রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মেহেন্দী\মেহেদি



মেহেদি (Lawsonia inermis, মেহেদী, মেহেন্দী, মেন্দি। ইংরেজিতে হেনা, যা আরবি হিন্না حِنَّاء থেকে এসেছে ) এক ধরনের সপুষ্পক উদ্ভিদ, যার পাতা প্রাচীনকাল থেকে ত্বক, চুল, নখ, পশুর চামড়া ও পশম রঙিন করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই উদ্ভিদের পাতার সাথে অন্যান্য দ্রব্য মিশিয়ে আধা-কৃত্রিম পদার্থ তৈরি করা হয়, সেটাও মেহেদি নামেই পরিচিত। মেহেদির নানা প্রকার ঔষধি গুণাগুণও রয়েছে ।

   ব্রোঞ্জ যুগ থেকেই দুনিয়াবাসীরা রঞ্জক হিসেবে মেহেদি ব্যবহার করে আসছে। দুনিয়ার বহু দেশে এটি উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ভারতীয় উপমহাদেশে বিয়ে উপলক্ষে এর ব্যবহার অনেকটা আবশ্যিকরূপে প্রচলিত। ভারতীয় আদালতে চুলের রঙ হিসেবে মেহেদির ব্যবহারের কথা উল্লেখ আছে যেটা প্রায় ৪০০ খ্রিস্টাব্দের। ছত্রাক-রোধী হিসেবেও মেহেদি কার্যকর। কাপড় ও চামড়া সংরক্ষণেও এর ব্যবহার হয়। মেহেদি ফুল থেকে সুগন্ধী তৈরি হতো বহু প্রাচীনকাল থেকেই, বর্তমান যুগে এর উৎপাদন আবার শুরু হয়েছে। পোকা দমনেও মেহেদি ব্যবহৃত হয়। লসোন (lawsone) নামক এক প্রকার পদার্থের উপস্থিতির জন্যই মেহেদিতে রঙ হয়। মেহেদির পাতাতেই প্রধানত: লসোন থাকে। যে গাছের পাতায় লসোন বেশি সে গাছের ফলে বীজ কম হয়।


  • কাঁধের ব্যথা সারাতে মেহেদি পাতার রসের সাথে সরিষার তেল মিশিয়ে মালিশ করলে ব্যথা কমে যায়।
  • চুল ওঠা কমায়।
সুগন্ধি তৈরীর উপাদান হলেও মেহেন্দী ফুলের নিজস্ব সুগন্ধ নেই ,কিন্তু রূপ আছে। সবুজ ও হলুদ মেশানো রঙের থোকা ফুল গাছের পাতার সাথে মিশে থাকে। ওঙ্কার ধামের মেহেন্দি গাছটির বয়স প্রায় ৬০ বছর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন