মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ইচ্ছে করে ডেকে বলি, ওগো কাশের মেয়ে-
"আজকে আমার চোখ জুড়ালো তোমার দেখা পেয়ে
তোমার হাতে বন্দী আমার ভালবাসার কাশ
তাইতো আমি এই শরতে তোমার কৃতদাস"
--নির্মলেন্দু গুণ
ফটোঃ-রিতা নন্দী
-রিতা নন্দী
ফুলের নাম- কাশ, Kans grass
বৈজ্ঞানিক নাম- Saccharum spontaneum
পরিবার- Poaceae
আমাদের নিজস্ব সম্পদ। কাশফুলের জন্মস্থান  ভারত, বাংলাদেশ,পাকিস্থান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপে। ঘাসজাতীয়, আখ বা ইক্ষুর আত্মীয়। আমাদের দেশে শরৎ মানেই কাশ আর শিউলি ফুল। নদী তীরবর্তী স্থান কাশ জন্মানোর আদর্শ স্থান হলেও এখন প্রায় সব জায়গাতেই জন্মাতে দেখা যায়।

"নদীর পাড়েতে কাশবন সাদা,
মুগ্ধতা চোখে চাওয়া,
হয়নি তো কভু অসীমে তাকিয়ে,
উদাসী মনের হাওয়া।"

বর্ষার বৃষ্টি বা বন্যার জল  নেমে যাওয়ার পর কাশের ঘাস জন্মে আর শরতে ফোটে  শুভ্র, সাদা ফুল। কাশ খুব দ্রুত জন্মে নিজেদের একটা কলোনী তৈরি করে, যা কাশবন নামেই আমাদের কাছে পরিচিত।
কাশ যেহেতু আখ(Saccharum officinarum) এর আত্মীয় সেহেতু আখের কিছুটা গুণ এর মধ্যেও আছে। কাশ ঘাসের গোড়ার দিকের অংশ মিষ্টি স্বাদের। ফিলিপাইনে এর মূলের রস ডাইইউরেটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মূলের রস বা জ্যুস জ্বর সারাতে পারে। এছাড়া মূলের রসের সংকোচক, উপশমকারী, শীতলকারক, বিরেচক, সবলকারক গুণ রয়েছে। ব্যথা কমাতে কান্ডের শাঁসের গরম সেঁক উপকারী।
পাশ্চাত্যে কাশফুল নেই। সেখানে কাশের মতো দেখতে Pampas grass(Cortaderia selloana) আছে।এই ঘাসগুলো হঠাৎ দেখে মনে হবে আমাদের দেশি কাশফুল। আসলে তা নয়। এরা অন্য গণের বাসিন্দা। এদের স্বভাব বৈশিষ্ট্য ও ভিন্ন। কাশের তুলনায় এই ফুলগুলো বেশ ঘন। ফুল সাদা বা ক্রিম কালার। হাইব্রিড জাত আছে গোলাপি, নীল ফুলের।
ফটোঃ- রিতা নন্দী



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন