"মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর
খেলা করে!"
"কেউ কথা রাখেনি"
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পদ্ম (Lotus) Nymphaeaceae গোত্রের ভাসমান জলজ উদ্ভিদ Nelumbo nucifera। সারা বছর জল থাকে এমন জায়গায় পদ্ম ভাল জন্মে। তবে খাল-বিল, ইত্যাদিতেও এ উদ্ভিদ জন্মে। পাতা বড় এবং গোলাকৃতি, কোন কোন পাতা জলে লেপটে থাকে, কোনটা উঁচানো। বর্ষাকালে ফুল ফোটে। ফুল বৃহৎ এবং বহু পাপড়িযুক্ত। সাধারণত বোঁটার উপর খাড়া, ৮-১৫ সেমি চওড়া। ফুলের রং লাল, গোলাপি ও সাদা, সুগন্ধিযুক্ত। ফুল ও ফলের ভেষজগুণ আছে। পদ্মের মূল, কান্ড, ফুলের বৃন্ত ও বীজ খাওয়া যায়। পুরাতন গাছের কন্দ এবং বীজের সাহায্যে এদের বংশবিস্তার হয় ।ভারত ও ভিয়েতনামের জাতীয় ফুল পদ্ম।
পদ্মফুলের বহু নাম:
পদ্ম, কমল, শতদল, সহস্রদল, উত্পল (পদ্ম বা শাপলা), মৃণাল, পঙ্কজ, অব্জ, অম্বুজ, নীরজ, সরোজ, সরসিজ, সররুহ, নলিনী, অরবিন্দ, রাজীব, ইন্দিরা, কুমুদ, তামরস,
দুর্গাপূজার একান্ত জরুরী ফুল পদ্ম । মহাষ্টমী তিথিতে মায়ের পায়ে ১০৮টি জলপদ্ম দিয়ে পূজো অর্চনা করি । হিন্দু ধর্মীয় কাহিনী অনুসারে নারায়ণের নাভি থেকে নির্গত পদ্ম লক্ষ্মী দেবীর আসন।শ্বেতপদ্ম বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আসন।
কারও কারও ধারনা,পদ্মবনে এক ধরনের গোখরো সাপের বাস ,তাকে পদ্মগোখরো বলে ।
পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া,হুগলী ও মেদিনীপুর জেলার কিছু অংশে ব্যাপক পদ্মফুলের চাষ হয়। পদ্মফুল পবিত্র সৌন্দর্যের প্রতীক,পবিত্র সৌন্দর্য বোঝাতে বাংলা ভাষায় চরণকমল, পাদপদ্ম, করকমল, মুখপদ্ম, কমলনয়না ইত্যাদি উপমা ব্যবহার করা হয়। সাহিত্যে ও গানে পদ্মফুল বিশেষ জায়গা জুড়ে রয়েছে।
আজ প্রথম ফুলের পাব প্রসাদখানি, তাই ভোরে উঠেছি৷
আজ শুনতে পাব প্রথম আলোর বাণী, তাই বাইরে ছুটেছি
এই হল মোদের পাওয়া, তাই ধরেছি, গান-গাওয়া,
আজ লুটিয়ে হিরণ-কিরণ-পদ্মদলে সোনার রেণু লুটেছি
————– রবীন্দ্রনাথ
রেখো মা দাসেরে মনে,এ মিনতি করি পদে,
সাধিতে মনের সাধ,ঘটে যদি পরমাদ ,
মধুহীন কোর না গো তব মন কোকোনদে।
-----------------মাইকেল মধুসূদন দত্ত
তথ্য সহায়তা ও ছবি :-গুগল সৌজন্যে
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর
খেলা করে!"
"কেউ কথা রাখেনি"
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পদ্ম (Lotus) Nymphaeaceae গোত্রের ভাসমান জলজ উদ্ভিদ Nelumbo nucifera। সারা বছর জল থাকে এমন জায়গায় পদ্ম ভাল জন্মে। তবে খাল-বিল, ইত্যাদিতেও এ উদ্ভিদ জন্মে। পাতা বড় এবং গোলাকৃতি, কোন কোন পাতা জলে লেপটে থাকে, কোনটা উঁচানো। বর্ষাকালে ফুল ফোটে। ফুল বৃহৎ এবং বহু পাপড়িযুক্ত। সাধারণত বোঁটার উপর খাড়া, ৮-১৫ সেমি চওড়া। ফুলের রং লাল, গোলাপি ও সাদা, সুগন্ধিযুক্ত। ফুল ও ফলের ভেষজগুণ আছে। পদ্মের মূল, কান্ড, ফুলের বৃন্ত ও বীজ খাওয়া যায়। পুরাতন গাছের কন্দ এবং বীজের সাহায্যে এদের বংশবিস্তার হয় ।ভারত ও ভিয়েতনামের জাতীয় ফুল পদ্ম।
পদ্মফুলের বহু নাম:
পদ্ম, কমল, শতদল, সহস্রদল, উত্পল (পদ্ম বা শাপলা), মৃণাল, পঙ্কজ, অব্জ, অম্বুজ, নীরজ, সরোজ, সরসিজ, সররুহ, নলিনী, অরবিন্দ, রাজীব, ইন্দিরা, কুমুদ, তামরস,
- পুণ্ডরীক=শ্বেতপদ্ম
- কোকোনদ=লাল পদ্ম
- ইন্দিবর= নীল পদ্ম
দুর্গাপূজার একান্ত জরুরী ফুল পদ্ম । মহাষ্টমী তিথিতে মায়ের পায়ে ১০৮টি জলপদ্ম দিয়ে পূজো অর্চনা করি । হিন্দু ধর্মীয় কাহিনী অনুসারে নারায়ণের নাভি থেকে নির্গত পদ্ম লক্ষ্মী দেবীর আসন।শ্বেতপদ্ম বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আসন।
কারও কারও ধারনা,পদ্মবনে এক ধরনের গোখরো সাপের বাস ,তাকে পদ্মগোখরো বলে ।
পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া,হুগলী ও মেদিনীপুর জেলার কিছু অংশে ব্যাপক পদ্মফুলের চাষ হয়। পদ্মফুল পবিত্র সৌন্দর্যের প্রতীক,পবিত্র সৌন্দর্য বোঝাতে বাংলা ভাষায় চরণকমল, পাদপদ্ম, করকমল, মুখপদ্ম, কমলনয়না ইত্যাদি উপমা ব্যবহার করা হয়। সাহিত্যে ও গানে পদ্মফুল বিশেষ জায়গা জুড়ে রয়েছে।
আজ প্রথম ফুলের পাব প্রসাদখানি, তাই ভোরে উঠেছি৷
আজ শুনতে পাব প্রথম আলোর বাণী, তাই বাইরে ছুটেছি
এই হল মোদের পাওয়া, তাই ধরেছি, গান-গাওয়া,
আজ লুটিয়ে হিরণ-কিরণ-পদ্মদলে সোনার রেণু লুটেছি
————– রবীন্দ্রনাথ
রেখো মা দাসেরে মনে,এ মিনতি করি পদে,
সাধিতে মনের সাধ,ঘটে যদি পরমাদ ,
মধুহীন কোর না গো তব মন কোকোনদে।
-----------------মাইকেল মধুসূদন দত্ত
তথ্য সহায়তা ও ছবি :-গুগল সৌজন্যে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন