'An Apple a Day, Keeps the Doctor Away:- দিনে একটি আপেল খান, রোগ মুক্ত জীবন পান'
আপেল এক প্রকারের ফল। এটি রোসাসি (Rosaceae) গোত্রের ম্যালিয়াস ডমেস্টিকা (Malus domestica ) প্রজাতিভুক্ত। আপেল গাছ ৫-১২ মিটার দীর্ঘ, এবং চওড়া ও শাখা প্রশাখা যুক্ত শীর্ষভাগ বিশিষ্ট বৃক্ষ। আপেল ফল হেমন্ত কালে পাকে এবং ৫-৮ সেমি ব্যাসের হয়ে থাকে।
প্রতিদিন আপেল খাওয়ার গুরুত্ব কতখানি? অন্যান্য ফল কেন নয়? কেন কলা, কমলা, পেয়ারা বা আম নয়? কারণ আপেলে একসাথে সব পুষ্টি উপাদান আছে, যা বিভিন্ন ফলে থাকলেও একসাথে একটি ফলে নেই| তাই এই প্রবাদের প্রচলন ও আপেল খাওয়ার গুরুত্ব অনেক|
আপেল একটি অত্যন্ত পরিচিত ফল, যা সব যায়গায় পাওয়া যায়| দিনে এক থেকে দুইটি আপেল খেলে হার্টের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়| গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে-- দিনে একটি আপেল খেলে রক্তের ক্ষতিকর LDL Cholesterol কমে|
সেই সাথে আরো পাওয়া গেছে যে, আপেল রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, diabetes হওয়া থেকে রক্ষা করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, বিভিন্ন রকম ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীর কে রক্ষা করে, blood pressure, হার্টের অসুখ থেকে রক্ষা করে এবং ফুসফুস কে রক্ষা করে| আপেল শরীরের ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে| এতে অন্যান্য ফলের তুলনায় প্রচুর antioxidant আছে| আপেল muscle tonic, diuretic, laxative, antidiarrheal, antirheumatic, ও stomachic.
কেন আপেলের এত গুনাগুন?
আপেল প্রথমত: খেতে খুবই সুস্বাদু, সহজে ক্ষুধা নিবারণ করতে এই ফলের জুড়ি নেই| অন্য ফাস্ট/junk ফুড বা মিষ্টি খাবার খাওয়ার চেয়ে, মিষ্টি, কচকচে আপেল খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করা অনেক ভালো | কারণ এতে মাত্র ৭০-১০০ ক্যালরি আছে| অফিসে, কাজের ফাকে বা পড়াশুনার ফাকে স্ন্যাকস হিসাবে একটি আপেল খেয়ে নিতে পারেন|
এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য ভালো| তাই bowel পরিষ্কার রেখে, কোলন ক্যান্সার হতে দেয় না|
এতে carbohydrate, sugar, folic acid, potassium, calcium, B vitamins, iron, magnesium, ও zinc আছে |
আপেলে পেকটিন নামক ফাইবার আছে, যা সহজে তরলে মিশে যায়| এই ফাইবার অন্ত্র নালিতে cholesterol জমতে দেয় না, এবং শরীর থেকে cholesterol খরচ করে কমাতে সাহায্য করে| এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে| এটি ব্লাড প্রেসার ও রক্তের glucose/ sugar নিয়ন্ত্রণ করে | coronary artery disease ও diabetes এর রোগীরা তাই এটি খেলে উপকার পান |এটি হজমের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরীতে সাহায্য করে | তাই এটি হজম শক্তি বৃধ্ধ্বি করে ও ঠিক রাখে
আপেলের খোসায় polyphenols নামক antioxidant আছে, যা কোষকে ধ্বংশ হয়ে দেয় না|
আপেলে phenols আছে, যা LDL Cholesterol কমায় ও ভালো cholesterol HDL বাড়ায়|
আপেলে পর্যাপ্ত boron আছে, যা হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে ও ব্রেইনের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
আপেলে আছে flavonoid, যা antioxidant, এটি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে, হার্টের অসুখ ও ক্যান্সার হতে রক্ষা করে
আপেলে Quercetin আছে, যা একটি flavonoid, এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে শরীরকে রক্ষা করে| এই পুষ্টি উপাদানটি free radical ধ্বংশ হতে রক্ষা করে| তাছাড়া এটি DNA ধ্বংশ হতেও রক্ষা করে| Free radical ধ্বংশ হতে রক্ষা করার জন্য, বার্ধক্য জনিত রোগ, যেমন: Alzheimer's হতেও এটি রক্ষা করে |
আপেলে প্রচুর Phytonutrients, যেমন: ভিটামিন A, E ও beta carotene আছে| এগুলো ও free radical ধ্বংশ হতে, ব্রেইনের অসুখ হতে বাধা দেয়, ফুসফুস ভালো রাখে ও শ্বাস প্রশ্বাস প্রক্রিয়া ভালো রাখে | ফলে শরীর অনেক রোগ থেকে মুক্তি পায় , যেমন: হার্টের অসুখ , Diabetes ও Asthma , Parkinsonism , Alzheimer's.
অন্যান্য ফলের মত আপেলের চিনি রক্তের চিনির মাত্র বাড়িয়ে দেয় না| ফলে diabetes এর রোগীরা নিশ্চিন্তে পরিমানমত আপেল খেতে পারেন |
আপেলে কোনো লবন নেই, তাই আপেল থেকে অতিরিক্ত লবন খাবার কোনো সম্ভাবনা নেই|
আপেলে সামান্য ভিটামিন সিও আছে| তাই আপেল রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে | তাছাড়া ভিটামিন সি তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে সাহায্য করে|
আপেল লিভার ও gall bladder পরিষ্কার রাখে, এর পাথর (gallstones) দূর করে বা ধ্বংশ করে
আপেলের প্রচুর পানি আছে, তাই এটি পানিশুন্যতা দূর করে, তৃষ্ণা মেটায় ও শরীর ঠান্ডা করে|
জ্বর হলে তা কমাতে সাহায্য করে, তাই জ্বর এর রোগীরা আপেল খেলে ভালো বোধ করেন|
আপেলের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে তা কফ দুর করে|
ডায়রিয়া হলে তা সারাতে সাহায্য করে|
মাসেল টোন করতে সাহায্য করে ও ওজন কমায়
Gastric এর সমস্যা কমায়
আপেলের রস দাঁতের জন্য ও ভালো| কারণ ব্যাকটেরিয়া এর কারণে দাঁতের ক্ষয় হয়, আপেলের রস ৮০% পর্যন্ত দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংশ করতে পারে| তাই বলা যায় যে –“an apple a day also keeps the dentist away”!
সবুজ, সোনালী, লাল, যেকোনো রকম আপেল থেকেই এই উপকারিতাগুলো পাওয়া যায়|
এত ফল থাকতে কি শুধু আপেলেই খাবেন? না, অন্যান্য ফল: যেমন: কমলা, যে কোনো মৌসুমী ফল, ইত্যাদি তেও অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়| তবে আপেল সহজ লভ্য ও সারা বছর পাওয়া যায় | তাছাড়া এত পুষ্টি উপাদান এক সাথে শুধু মাত্র আপেলেই আছে| অন্যান্য ভিটামিন, যেমন ভিটামিন সি যুক্ত ফল (যেমন: কমলা, লেবু, পেয়ারা, আমলকি, আনারস ইত্যাদি) ও রাখুন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়|
দিনে অন্তত একটি হলেও তাই আপেল খাওয়া উচিত| দুটি হলেও ক্ষতি নেই| তাই আপনার প্রতিদিনের ব্যালান্স ডায়েটে অবশ্যই একটি আপেল রাখুন|
আপেল কাশ্মীর উপত্যকার অন্যতম অর্থকরী ফল। কাশ্মীরের নিচু পাহাড়গুলোর ভাঁজে ভাঁজে রোদ-ছায়ার খেলা লাল সবুজ আপেলের মিতালি দেখতে সত্যিই মনোরম। কাশ্মীরি ভাষায় আপেলকে বলা হয় ‘চুঁওট’। শীতল আবহাওয়ায় এর ফলন হয় বলে একে বলা হয় টেম্পরেচার ফ্রুটস । আগস্টের শুরুতেই দু’একটা গাছে আপেল পাকা শরু হয় । আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত গাছ পাকা তাজা আপেল কেনা যায় কাশ্মীরের বাজারগুলোতে। কাশ্মীরের বাজারে আপেলর দাম প্রতি কেজি ১০-২০ টাকা । শ্রীনগর থেকে জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে ধরে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে দুটি জেলার নাম অনন্তনাগ (স্থানীয়রা বলে ইসলামাবাদ) আর কুলগাঁও। এই দুই জেলায়ই উৎপন্ন হয় সবচেয়ে বেশি এবং উন্নত জাতের আপেল। পাহাড়ি এলাকার পথগুলোতে ভয়ঙ্কর সব বাঁকে পথ চলা কষ্টকর হলেও আশে পাশের সৌন্দর্য দেখে আপনি বলে উঠবেন এই পথ যদি না শেষ হয়……
তবে কাশ্মীর সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি তাতে বুঝে গেছি কমপক্ষে তিনবার কাশ্মীর না গেলে কাশ্মীরকে পূর্ণরূপে দেখা সম্ভব নয়। প্রথমটা হলো আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস, যখন শীতের প্রকোপ খুবই কম থাকে আর গাছে গাছে থাকে পাকা লালরঙা আপেল। দ্বিতীয়টা হলো ডিসেম্বর জানুয়ারী, যখন ওখানে তুষার ঝরে। তৃতীয়টা হলো এপ্রিল যখন সবগুলো পাহাড়ের মাথায় থাকবে বরফের সাদা টুপি আর আনন্দে হাসবে টিউলিপরা। একটা পূরণ হয়েছে, বাকী দুটোর অপেক্ষায় আছি।
১) আপেল গাছ
(২) আপেল গাছগুলো বড় হতে অনেক সময় নেয়, তাছাড়া ওরা আপেল গাছ জাতে খুব উঁচু না হয় বরঞ্চ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে ডাল কেটে সেই ব্যবস্থা করে দেয়।
(৩/৪) গাছের নিচে বসে উপরের দিকে তাকালে গাছগুলোকে এমন দেখায়।
(৫/৬) সবুজ সাদা কিংবা লাল সব রকম আপেলই বাগান গুলোতে রয়েছে।
(৭/৮) আপেলের ভারে যাতে ডাল ভেঙে না যায় যে জন্য গাছগুলোতে অনেক খুটি লাগানো থাকে।
(৯) সকালের সোনা রোদে চকচক করছে আপেলগুলো।
(১০) গাছ থেকে আপেল সংগ্রহ করছে এক কাশ্মীরি নারী।
(১১/১২) রপ্তানীর জন্য তৈরী হচ্ছে আপেল।
(১৩/১৪) হরেক রকম আপেল, কোনটা গোলাকার কোনটা চ্যাপ্টা।
(১৫/১৬) কিছু কিছু গাছে এতো বেশী আপেল হয়েছে যে, ভাবতে সত্যিই বিশ্ময় লাগে।
আপেল এক প্রকারের ফল। এটি রোসাসি (Rosaceae) গোত্রের ম্যালিয়াস ডমেস্টিকা (Malus domestica ) প্রজাতিভুক্ত। আপেল গাছ ৫-১২ মিটার দীর্ঘ, এবং চওড়া ও শাখা প্রশাখা যুক্ত শীর্ষভাগ বিশিষ্ট বৃক্ষ। আপেল ফল হেমন্ত কালে পাকে এবং ৫-৮ সেমি ব্যাসের হয়ে থাকে।
প্রতিদিন আপেল খাওয়ার গুরুত্ব কতখানি? অন্যান্য ফল কেন নয়? কেন কলা, কমলা, পেয়ারা বা আম নয়? কারণ আপেলে একসাথে সব পুষ্টি উপাদান আছে, যা বিভিন্ন ফলে থাকলেও একসাথে একটি ফলে নেই| তাই এই প্রবাদের প্রচলন ও আপেল খাওয়ার গুরুত্ব অনেক|
আপেল একটি অত্যন্ত পরিচিত ফল, যা সব যায়গায় পাওয়া যায়| দিনে এক থেকে দুইটি আপেল খেলে হার্টের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়| গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে-- দিনে একটি আপেল খেলে রক্তের ক্ষতিকর LDL Cholesterol কমে|
সেই সাথে আরো পাওয়া গেছে যে, আপেল রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, diabetes হওয়া থেকে রক্ষা করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, বিভিন্ন রকম ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীর কে রক্ষা করে, blood pressure, হার্টের অসুখ থেকে রক্ষা করে এবং ফুসফুস কে রক্ষা করে| আপেল শরীরের ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে| এতে অন্যান্য ফলের তুলনায় প্রচুর antioxidant আছে| আপেল muscle tonic, diuretic, laxative, antidiarrheal, antirheumatic, ও stomachic.
কেন আপেলের এত গুনাগুন?
আপেল প্রথমত: খেতে খুবই সুস্বাদু, সহজে ক্ষুধা নিবারণ করতে এই ফলের জুড়ি নেই| অন্য ফাস্ট/junk ফুড বা মিষ্টি খাবার খাওয়ার চেয়ে, মিষ্টি, কচকচে আপেল খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করা অনেক ভালো | কারণ এতে মাত্র ৭০-১০০ ক্যালরি আছে| অফিসে, কাজের ফাকে বা পড়াশুনার ফাকে স্ন্যাকস হিসাবে একটি আপেল খেয়ে নিতে পারেন|
এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য ভালো| তাই bowel পরিষ্কার রেখে, কোলন ক্যান্সার হতে দেয় না|
এতে carbohydrate, sugar, folic acid, potassium, calcium, B vitamins, iron, magnesium, ও zinc আছে |
আপেলে পেকটিন নামক ফাইবার আছে, যা সহজে তরলে মিশে যায়| এই ফাইবার অন্ত্র নালিতে cholesterol জমতে দেয় না, এবং শরীর থেকে cholesterol খরচ করে কমাতে সাহায্য করে| এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে| এটি ব্লাড প্রেসার ও রক্তের glucose/ sugar নিয়ন্ত্রণ করে | coronary artery disease ও diabetes এর রোগীরা তাই এটি খেলে উপকার পান |এটি হজমের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরীতে সাহায্য করে | তাই এটি হজম শক্তি বৃধ্ধ্বি করে ও ঠিক রাখে
আপেলের খোসায় polyphenols নামক antioxidant আছে, যা কোষকে ধ্বংশ হয়ে দেয় না|
আপেলে phenols আছে, যা LDL Cholesterol কমায় ও ভালো cholesterol HDL বাড়ায়|
আপেলে পর্যাপ্ত boron আছে, যা হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে ও ব্রেইনের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
আপেলে আছে flavonoid, যা antioxidant, এটি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে, হার্টের অসুখ ও ক্যান্সার হতে রক্ষা করে
আপেলে Quercetin আছে, যা একটি flavonoid, এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে শরীরকে রক্ষা করে| এই পুষ্টি উপাদানটি free radical ধ্বংশ হতে রক্ষা করে| তাছাড়া এটি DNA ধ্বংশ হতেও রক্ষা করে| Free radical ধ্বংশ হতে রক্ষা করার জন্য, বার্ধক্য জনিত রোগ, যেমন: Alzheimer's হতেও এটি রক্ষা করে |
আপেলে প্রচুর Phytonutrients, যেমন: ভিটামিন A, E ও beta carotene আছে| এগুলো ও free radical ধ্বংশ হতে, ব্রেইনের অসুখ হতে বাধা দেয়, ফুসফুস ভালো রাখে ও শ্বাস প্রশ্বাস প্রক্রিয়া ভালো রাখে | ফলে শরীর অনেক রোগ থেকে মুক্তি পায় , যেমন: হার্টের অসুখ , Diabetes ও Asthma , Parkinsonism , Alzheimer's.
অন্যান্য ফলের মত আপেলের চিনি রক্তের চিনির মাত্র বাড়িয়ে দেয় না| ফলে diabetes এর রোগীরা নিশ্চিন্তে পরিমানমত আপেল খেতে পারেন |
আপেলে কোনো লবন নেই, তাই আপেল থেকে অতিরিক্ত লবন খাবার কোনো সম্ভাবনা নেই|
আপেলে সামান্য ভিটামিন সিও আছে| তাই আপেল রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে | তাছাড়া ভিটামিন সি তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে সাহায্য করে|
আপেল লিভার ও gall bladder পরিষ্কার রাখে, এর পাথর (gallstones) দূর করে বা ধ্বংশ করে
আপেলের প্রচুর পানি আছে, তাই এটি পানিশুন্যতা দূর করে, তৃষ্ণা মেটায় ও শরীর ঠান্ডা করে|
জ্বর হলে তা কমাতে সাহায্য করে, তাই জ্বর এর রোগীরা আপেল খেলে ভালো বোধ করেন|
আপেলের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে তা কফ দুর করে|
ডায়রিয়া হলে তা সারাতে সাহায্য করে|
মাসেল টোন করতে সাহায্য করে ও ওজন কমায়
Gastric এর সমস্যা কমায়
আপেলের রস দাঁতের জন্য ও ভালো| কারণ ব্যাকটেরিয়া এর কারণে দাঁতের ক্ষয় হয়, আপেলের রস ৮০% পর্যন্ত দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংশ করতে পারে| তাই বলা যায় যে –“an apple a day also keeps the dentist away”!
সবুজ, সোনালী, লাল, যেকোনো রকম আপেল থেকেই এই উপকারিতাগুলো পাওয়া যায়|
এত ফল থাকতে কি শুধু আপেলেই খাবেন? না, অন্যান্য ফল: যেমন: কমলা, যে কোনো মৌসুমী ফল, ইত্যাদি তেও অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়| তবে আপেল সহজ লভ্য ও সারা বছর পাওয়া যায় | তাছাড়া এত পুষ্টি উপাদান এক সাথে শুধু মাত্র আপেলেই আছে| অন্যান্য ভিটামিন, যেমন ভিটামিন সি যুক্ত ফল (যেমন: কমলা, লেবু, পেয়ারা, আমলকি, আনারস ইত্যাদি) ও রাখুন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়|
দিনে অন্তত একটি হলেও তাই আপেল খাওয়া উচিত| দুটি হলেও ক্ষতি নেই| তাই আপনার প্রতিদিনের ব্যালান্স ডায়েটে অবশ্যই একটি আপেল রাখুন|
আপেল কাশ্মীর উপত্যকার অন্যতম অর্থকরী ফল। কাশ্মীরের নিচু পাহাড়গুলোর ভাঁজে ভাঁজে রোদ-ছায়ার খেলা লাল সবুজ আপেলের মিতালি দেখতে সত্যিই মনোরম। কাশ্মীরি ভাষায় আপেলকে বলা হয় ‘চুঁওট’। শীতল আবহাওয়ায় এর ফলন হয় বলে একে বলা হয় টেম্পরেচার ফ্রুটস । আগস্টের শুরুতেই দু’একটা গাছে আপেল পাকা শরু হয় । আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত গাছ পাকা তাজা আপেল কেনা যায় কাশ্মীরের বাজারগুলোতে। কাশ্মীরের বাজারে আপেলর দাম প্রতি কেজি ১০-২০ টাকা । শ্রীনগর থেকে জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে ধরে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে দুটি জেলার নাম অনন্তনাগ (স্থানীয়রা বলে ইসলামাবাদ) আর কুলগাঁও। এই দুই জেলায়ই উৎপন্ন হয় সবচেয়ে বেশি এবং উন্নত জাতের আপেল। পাহাড়ি এলাকার পথগুলোতে ভয়ঙ্কর সব বাঁকে পথ চলা কষ্টকর হলেও আশে পাশের সৌন্দর্য দেখে আপনি বলে উঠবেন এই পথ যদি না শেষ হয়……
তবে কাশ্মীর সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি তাতে বুঝে গেছি কমপক্ষে তিনবার কাশ্মীর না গেলে কাশ্মীরকে পূর্ণরূপে দেখা সম্ভব নয়। প্রথমটা হলো আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস, যখন শীতের প্রকোপ খুবই কম থাকে আর গাছে গাছে থাকে পাকা লালরঙা আপেল। দ্বিতীয়টা হলো ডিসেম্বর জানুয়ারী, যখন ওখানে তুষার ঝরে। তৃতীয়টা হলো এপ্রিল যখন সবগুলো পাহাড়ের মাথায় থাকবে বরফের সাদা টুপি আর আনন্দে হাসবে টিউলিপরা। একটা পূরণ হয়েছে, বাকী দুটোর অপেক্ষায় আছি।
১) আপেল গাছ
(২) আপেল গাছগুলো বড় হতে অনেক সময় নেয়, তাছাড়া ওরা আপেল গাছ জাতে খুব উঁচু না হয় বরঞ্চ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে ডাল কেটে সেই ব্যবস্থা করে দেয়।
(৩/৪) গাছের নিচে বসে উপরের দিকে তাকালে গাছগুলোকে এমন দেখায়।
(৫/৬) সবুজ সাদা কিংবা লাল সব রকম আপেলই বাগান গুলোতে রয়েছে।
(৭/৮) আপেলের ভারে যাতে ডাল ভেঙে না যায় যে জন্য গাছগুলোতে অনেক খুটি লাগানো থাকে।
(৯) সকালের সোনা রোদে চকচক করছে আপেলগুলো।
(১০) গাছ থেকে আপেল সংগ্রহ করছে এক কাশ্মীরি নারী।
(১১/১২) রপ্তানীর জন্য তৈরী হচ্ছে আপেল।
(১৩/১৪) হরেক রকম আপেল, কোনটা গোলাকার কোনটা চ্যাপ্টা।
(১৫/১৬) কিছু কিছু গাছে এতো বেশী আপেল হয়েছে যে, ভাবতে সত্যিই বিশ্ময় লাগে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন