শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

রজনীগন্ধা

রজনীগন্ধা   "চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে ,উছলে পরে আলো
                   ও  রজনীগন্ধা  তোমার  গন্ধসুধা   ঢালো। ......"
রজনীগন্ধা একটি মনোরম ও সুগন্ধী ফুল। রঙ ও সুগন্ধীর জন্য রজনীগন্ধা ফুল সবার কাছেই প্রিয়। রাতে এ ফুল সুগন্ধ ছড়ায় বলে একে রজনীগন্ধা বলে। সাধারণত রজনীগন্ধা হচ্ছে বর্ষা মৌসুমের একটি ফুল। আমাদের হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়া,বেহুলা প্রভৃতি এলাকায় এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতে রজনীগন্ধা ফুল চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে।এছাড়া সারা বাংলা জুড়ে প্রচুর রজনীগন্ধার চাষ হয়।

                                         " পূর্ণিমাসন্ধ্যায় তোমার রজনীগন্ধায়
                             রূপসাগরের পারের পানে উদাসী মন ধায় ।
                             তোমার প্রজাপতির পাখা
                             আমার আকাশ-চাওয়া মুগ্ধ চোখের রঙিন-স্বপন-মাখা ।।
                             তোমার চাঁদের আলোয়
                            মিলায় আমার দুঃখসুখের সকল অবসান ।"


  

এফুলের নির্যাস হতে সুগন্ধিও তৈরি হয়ে থাকে। সারা বছরই বাজারে এ ফুলের চাহিদা বেশী থাকে এরং সারা বছরই এ ফুল চাষ হয়ে থাকে। তবে শীতকালে কিছুটা কম ফোটে। রজনীগন্ধার কন্দ লাগিয়ে বংশবৃদ্ধি করা হয় । মার্চ- এপ্রিল মাস কন্দ লাগানোর উপযুক্ত সময়।
রজনীগন্ধার কয়েকটি জাত লক্ষ্য করা যায়৷ যথা :
সিঙ্গল: যে সব জাতের ফুলের পাঁপড়ি একটি সারিতে থাকে সে সব জাতগুলি সিঙ্গেল শ্রেনীভুক্ত। একসারি পাপড়িযুক্ত সিঙ্গল জাতের গন্ধ বেশী।
সেমি-ডবল: যে সব জাতের ফুলের পাঁপড়ি দুই বা তিন সারিতে থাকে সে জাতগুলিকে সেমি-ডবল।
ডবল: তিন-এর অধিক পাঁপড়ির সারি থাকলে সে জাতগুলিকে ডবল শ্রেনীর অন্তভুক্ত করা যায়। তুলনামুলকভাবে কম হয়ে থাকে।
ভ্যারিগেটেড জাত: ভ্যারিগেটেড জাতের বেলায় পাতায় হলুদাভ রেখা দেখা যায়৷
কয়েকটি জাতের বাণিজ্যিক নাম হলো- সিগল জাত: পার্ল, বম্বে, ক্যালকাটা, সিংগল মেক্সিকান, ডবল জাত: ডবল পার্ল।
বৈজ্ঞানিক নামঃ Polianthes tuberosa
পরিবারঃ Agavaceae

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন