বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

তুলসী

যস্যা দেবাস্তু লানাস্তু বিশ্বেষু অখিলেষু চ ।
তুলসীতেন বিখ্যাতা
হিন্দু ধর্মমতে তুলসী একটি অতি পবিত্র গাছ।  আমার ধারণা, প্রাচীন কালে তুলসীর মতো একটি অতি উপকারী বৃক্ষ কে মানুষের করাল -গ্রাস থেকে বাঁচানোর জন্য এই ধর্মের মোড়ক দেওয়া হয়েছে। 
    

:ব্রহ্মবৈবর্তপুরান মতে  দেবী তুলসীর বৃত্তান্ত 
তুলসী নামে গোলকে শ্রীকৃষ্ণ প্রিয়া শ্রীরাধিকার এক সহচরী ছিলেন শ্রীরাধিকা তাঁকে  মানবযোনি গ্রহণের অভিশাপ দেন । তখন তুলসী শ্রীকৃষ্ণের শরণাপন্ন হন । শ্রীকৃষ্ণ তুলসীকে বললেন যে তুলসী মানব জন্ম গ্রহণ করলে তপস্যা বলে নারায়নের অংশ লাভ করবেন । শাপ হেতু তুলসী জগতে ধর্মরাজ নামে রাজার ও স্ত্রী মাধবী দেবীর কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করেন । তুলসী অতুলনীয় রূপ লাবণ্যের অধিকারিণী হন । পরে তুলসী বনে গিয়ে ব্রহ্মার তপস্যায় নিমগ্ন হন । ধ্যানে ব্রহ্মা খুব সস্তুষ্ট হন ও তুলসীকে অভীষ্ট বর প্রার্থনা করতে বলেন । তুলসী নারায়ণকে পতিরূপে লাভের বর প্রার্থনা করেন । ব্রহ্মা বললেন যে তুলসী দানবরূপী শঙ্খচূড়কে বিবাহ করলেই নারায়ণ প্রাপ্তি সম্ভব হবে । নারায়ণের আর্শিবাদে তুলসীর বৃক্ষরূপে জন্ম হবে বিশ্বপাবকে ও পুজা পাবেন । তুলসী ব্যতীত নারায়ণ পূজা বিফল হবে ।
তদনুসারে শঙ্খচূড়ের সাথে তুলসীর বিবাহ হয় । শঙ্খচূড় স্বর্গরাজ্য অদিকার করে । তুলসীর সতীত্ব হানি না হলে শঙ্খচূড় পরাজিত হবে না ও স্বর্গরাজ্য্ও উদ্ধার সম্ভব হবে না । নারায়ণ স্বয়ং শঙ্খচূড়ের বেশে তুলসীর সতীত্ব হানি করেন তারপর শঙ্খচূড় নিহত হয় । তুলসী তা টের পেয়ে নারায়ণকে পাষাণ হওয়ার অভিশাপ দেন । ফলে নারায়ণ পাষাণ হয়(যাকে নারায়ণ শিলা বা শালগ্রাম শিলা বলা হয়) । নারীরর সতীত্ব অসাধারণ শক্তির উৎস । শাস্ত্রে তার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে । স্বামীর মৃত্যুতে তুলসী নারায়ণের চরণে পতিত হয়ে কাঁদতে আরম্ভ করলেন । তখন নারায়ণ তুলসীকে বললেন তুলসীর এ দেহ ত্যাগে লক্ষ্মী সদৃশী নারায়নের প্রিয়া হবেন । নারায়ণের বরে তুলসীর এ দেহ গণ্ডকী নদী ও কেশদাম তুলসী বৃক্ষরূপে জন্মগ্রহণ করেন । তদবধি নারায়ণ শিলারূপে আবহন ও সর্ব্বদা তুলসী যুক্ত থাকেন । তুলসী ব্যতীত নারায়ণ পূজা হয় না ।


হিন্দু শাস্ত্রমতে তুলসীর মাহাত্ম্য :-

তুলসী কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে ধরাতলে তরুরূপে জন্মগ্রহণ করেন । কার্ত্তিক মাসে তুলসীপাতা দিয়ে যাঁরা নারায়ণ পূজা করেন এবং দর্শন, স্পর্শন, ধ্যান, প্রণাম, অর্চ্চন, রোপন ও সেবন করেন, তাঁরা কোটি সহস্র যুগ হরিগৃহে বাস করেন । যাঁরা তুলসীবৃক্ষ রোপন করেন, এবৃক্ষের মূল যতবিস্তৃত হতে থাকে,তত যুগ সহস্র পরিমাণ তাঁদের পুন্য বির্স্তৃত হতে থাকে । তুলসী পাতা দিয়ে যিনি নারায়ণ পূজা করেন, তাঁর জন্মার্জ্জিত পাতক বিনষ্ট হয় । বায়ু তুলসী গন্ধ নিয়ে যে দিকে প্রবাহিত হয়, সেদিক পবিত্র হয় । তুলসীবনে পিতৃশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠিত হলে তা পিতৃপুরুষদের খুব প্রীতিপ্রদ হয় । সে গৃহে তুলসীতলের মৃত্তিকা থাকে, সে গৃহে যম কিস্কর প্রবেশ করতে পারে না । তুলসী মৃত্তিকা লিপ্ত হয়ে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়, সে ব্যক্তি যদি ঘোরতর পাপী হয়, তবে যম কিস্কর তাকে দর্মন করতে পাড়ে না । তুলসী তলে প্রদীপ জ্বালালে  বৈষ্ণব পদ লাভ হয় । যার গৃহে তুলসী কানন থাকে, সে গৃহ তীর্থস্বরূপ ।নর্ম্মদা ও গোদাবরী নদীতে স্থানে যে পুন্য হয় তুলসীবন সংসর্গে সে ফল লাভ হয় । যিনি তুলসী মঞ্জুরী দিয়ে বিষ্ণুপূজা করেন, তাঁর আর পুর্ণজন্ম হয় না অর্থাৎ মোক্ষ লাভ হয় ।
 বহু  ভেষজ গুণে গুণান্বিত তুলসী গাছ। আর এইজন্য তুলসী পাতাকে ভেষজের রানীও বলা হয়। প্রতিদিন তুলসীপাতা সেবন করার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সহজলভ্য এই পাতাটি মাথাব্যথা থেকে শুরু করে ক্যানসারের মত রোগও প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিন একটি তুলসী পাতা আপনাকে দূরে রাখবে ৭ টি অসুখ থেকে। আসুন জেনে নিই তুলসীপাতার গুনাগুণ।

১। মাথাব্যথা দূর করতে

মাথাব্যথা খুব পরিচিত একটা রোগ। এটি যে কোন সময় যে কারোর হতে পারে। এই ব্যথা অল্প থেকে শুরু হলেও তীব্র হতে বেশি সময় লাগে না। তুলসীপাতা এই মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রাকৃতিক গুণাগুণ যা মাথাব্যথা দূর করে থাকে। এমনকি মাইগ্রেন, সাইনাস, কারণে মাথাব্যথাও দূর হতে পারে কেবল প্রতিদিন একটি তুলসীপাতা খেলে।

২। ইনফেকশন বা সংক্রমণের চিকিৎসায়

দেহের ইনফেকশন দূর করে থাকে তুলসী পাতা। এতে ফাংজিসাইডাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে, যা দেহের অভ্যন্তরীন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।

৩। কিডনির পাথর দূর করতে

তুলসীপাতা কিডনির পাথর সারাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসীপাতা খেলে এটি প্রাকৃতিকভাবে কিডনির পাথর দূর করে দিবে।

৪। ডায়াবেটিকস রোধ করতে

তুলসী পাতাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিথাইল, ইউজিনল উপাদান আছে। এটি রক্তের সুগারের পরিমাণ কমিয়ে থাকে। আবার শরীরে প্রয়োজনীয় ইন্সুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে। যা ডায়াবেটিকস রোধ করতে সাহায্য করে।

৫। কাশি দূর করতে

এটা আমরা সবাই জানি তুলসী পাতার রস কাশি দূর করে থাকে। সকালে এক গ্লাস পানির সঙ্গে তুলসীপাতা খান। এতে অ্যান্টিটুসিভ উপাদান যা কফ দূর করতে সাহায্য করবে। এক্সপেকটোরেন্ট উপাদান বুকের শ্লেষ্মাকে বের করে দেবে।

৬। ক্যানসার প্রতিরোধে

তুলসী পাতাতে এ্যান্টি অক্সিডেণ্ট উপাদান আছে যা স্তন ক্যানসার এবং ওরাল ক্যানসার প্রতিরোধ করে। তুলসীপাতার রস রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে যা টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে থাকে।

৭। ফুসফুসের জন্য

তুলসীপাতার মধ্যে পলিফেনল উপাদান আছে যা রক্তাধিক্যজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যা ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

এছাড়াও তুলসী প্রচুর গুনের গুণনিধি :- 

শুধু পুজো-অর্চনাতেই লাগে না ৷ তুলসী পাতার অনেক গুণ রয়েছে ৷ আয়ুর্বেদে তুলসীকে ভেষজের আখ্যা দেওয়া হয় ৷ চলুন এই ভেষজের গুণগুলো জেনে নিই ৷
* জ্বর হলে জলের মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করুন ৷ অথবা তিনটে দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন ৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা জলের সঙ্গে খান ৷ জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
* কাশি যদি না কমে সেই ক্ষেত্রে তুলসী পাতা এবং আদা পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান ৷ এতে উপকার পাবেন ৷
* পেট খারাপ হলে তুলসীর ১০ টা পাতা সামান্য জিরের সঙ্গে পিষে ৩-৪ বার খান ৷ পায়খানা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে, মানে পায়খানার ওই সমস্যাটা আর কি!
* মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চেবান ৷
* ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান, কমে যাবে ৷
* শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালা কমবে ৷ পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে ৷ সেখানে কোন দাগ থাকবে না ৷
* ত্বকের চমক বাড়ানোর জন্য, এছাড়াও ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রোন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান ৷
* বুদ্ধি এবং স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ৫-৭ টা তুলসী পাতা চিবান ৷
* প্রস্রাবে জ্বালা হলে তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন ৷ উপকার পাবেন ৷

* ত্বকের সমস্যা দূর করতে তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগান ৷
 ** সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক অবসাদ প্রশমনে এমনকি প্রতিরোধে তুলসী চমৎকার কাজ করে। কোনো সুস্থ ব্যক্তি যদি প্রতিদিন অন্তত ১২টি তুলসীপাতা দিনে দু’বার নিয়মিত চিবাতে পারেন তাহলে সেই ব্যক্তি কখনো মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হবেন না বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।


তুলসী একটি ঘন শাখা প্রশাখা বিমিষ্ট ২/৩ ফুট উঁচু একটি চিরহরিৎ গুল্ম। এর মূল কাণ্ড কাষ্ঠল, পাতা ২-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়। পাতার কিনারা খাঁজকাটা, শাখাপ্রশাখার অগ্রভাগ হতে ৫ টি পুষ্পদণ্ড বের হয় ও প্রতিটি পুষ্পদণ্ডের চারদিকে ছাতার আকৃতির মত ১০-২০ টি স্তরে ফুল থাকে। প্রতিটি স্তরে ৬টি করে ছোট ফুল ফোটে। এর পাতা, ফুল ও ফলের একটি ঝাঁঝাল গন্ধ আছে। ঔষধ হিসাবে এই গাছের ব্যবহার্য অংশ হলো এর রস, পাতা এবং বীজ। বিভিন্ন প্রকার প্রকার তুলসী গাছ দেখা যায় সেগুলি হলো: বাবুই তুলসী, রামতুলসী, কৃষ্ণ-তুলসী, ও শ্বেত তুলসী।, ঔষধের কাজে একটির পরিবর্তে আরেকটি ব্যবহার করা যায়।

তথ্যসূত্র:-

  1. "The Plant List: A Working List of All Plant Species". Retrieved 13 January 2015.

  2. Staples, George; Michael S. Kristiansen (1999). Ethnic Culinary Herbs. University of Hawaii Press. p. 73. ISBN 978-0-8248-2094-7.

  3. Warrier, P K (1995). Indian Medicinal Plants. Orient Longman. p. 168. ISBN 0-86311-551-9.

  4. Kothari, S. K.; Bhattacharya, A. K.; Ramesh, S.; Garg, S. N.; Khanuja, S.P.S. (November–December 2005). "Volatile Constituents in Oil from Different Plant Parts of Methyl Eugenol-Rich Ocimum tenuiflorum L.f. (syn. O. sanctum L.) Grown in South India". Journal of Essential Oil Research. 17 (6): 656–658. doi:10.1080/10412905.2005.9699025. (subscription required (help)).

  5. Bast, Felix; Pooja Rani; Devendra Meena (2014). "Chloroplast DNA Phylogeography of Holy Basil (Ocimum tenuiflorum) in Indian Subcontinent". The Scientific World Journal. 70 (3): 277–85. doi:10.1155/2014/847482. PMID 847482.

  6. Lang, E. K.; Rani, Pooja; Meena, Devendra (Mar 1977). "Asymptomatic space-occupying lesions of the kidney: a programmed sequential approach and its impact on quality and cost of health care". South Med J. 70 (3): 277–85. doi:10.1155/2014/847482. PMID 847482.

  7. "Tulsi". Tamilnadu.com. 28 January 2013.

  8. Hindu FAQ: Why do we consider Tulsi sacred?

  9. Claus, Peter J.; Sarah Diamond; Margaret Ann Mills (2003). South Asian Folklore: An Encyclopedia. Taylor & Francis. p. 619. ISBN 978-0-415-93919-5.

  10. Simoons, Frederick J. (1998). Plants of life, plants of death. Univ of Wisconsin Press. pp. 7–40. ISBN 978-0-299-15904-7.

  11. Brahma vaivarta Purana 4.67.65

  12. Chatterjee, Gautam (2001). Sacred Hindu Symbols. Abhinav Publications. p. 93. ISBN 978-81-7017-397-7.

  13. Simoons, pp. 17–18.

  14. Flood, Gavin D. (2001). The Blackwell companion to Hinduism. Wiley-Blackwell. p. 331. ISBN 978-0-631-21535-6.

  15. Wilkins, W.J. (2003). Hindu Mythology. New Delhi: D.K. Printworld (P) Limited. p. 471. ISBN 81-246-0234-4.

  16. NIIR Board, National Institute of Industrial Research (India) (2004). Compendium of Medicinal Plants. 2004. National Institute of Industrial Research. p. 320. ISBN 978-81-86623-80-0.

  17. Kuhn, Merrily; David Winston (2007). Winston & Kuhn's Herbal Therapy & Supplements: A Scientific and Traditional Approach. Lippincott Williams & Wilkins. p. 260. ISBN 978-1-58255-462-4.

  18. Botanical Pathways article with clinical trials details. botanicalpathways.com

  19. Puri, Harbans Singh (2002). Rasayana: Ayurvedic Herbs for Longevity and Rejuvenation. CRC Press. pp. 272–280. ISBN 978-0-415-28489-9.

  20. Gernot Katzer's Spice Pages

  21. http://www.eatingthaifood.com/2014/01/thai-basil-chicken-recipe-pad-kra-pao-gai/

  22. http://thaifoodandtravel.com/blog/basil-salmon/

  23. Punyaratabandhu, Leela (2014). Simple Thai Food. Ten Speed Press, Berkeley. p. 203. ISBN 978-1-60774-523-5.

  24. Biswas, N. P.; Biswas, A. K. (2005). "Evaluation of some leaf dusts as grain protectant against rice weevil Sitophilus oryzae (Linn.)". Environment and Ecology. 23 (3): 485–488.

  25. http://www.tandfonline.com/doi/abs/10.1080/10826076.2011.606583

  26. Padalia, Rajendra C.; Verma, Ram S. (2011). "Comparative volatile oil composition of four Ocimum species from northern India". Natural Product Research. 25 (6): 569–575. doi:10.1080/14786419.2010.482936. PMID 21409717.

  27. Golshahi H.; Ghasemi E.; Mehranzade E. (2011). "Antibacterial activity of Ocimum sanctum extract against E. coli, S. aureus and P. aeruginosa". Clinical Biochemistry. Conference: 12th Iranian Congress of Biochemistry, ICB and 4th International Congress of Biochemistry and Molecular Biology. 44 (13 SUPPL. 1): S352.

  28. Upadhyay, Atul K.; Chacko, Anita R.; Gandhimathi, A.; Ghosh, Pritha; Harini, K.; Joseph, Agnel P.; Joshi, Adwait G.; Karpe, Snehal D.; Kaushik, Swati; Kuravadi, Nagesh; Lingu, Chandana S; Mahita, J.; Malarini, Ramya; Malhotra, Sony; Malini, Manoharan; Mathew, Oommen K.; Mutt, Eshita; Naika, Mahantesha; Nitish, Sathyanarayanan; Pasha, Shaik Naseer; Raghavender, Upadhyayula S.; Rajamani, Anantharamanan; Shilpa, S; Shingate, Prashant N.; Singh, Heikham Russiachand; Sukhwal, Anshul; Sunitha, Margaret S.; Sumathi, Manojkumar; Ramaswamy, S.; Gowda, Malali; Sowdhamini, Ramanathan (28 August 2015). "Genome sequencing of herb Tulsi (Ocimum tenuiflorum) unravels key genes behind its strong medicinal properties". BMC Plant Biology. 15 (1): 212. doi:10.1186/s12870-015-0562-x. PMC 4552454. PMID 26315624

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন