূড়া

‘গুলমোহরের ফুল ঝরে যায়/ ডালে ডালে শাখায় শাখায়’

কৃষ্ণচূড়ার নানা প্রজাতি আছে। প্রজাতিভেদে এদের ফুলের রঙও হয় ভিন্ন। হলুদ, সিঁদুর লাল, কমলা ইত্যাদি রঙের ফুল বিশিষ্ট



কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখা যায়। হলুদ ফুলের গাছকে আমাদের দেশে রাধাচূড়া বলা হয়ে থাকে। এই প্রজাতি অনেক দেশেই বিলুপ্তির পথে।
ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। পাপড়িগুলো প্রায় ৮ সেন্টিমিটারের মত লম্বা হতে পারে। কৃষ্ণচুড়া জটিল পত্র বিশিষ্ট এবং উজ্জ্বল সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট।
ভারত বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, ভিয়েতনাম, ইজিপ্ট, মধ্যপ্রচ্য, ব্রাজিল প্রভৃতি দেশে এটি জন্মে থাকে। সাধারণত উষ্ণ ও আদ্র পরিবেশে এরা জন্মে। তবে খরা ও লবণাক্ত পরিবেশেও এরা নিজেদেরকে খাপ খায়িয়ে নিতে পারে।
আমাদের দেশে কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার সময়কাল এপ্রিল থেকে জুন মাস। সাধারণত বীজের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা হয়ে থাকে। প্রতিকূল পরিবেশে বীজ হতে অঙ্কুরিত হওয়ার সময় এটি কয়েক সপ্তাহ অন্তর অন্তর ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত করে বাড়তে থাকে। অঙ্গজ প্রজননের মাধ্যমেও এর বংশ বিস্তার করানো যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে এর বৃব্ধি অপেক্ষাকৃত ধীর হবে।
Scientific Name: Delonix regia
Family: Caesalpiniaceae
অন্যান্য স্থানীয় নামঃ গুলমোহর, Flame Tree, Royal Poiniciana, Flamboyant
 কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার সময় বসন্তের শেষ ও গ্রীষ্মের শুরুতে। আদি বাড়ি মাদাগাস্কার। অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও চমৎকার এই গাছের প্রচলিত ইংরেজি নাম ফ্লেম ট্রি। বৈজ্ঞানিক নাম Delonix regia। Favaceae পরিবারের সদস্য। আর হলুদ কৃষ্ণচূড়ার প্রজাতি হচ্ছে Delonex regia Var Flavida। প্রচলিত নাম Yellow Poinciana।
কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার আগে কলি দেখতে মোহরের মতো দেখায়, সে জন্য হিন্দিতে একে বলা হয় গুলমোহর। প্রয়াত মোহাম্মদ রফির একটি জনপ্রিয় বাংলা গান, ‘গুলমোহরের ফুল ঝরে যায়/ ডালে ডালে শাখায় শাখায়’।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন