" কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেল গুলো সেই।।"
কফি (ইংরেজি: Coffee) বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয় পানীয়। "কফি বীজ" নামে পরিচিত এক প্রকার বীজ পুড়িয়ে গুঁড়ো মিশিয়ে জলের সাথে কফি তৈরি করা হয়। এই বীজ কফি চেরি নামক এক ধরনের ফলের বীজ। প্রায় ৭০টি দেশে এই ফলের গাছ জন্মে। সবুজ কফি বিশ্বের সব থেকে বেশি বিক্রীত কৃষিপণ্যের মধ্যে একটি। কফিতে ক্যাফেইন নামক এক প্রকার উত্তেজক পদার্থ রয়েছে। ৮ আউন্স কফিতে প্রায় ১৩৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে কফির উপাদান ক্যাফেইনের জন্যে কফি মানুষের উপর উত্তেজক প্রভাব ফেলে ও উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এখন, চায়ের পর কফি বিশ্বের অত্যধিক জনপ্রিয় পানীয়।
কফি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিক্রিত পণ্য (জ্বালানী তেলের পরে) এবং বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বেশি পানকৃত পানীয়দের অন্যতম। ১৯৯৮-২০০০ সালের মধ্যে ৬,৭ মিলিয়ন টন কফি উৎপন্ন হয়েছে।
বিশ্বের সর্বত্র ব্যাপকভাবে প্রচলিত উত্তেজক পানীয় হিসেবে এর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। ১৯৯৯ সালের হিসেব অনুযায়ী আমেরিকার নাগরিকগণ প্রতিদিন গড়ে ৩.৫ কাপ কফি পানীয়রূপে গ্রহণ করে থাকেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাৎসরিকভাবে ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখে জাতীয় কফি দিবস পালন করা হয়।
কফি যেমন শরীর চাঙা করে তোলে। তেমনি বিপরীত ফলাফলও আছে।
কফিতে আছে ক্যাফেইন। ফিমেলফার্স্ট ডটকো ডটইউকে’র এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশিকা অনুসারে শরীরে খুব বেশি হলে দৈনিক ৪০০ মি.গ্রাম ক্যাফেইন নেওয়া যেতে পারে। তবে কফি ছাড়াও চা, চকলেট ও রঙিন কোমল পানীয়তেও আছে ক্যাফেইন। সারা দিনে কফি ছাড়া এসবও খাওয়া পড়ে। তাই সব মিলিয়ে দেখা যায়, শরীরে অতিরিক্ত ক্যাফেইন চলে যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের দি গ্লেন হাসপাতাল ব্রিসটলের কনসালটেন্ট সার্জন এবং ওজন কামানোর বিশেষজ্ঞ স্যালি নরটন, ক্যাফেইন গ্রহণের সুবিধা অসুবিধার চিত্র তুলে ধরেন।
খারাপ দিক
হৃদয়ের জন্য ভালো নয়: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাফেইন হৃদপিণ্ডের রক্তসরবরাহকরী ধমনীতে রক্ত চলাচল ধীর করে দেয়। বিশেষ করে যখন বেশি দরকার, যেমন: ব্যায়ামের সময়। তাছাড়া বুকধড়ফড়ানি, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা উচ্চ রক্তচাপের জন্যেও শরীরের অতিরিক্ত ক্যাফেইন দায়ী।
ঘুমের ব্যঘাত: এক কথা অনেকেই জানেন, চা বা কফি খেলে ঘুম কম হয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা দিনে তিন কাপের বেশি কফি পান করেন তাদের শান্তির ঘুম খুব কমই হয়। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কফি খান না তাদের থেকে কফি পানকারীদের ৭৯ মিনিট কম ঘুম হয়। তাই ঘুমের সমস্যা থাকলে কফিকে না বলুন।
চিনির সঙ্গে আত্মিয়: যদিও অনেকে চিনি ছাড়া কফি পান করেন। তবে কফির সঙ্গে কেক, বিস্কুট বা অনেক পদেই থাকে চিনি। সবমিলিয়ে দেখা যায়, সারা দিনে হয়তো ১১ টেবিল-চামচ চিনি খাওয়া হয়ে যাচ্ছে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় আছেন, তাদের চেষ্টা তখন বিফলে যাবে।
মেজাজের জন্য খারাপ: ক্যাফেইন শরীরের অ্যাড্রেনালিন নামক একধরনের হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। যে কারণে শরীরের টানটান উত্তেজনা বা ঘাবড়িয়ে যাওয়ার অনুভুতির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
সন্তান ধারণে অক্ষমতা: দৈনিক পাঁচ কাপের বেশি কফি খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। যদি মা হতে চান, তবে অবশ্যই কফি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। আর গর্ভধারেণের পর কফি বাদ দিন। কারণ দৈনিক ২০০ মি.গ্রাম ক্যাফেইন শরীরে গেলে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি জন্মক্রটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সুবিধা
খেলাধুলায় উন্নতি: ক্যাফেইন যুক্ত কফি খেলে খেলাধুলায় প্রাণ পাওয়া যায়। যদিও হৃদপিণ্ডের গতি বাড়ায়, তারপরও কফি শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে। তাই যে কোনো খেলার আগে কফি পান শরীরে আনে আলাদা শক্তি।
মানসিক শক্তি বৃদ্ধি: গবেষণায় দেখা গেছে মানসিক চাপের সময়, ২০০ মি.গ্রাম ক্যাফেইন শরীরে গেলে মনযোগ বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে প্রমাণ মিলেছে আলঝেইমার (স্মৃতিভ্রংশ) রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী পদার্থ ক্যাফেইন।
রোগের ঝুঁকি কমায়: ক্যাফেইন যুক্ত বা বিহীন, যে কোনো ধরনের কফি টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে দেখা গেছে কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় কফি।
কলিজার রক্ষাকবজ: অ্যালকোহল সেবন ও স্থুলতা, যকৃতে মেদ জমার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ব্যথার পাশাপাশি যকৃতের অতিরিক্ত মেদ থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো কোনো সময় লিভার বা যকৃতের মেদ কমাতে ক্যাফেইন কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
আনন্দ অনুভুতি: সত্যি বলতে কফির গন্ধই আপনাকে অনেকখানি চাঙা করে দেয়। আর পেটে কফি পড়লে মনের বিষাদভাব কাটতে বেশি সময় লাগে না।
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেল গুলো সেই।।"
কফি (ইংরেজি: Coffee) বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয় পানীয়। "কফি বীজ" নামে পরিচিত এক প্রকার বীজ পুড়িয়ে গুঁড়ো মিশিয়ে জলের সাথে কফি তৈরি করা হয়। এই বীজ কফি চেরি নামক এক ধরনের ফলের বীজ। প্রায় ৭০টি দেশে এই ফলের গাছ জন্মে। সবুজ কফি বিশ্বের সব থেকে বেশি বিক্রীত কৃষিপণ্যের মধ্যে একটি। কফিতে ক্যাফেইন নামক এক প্রকার উত্তেজক পদার্থ রয়েছে। ৮ আউন্স কফিতে প্রায় ১৩৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে কফির উপাদান ক্যাফেইনের জন্যে কফি মানুষের উপর উত্তেজক প্রভাব ফেলে ও উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এখন, চায়ের পর কফি বিশ্বের অত্যধিক জনপ্রিয় পানীয়।
কফি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিক্রিত পণ্য (জ্বালানী তেলের পরে) এবং বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বেশি পানকৃত পানীয়দের অন্যতম। ১৯৯৮-২০০০ সালের মধ্যে ৬,৭ মিলিয়ন টন কফি উৎপন্ন হয়েছে।
বিশ্বের সর্বত্র ব্যাপকভাবে প্রচলিত উত্তেজক পানীয় হিসেবে এর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। ১৯৯৯ সালের হিসেব অনুযায়ী আমেরিকার নাগরিকগণ প্রতিদিন গড়ে ৩.৫ কাপ কফি পানীয়রূপে গ্রহণ করে থাকেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাৎসরিকভাবে ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখে জাতীয় কফি দিবস পালন করা হয়।
কফি যেমন শরীর চাঙা করে তোলে। তেমনি বিপরীত ফলাফলও আছে।
কফিতে আছে ক্যাফেইন। ফিমেলফার্স্ট ডটকো ডটইউকে’র এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশিকা অনুসারে শরীরে খুব বেশি হলে দৈনিক ৪০০ মি.গ্রাম ক্যাফেইন নেওয়া যেতে পারে। তবে কফি ছাড়াও চা, চকলেট ও রঙিন কোমল পানীয়তেও আছে ক্যাফেইন। সারা দিনে কফি ছাড়া এসবও খাওয়া পড়ে। তাই সব মিলিয়ে দেখা যায়, শরীরে অতিরিক্ত ক্যাফেইন চলে যাচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের দি গ্লেন হাসপাতাল ব্রিসটলের কনসালটেন্ট সার্জন এবং ওজন কামানোর বিশেষজ্ঞ স্যালি নরটন, ক্যাফেইন গ্রহণের সুবিধা অসুবিধার চিত্র তুলে ধরেন।
খারাপ দিক
হৃদয়ের জন্য ভালো নয়: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাফেইন হৃদপিণ্ডের রক্তসরবরাহকরী ধমনীতে রক্ত চলাচল ধীর করে দেয়। বিশেষ করে যখন বেশি দরকার, যেমন: ব্যায়ামের সময়। তাছাড়া বুকধড়ফড়ানি, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা উচ্চ রক্তচাপের জন্যেও শরীরের অতিরিক্ত ক্যাফেইন দায়ী।
ঘুমের ব্যঘাত: এক কথা অনেকেই জানেন, চা বা কফি খেলে ঘুম কম হয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা দিনে তিন কাপের বেশি কফি পান করেন তাদের শান্তির ঘুম খুব কমই হয়। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কফি খান না তাদের থেকে কফি পানকারীদের ৭৯ মিনিট কম ঘুম হয়। তাই ঘুমের সমস্যা থাকলে কফিকে না বলুন।
চিনির সঙ্গে আত্মিয়: যদিও অনেকে চিনি ছাড়া কফি পান করেন। তবে কফির সঙ্গে কেক, বিস্কুট বা অনেক পদেই থাকে চিনি। সবমিলিয়ে দেখা যায়, সারা দিনে হয়তো ১১ টেবিল-চামচ চিনি খাওয়া হয়ে যাচ্ছে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় আছেন, তাদের চেষ্টা তখন বিফলে যাবে।
মেজাজের জন্য খারাপ: ক্যাফেইন শরীরের অ্যাড্রেনালিন নামক একধরনের হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। যে কারণে শরীরের টানটান উত্তেজনা বা ঘাবড়িয়ে যাওয়ার অনুভুতির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
সন্তান ধারণে অক্ষমতা: দৈনিক পাঁচ কাপের বেশি কফি খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। যদি মা হতে চান, তবে অবশ্যই কফি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। আর গর্ভধারেণের পর কফি বাদ দিন। কারণ দৈনিক ২০০ মি.গ্রাম ক্যাফেইন শরীরে গেলে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি জন্মক্রটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সুবিধা
খেলাধুলায় উন্নতি: ক্যাফেইন যুক্ত কফি খেলে খেলাধুলায় প্রাণ পাওয়া যায়। যদিও হৃদপিণ্ডের গতি বাড়ায়, তারপরও কফি শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে। তাই যে কোনো খেলার আগে কফি পান শরীরে আনে আলাদা শক্তি।
মানসিক শক্তি বৃদ্ধি: গবেষণায় দেখা গেছে মানসিক চাপের সময়, ২০০ মি.গ্রাম ক্যাফেইন শরীরে গেলে মনযোগ বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে প্রমাণ মিলেছে আলঝেইমার (স্মৃতিভ্রংশ) রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী পদার্থ ক্যাফেইন।
রোগের ঝুঁকি কমায়: ক্যাফেইন যুক্ত বা বিহীন, যে কোনো ধরনের কফি টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে দেখা গেছে কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় কফি।
কলিজার রক্ষাকবজ: অ্যালকোহল সেবন ও স্থুলতা, যকৃতে মেদ জমার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ব্যথার পাশাপাশি যকৃতের অতিরিক্ত মেদ থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো কোনো সময় লিভার বা যকৃতের মেদ কমাতে ক্যাফেইন কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
আনন্দ অনুভুতি: সত্যি বলতে কফির গন্ধই আপনাকে অনেকখানি চাঙা করে দেয়। আর পেটে কফি পড়লে মনের বিষাদভাব কাটতে বেশি সময় লাগে না।
এখন গরম পড়ছে, আর এই গরমে খাবারের তালিকা থেকে উধাও গরম চা, কফি। তার বদলে শরবত, ফলের রসের পাশাপাশি জায়গা করে নিতে পারে আইস টি, কোল্ড কফি। আজ আপনাদের জন্য রয়েছে কোল্ড কফি বানানর সহজ রেসিপি।
কোল্ড কফি বানাতে যা যা লাগবেঃ
ঠান্ডা দুধ-২ কাপ
জল-১/২ কাপ
ইন্সট্যন্ট কফি পাউডার-৩ চা চামচ
চিনি-২ টেবিল চামচ
ক্রিম-২ টেবিল চামচ
বরফ কুচি
কীভাবে বানাবেন
এক চামচ জলে কফি পাউডার ও চিনি মিশিয়ে ফেটিয়ে নিন। বাকি জল গরম করে ফুটন্ট জলে ফেটানো কফি মিশিয়ে নামিয়ে নিন ঠান্ডা করে নিন। ব্লেন্ডারে কফি ও ঠান্ডা দুধ ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। ওর মধ্যে ১ টেবিল চামত ক্রিম ও বরফ কুচি দিয়ে আরও একবার ভাল করে ব্লেন্ড করে কাচের গ্লাসে ঢেলে ওপরে বাকি ক্রিম ও ওক চিমটে গুঁড়ো কফি দিয়ে গার্নিশ করে পরিবেশন করুন কোল্ড কফি। তবে অনেকের কাছেই ক্রিম ও ওক না থাকলে কিছুক্ষন ব্লেন্ড করে গ্লাসে পরিবেশন করুন।
কফি সাধারণত পশ্চিমা দেশের অন্যতম পানীয়। পরবর্তিকালে কফির চাষ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে এখন কফির চাষ হচ্ছে। আর তাতে বাণিজ্যিক দিক থেকে বেশ কয়েকটি দেশ লাভের মুখ দেখছে।
কফি গাছ দেখতে অনেকটা বেলি ফুলের গাছের মতো। তবে তা উচ্চতা ও ঘেরের দিক থেকে অনেকটা বড়। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৬শ' ফুট ওপরে যে কোন মাটিতে কফি চাষ করা সম্ভব। তবে পাহাড়ি, উপত্যকা ও ঝরণার পাশের জমি এবং যেসব জমিতে লবণাক্ততা নেই সেসব জমি কফি চাষের উপযোগী। এছাড়া রাবার বাগানের ফাঁকে ফাঁকে লাগানো যাবে কফির চারা। বাড়ির আঙ্গিনা, ফুলের টব কিংবা বাড়ির ছাদেও কফির চাষ সম্ভব। চারা রোপণের দুবছরের মধ্যে কফির গোটা সংগ্রহ করা যাবে। কফির গোটাগুলো দেখতে অনেকটা গমের মতো। তবে তা আকারে একটু বড়।একটি কফি গাছ থেকে ২০/৩০ বছর ধরে ফল পাওয়া যায়। কফি চাষের ক্ষেত্রে প্রতিটি গাছের জন্য খরচ হবে মাত্র এক থেকে দেড়শ' টাকা। প্রতিটি গাছ থেকে বছরে আধা কেজি কফি পাওয়া যেতে পারে ।
কফি গাছ থেকে শুধুমাত্র পানীয় কফিই নয়, একে সহায়ক হিসেবে নিলে এ কফি গাছের অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে মধু ও শ্যাম্পুও তৈরি করা যাবে। মধু চাষের জন্য কফি বাগানে কয়েকটি কফি গাছের মধ্যেকার খোলা নির্দিষ্ট স্থানে একটি কাঠের তৈরি মৌমাছির জন্য বিশেষভাবে ছোট আকারে তৈরি বিশেষ বাক্স বসাতে হবে। কফি গাছে ফুল এলেই মৌমাছিরা সেখানে আসবে। ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে কাঠের তৈরি ওই বাক্সে তারা বাসা বাঁধবে। একটি কফি গাছের ফুল থেকে প্রতিবারে একশ' গ্রাম মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ওই গাছের উপকরণকে প্রক্রিয়া করে উন্নতমানের 'শ্যাম্পু' তৈরি করা
"আড্ডা" বাঙ্গালীর মননে,আর কফি হল আড্ডার একটি অঙ্গ , -------------------
কফি হাউস, ইন্ডিয়ান কফি হাউস বা এ্যালবার্ট হলঃ - উত্তর কলকাতার কলেজ স্ট্রিট চত্বরে এটি অবস্থিত ও বাঙালির-আড্ডাস্থল, কোলকাতার কফি হাউস গুলির মধ্যে সেন্ট্রাল এ্যাভিনিউ এবং কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউজ - দুটিই প্রাচীনতম। রাধাপ্রসাদ গুপ্তের দেওয়া স্মৃতিনির্ভর তথ্য অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান কফি বোর্ডের উদ্যোগে বাঙালি কফিসেবীদের জন্য সেন্ট্রাল এ্যাভিনিউর কফি-হাউজ খোলা হয় ১৯৪১-৪২ সাল নাগাদ আর তার কিছুদিন পরেই খোলা হয় কলেজ স্ট্রিটের কফি-হাউজটি। পরে, ১৯৫৭ সাল নাগাদ অ্যালবার্ট হল কফি-হাউজ ইন্ডিয়ান কফি বোর্ডের আওতা থেকে বেরিয়ে এসে শ্রমিক সমব্যয়ের আওতায় আসে।
এই দুই কফি-হাউজই ছিল এককালের বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের প্রধান আড্ডাস্থল। নিকটতম বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলির ছাত্রছাত্রীদের ভিড় করা ছাড়াও নামিদামী বুদ্ধিজীবী - লেখক, সাহিত্যিক, গায়ক, রাজনিতীবিদ, পেশাদার, ব্যবসায়ী ও বিদেশি পর্যটকদের আড্ডা দেওয়ার অবারিত জায়গা হিসাবে এটি খ্যাত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পুরানো বইয়ের বাজার ও নতুন বইয়ের বাজার সামনে আছে বলে হাউসটিতে সব সময়েই ভিড় থাকে। চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়, বাঙালি অভিনেতা রূদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর মত প্রমুখ ব্যক্তিরাও কোননা কোন সময়ে এই কফি হাউসটিতে আড্ডা দিয়ে গেছেন।
সংক্ষেপে এই কফি হাউসটি কলেজ স্ট্রিটের মর্মস্থলে অবস্থিত যেখানে প্রখ্যাত সব বুদ্ধিজীবিরা ঘন্টার পর ঘন্টা এক কাপ কফি নিয়ে আড্ডা জমান। পূর্বে অ্যালবার্ট হল নামে পরিচিত এই হলঘর বহু ঐতিহাসিক সভা বা জমায়েতের সাক্ষী।
কফির কথা বলতে বলতে মনে মনে গুনগুন করে উঠি -----------------
"কত স্বপ্নের রোদ ওঠে এই কফি হাউজে কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়
কতজন এলো গেল কতজনই আসবে কফি হাউজটা শুধু থেকে যায়।।"
তথ্যসুত্র ও ছবিঃ- গুগল সৌজন্যে
কোল্ড কফি বানাতে যা যা লাগবেঃ
ঠান্ডা দুধ-২ কাপ
জল-১/২ কাপ
ইন্সট্যন্ট কফি পাউডার-৩ চা চামচ
চিনি-২ টেবিল চামচ
ক্রিম-২ টেবিল চামচ
বরফ কুচি
কীভাবে বানাবেন
এক চামচ জলে কফি পাউডার ও চিনি মিশিয়ে ফেটিয়ে নিন। বাকি জল গরম করে ফুটন্ট জলে ফেটানো কফি মিশিয়ে নামিয়ে নিন ঠান্ডা করে নিন। ব্লেন্ডারে কফি ও ঠান্ডা দুধ ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। ওর মধ্যে ১ টেবিল চামত ক্রিম ও বরফ কুচি দিয়ে আরও একবার ভাল করে ব্লেন্ড করে কাচের গ্লাসে ঢেলে ওপরে বাকি ক্রিম ও ওক চিমটে গুঁড়ো কফি দিয়ে গার্নিশ করে পরিবেশন করুন কোল্ড কফি। তবে অনেকের কাছেই ক্রিম ও ওক না থাকলে কিছুক্ষন ব্লেন্ড করে গ্লাসে পরিবেশন করুন।
কফি সাধারণত পশ্চিমা দেশের অন্যতম পানীয়। পরবর্তিকালে কফির চাষ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে এখন কফির চাষ হচ্ছে। আর তাতে বাণিজ্যিক দিক থেকে বেশ কয়েকটি দেশ লাভের মুখ দেখছে।
কফি গাছ দেখতে অনেকটা বেলি ফুলের গাছের মতো। তবে তা উচ্চতা ও ঘেরের দিক থেকে অনেকটা বড়। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৬শ' ফুট ওপরে যে কোন মাটিতে কফি চাষ করা সম্ভব। তবে পাহাড়ি, উপত্যকা ও ঝরণার পাশের জমি এবং যেসব জমিতে লবণাক্ততা নেই সেসব জমি কফি চাষের উপযোগী। এছাড়া রাবার বাগানের ফাঁকে ফাঁকে লাগানো যাবে কফির চারা। বাড়ির আঙ্গিনা, ফুলের টব কিংবা বাড়ির ছাদেও কফির চাষ সম্ভব। চারা রোপণের দুবছরের মধ্যে কফির গোটা সংগ্রহ করা যাবে। কফির গোটাগুলো দেখতে অনেকটা গমের মতো। তবে তা আকারে একটু বড়।একটি কফি গাছ থেকে ২০/৩০ বছর ধরে ফল পাওয়া যায়। কফি চাষের ক্ষেত্রে প্রতিটি গাছের জন্য খরচ হবে মাত্র এক থেকে দেড়শ' টাকা। প্রতিটি গাছ থেকে বছরে আধা কেজি কফি পাওয়া যেতে পারে ।
কফি গাছ থেকে শুধুমাত্র পানীয় কফিই নয়, একে সহায়ক হিসেবে নিলে এ কফি গাছের অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে মধু ও শ্যাম্পুও তৈরি করা যাবে। মধু চাষের জন্য কফি বাগানে কয়েকটি কফি গাছের মধ্যেকার খোলা নির্দিষ্ট স্থানে একটি কাঠের তৈরি মৌমাছির জন্য বিশেষভাবে ছোট আকারে তৈরি বিশেষ বাক্স বসাতে হবে। কফি গাছে ফুল এলেই মৌমাছিরা সেখানে আসবে। ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে কাঠের তৈরি ওই বাক্সে তারা বাসা বাঁধবে। একটি কফি গাছের ফুল থেকে প্রতিবারে একশ' গ্রাম মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ওই গাছের উপকরণকে প্রক্রিয়া করে উন্নতমানের 'শ্যাম্পু' তৈরি করা
"আড্ডা" বাঙ্গালীর মননে,আর কফি হল আড্ডার একটি অঙ্গ , -------------------
কফি হাউস, ইন্ডিয়ান কফি হাউস বা এ্যালবার্ট হলঃ - উত্তর কলকাতার কলেজ স্ট্রিট চত্বরে এটি অবস্থিত ও বাঙালির-আড্ডাস্থল, কোলকাতার কফি হাউস গুলির মধ্যে সেন্ট্রাল এ্যাভিনিউ এবং কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউজ - দুটিই প্রাচীনতম। রাধাপ্রসাদ গুপ্তের দেওয়া স্মৃতিনির্ভর তথ্য অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান কফি বোর্ডের উদ্যোগে বাঙালি কফিসেবীদের জন্য সেন্ট্রাল এ্যাভিনিউর কফি-হাউজ খোলা হয় ১৯৪১-৪২ সাল নাগাদ আর তার কিছুদিন পরেই খোলা হয় কলেজ স্ট্রিটের কফি-হাউজটি। পরে, ১৯৫৭ সাল নাগাদ অ্যালবার্ট হল কফি-হাউজ ইন্ডিয়ান কফি বোর্ডের আওতা থেকে বেরিয়ে এসে শ্রমিক সমব্যয়ের আওতায় আসে।
এই দুই কফি-হাউজই ছিল এককালের বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের প্রধান আড্ডাস্থল। নিকটতম বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলির ছাত্রছাত্রীদের ভিড় করা ছাড়াও নামিদামী বুদ্ধিজীবী - লেখক, সাহিত্যিক, গায়ক, রাজনিতীবিদ, পেশাদার, ব্যবসায়ী ও বিদেশি পর্যটকদের আড্ডা দেওয়ার অবারিত জায়গা হিসাবে এটি খ্যাত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পুরানো বইয়ের বাজার ও নতুন বইয়ের বাজার সামনে আছে বলে হাউসটিতে সব সময়েই ভিড় থাকে। চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়, বাঙালি অভিনেতা রূদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর মত প্রমুখ ব্যক্তিরাও কোননা কোন সময়ে এই কফি হাউসটিতে আড্ডা দিয়ে গেছেন।
সংক্ষেপে এই কফি হাউসটি কলেজ স্ট্রিটের মর্মস্থলে অবস্থিত যেখানে প্রখ্যাত সব বুদ্ধিজীবিরা ঘন্টার পর ঘন্টা এক কাপ কফি নিয়ে আড্ডা জমান। পূর্বে অ্যালবার্ট হল নামে পরিচিত এই হলঘর বহু ঐতিহাসিক সভা বা জমায়েতের সাক্ষী।
কফির কথা বলতে বলতে মনে মনে গুনগুন করে উঠি -----------------
"কত স্বপ্নের রোদ ওঠে এই কফি হাউজে কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়
কতজন এলো গেল কতজনই আসবে কফি হাউজটা শুধু থেকে যায়।।"
তথ্যসুত্র ও ছবিঃ- গুগল সৌজন্যে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন