" হৃদয় আমার
নাচেরে আজিকে ময়ূরের মত নাচেরে।
শত বরনের ভাব উচ্ছ্বাস কলাপের মতো করেছে বিকাশ,
আকুল পরান আকাশে চাহিয়া উল্লাসে কারে যাচে রে॥
ওগো, নির্জনে বকুলশাখায় দোলায় কে আজি দুলিছে, দোদুল দুলিছে।
ঝরকে ঝরকে ঝরিছে বকুল, আঁচল আকাশে হতেছে আকুল,
উড়িয়া অলক ঢাকিছে পলক– কবরী খসিয়া খুলিছে।
ঝরে ঘনধারা নবপল্লবে, কাঁপিছে কানন ঝিল্লির রবে–
তীর ছাপি নদী কলকল্লোলে এল পল্লির কাছে রে॥"
শত বরনের ভাব উচ্ছ্বাস কলাপের মতো করেছে বিকাশ,
আকুল পরান আকাশে চাহিয়া উল্লাসে কারে যাচে রে॥
ওগো, নির্জনে বকুলশাখায় দোলায় কে আজি দুলিছে, দোদুল দুলিছে।
ঝরকে ঝরকে ঝরিছে বকুল, আঁচল আকাশে হতেছে আকুল,
উড়িয়া অলক ঢাকিছে পলক– কবরী খসিয়া খুলিছে।
ঝরে ঘনধারা নবপল্লবে, কাঁপিছে কানন ঝিল্লির রবে–
তীর ছাপি নদী কলকল্লোলে এল পল্লির কাছে রে॥"
আমাদের জাতীয় পাখি ময়ূর (ফ্যাজিয়ানিডি) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত অত্যন্ত সুন্দর পাখি। এশিয়ায় Pavo (পাভো) গণে মোট দুই প্রজাতির এবং আফ্রিকায় Afropavo (আফ্রোপাভো) গণে একটি ময়ূরের প্রজাতি দেখা যায়। এশিয়ার প্রজাতি দু'টি হল নীল ময়ূর আর সবুজ ময়ূর। আফ্রিকার প্রজাতিটির নাম কঙ্গো ময়ূর (Afropavo congensis)। নীল ময়ূর ভারতের জাতীয় পাখি। সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে এদের দেখা যায়। সবুজ ময়ূর মায়ানমার থেকে জাভা পর্যন্ত বিস্তৃত। আশঙ্কাজনক হারে বিশ্বব্যাপী কমে যাচ্ছে বলে এরা বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত। ঐতিহাসিকভাবে প্রজাতিটি মায়ানমারের জাতীয় প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে।
এসব ময়ূরের পাশাপাশি সাদা ময়ূরও দেখা যায়। এদের দেহ শুধু সাদাই নয়, চোখও নীল। প্রকৃতপক্ষে নীল ময়ূরই সাদা ময়ূর, জিনগত মিউটেশনের কারণে এদের এমনটি দেখায়।
ময়ূরের সব প্রজাতি সাধারণত বনে বাস করে এবং মাটিতে বাসা বাঁধে। তবে মাঝে মাঝে লোকালয়েও দেখা যায়। বিশেষ করে সংরক্ষিত এলাকায় এরা মানুষের খুব কাছে চলে আসে। এরা সর্বভূক। চারা গাছের অংশ, কীটপতঙ্গ, বীজের খোসা, ফুলের পাপড়ি এবং ছোট ছোট সন্ধিপদ প্রাণী খায়। এরা ডিম পাড়ে ও ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। ছোট বাচ্চাগুলো মুরগির বাচ্চার মতই মায়ের সাথে ঘুরে ঘুরে খাবার খায়। বিপদ দেখলেই মায়ের ডানার নিচে এসে লুকায়। ছোট বাচ্চারা মুরগির বাচ্চার মতই মায়ের পালকের আড়ালে, আবার কখনোবা পিঠের উপর লাফিয়ে ওঠে।
স্ত্রী ময়ূরকে আকৃষ্ট করার জন্য পুরুষ ময়ূর পেখম তোলে। এ কারণেই এরা অত্যন্ত আকর্ষণীয়। তবে ভারতীয় ময়ূরের মত সাদা ময়ূরের পেখমে সোনালী পালক বা নীল রংয়ের বড় ফোঁটা নেই। সাদা ময়ূর সম্পূর্ণ সাদা। স্ত্রী ময়ূরও পেখম তোলে তবে তা শত্রুকে ভয় দেখানোর জন্য। স্ত্রী ময়ূরের পেখম আকারে অনেক ছোট।
ময়ূর বন্য পাখি এবং মাটির গর্তে বাস করে কিন্তু গাছে বিশ্রাম করে।এরা টিরেস্ট্রিয়াল খাদক শ্রেণীর অন্তরভুক্ত। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ময়ূরের সকল প্রজাতি পলিগামাস। সাধারনত শত্রুর কাছ থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য Galliformes বর্গের প্রাণীদের মত এরাও এদের মেটাটারসাল (পায়ের নখর) ব্যাবহার করে।
হুগলী জেলার বান্ডেল এর কাছে দেবানন্দপুর ,রাজহাট হুগলির রাজহাট পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে প্রবাহিত কুন্তী নদী। নদীটি ত্রিবেণীর কাছে গঙ্গা থেকে বেরিয়েছে। বরাবর এই নদীতে জোয়ার-ভাটা খেলে। রাজহাটে কুন্তী নদীর উপরে সেতুটির পাশে একটি ঘাট আছে। গঙ্গার জল বলে এখানেও বহু মানুষ পুণ্যস্নানে আসেন। কিছু দিন আগে ঘাটটির সংস্কার হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল, ত্রিবেণী থেকে সুগন্ধা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীপথ কচুরিপানা ও জলজ উদ্ভিদে ভরে গিয়েছে। ফলে, একদা স্রোতস্বিনী নদীতে এখন জলই দেখা যায় না।
বদ্ধ নদীর জল দুর্গন্ধময় এবং দূষিত।দীর্ঘদিন ধরে এই কুন্তী নদীর পার বরাবর ময়ুর এর আস্তানা , নদী ও অন্যান্য দূষণের জন্য এখন সংখ্যায় অনেক কমে গেলেও কিছু আছে। ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা ও যায়।
ময়ুর চিরকালই সৌন্দর্যের প্রতীক ,বিভিন্ন সুন্দর জিনিস ময়ুর আর নামে নামকরণ করা হয়েছে , সম্রাট শাহজাহান নির্মিত ময়ুর সিংহাসন ,ময়ুরপঙ্খী নাও ইত্যাদি। বিভিন্ন কারণে খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে আমাদের এই সুন্দর জাতীয় পাখিটি।
তথ্য সহায়তা ও চিত্র :- গুগল সৌজন্যে
ময়ূরের সব প্রজাতি সাধারণত বনে বাস করে এবং মাটিতে বাসা বাঁধে। তবে মাঝে মাঝে লোকালয়েও দেখা যায়। বিশেষ করে সংরক্ষিত এলাকায় এরা মানুষের খুব কাছে চলে আসে। এরা সর্বভূক। চারা গাছের অংশ, কীটপতঙ্গ, বীজের খোসা, ফুলের পাপড়ি এবং ছোট ছোট সন্ধিপদ প্রাণী খায়। এরা ডিম পাড়ে ও ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। ছোট বাচ্চাগুলো মুরগির বাচ্চার মতই মায়ের সাথে ঘুরে ঘুরে খাবার খায়। বিপদ দেখলেই মায়ের ডানার নিচে এসে লুকায়। ছোট বাচ্চারা মুরগির বাচ্চার মতই মায়ের পালকের আড়ালে, আবার কখনোবা পিঠের উপর লাফিয়ে ওঠে।
স্ত্রী ময়ূরকে আকৃষ্ট করার জন্য পুরুষ ময়ূর পেখম তোলে। এ কারণেই এরা অত্যন্ত আকর্ষণীয়। তবে ভারতীয় ময়ূরের মত সাদা ময়ূরের পেখমে সোনালী পালক বা নীল রংয়ের বড় ফোঁটা নেই। সাদা ময়ূর সম্পূর্ণ সাদা। স্ত্রী ময়ূরও পেখম তোলে তবে তা শত্রুকে ভয় দেখানোর জন্য। স্ত্রী ময়ূরের পেখম আকারে অনেক ছোট।
ময়ূর বন্য পাখি এবং মাটির গর্তে বাস করে কিন্তু গাছে বিশ্রাম করে।এরা টিরেস্ট্রিয়াল খাদক শ্রেণীর অন্তরভুক্ত। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ময়ূরের সকল প্রজাতি পলিগামাস। সাধারনত শত্রুর কাছ থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য Galliformes বর্গের প্রাণীদের মত এরাও এদের মেটাটারসাল (পায়ের নখর) ব্যাবহার করে।
হুগলী জেলার বান্ডেল এর কাছে দেবানন্দপুর ,রাজহাট হুগলির রাজহাট পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে প্রবাহিত কুন্তী নদী। নদীটি ত্রিবেণীর কাছে গঙ্গা থেকে বেরিয়েছে। বরাবর এই নদীতে জোয়ার-ভাটা খেলে। রাজহাটে কুন্তী নদীর উপরে সেতুটির পাশে একটি ঘাট আছে। গঙ্গার জল বলে এখানেও বহু মানুষ পুণ্যস্নানে আসেন। কিছু দিন আগে ঘাটটির সংস্কার হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল, ত্রিবেণী থেকে সুগন্ধা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীপথ কচুরিপানা ও জলজ উদ্ভিদে ভরে গিয়েছে। ফলে, একদা স্রোতস্বিনী নদীতে এখন জলই দেখা যায় না।
বদ্ধ নদীর জল দুর্গন্ধময় এবং দূষিত।দীর্ঘদিন ধরে এই কুন্তী নদীর পার বরাবর ময়ুর এর আস্তানা , নদী ও অন্যান্য দূষণের জন্য এখন সংখ্যায় অনেক কমে গেলেও কিছু আছে। ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা ও যায়।
ময়ুর চিরকালই সৌন্দর্যের প্রতীক ,বিভিন্ন সুন্দর জিনিস ময়ুর আর নামে নামকরণ করা হয়েছে , সম্রাট শাহজাহান নির্মিত ময়ুর সিংহাসন ,ময়ুরপঙ্খী নাও ইত্যাদি। বিভিন্ন কারণে খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে আমাদের এই সুন্দর জাতীয় পাখিটি।
তথ্য সহায়তা ও চিত্র :- গুগল সৌজন্যে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন