ফুলের নাম:ছাতিম
"আমি রূপে তোমায় ভোলাব না,ভালবাসায় ভোলাব "
শরতের সন্ধ্যা ও রাতের পুরো সময়টায় ছাতিম ফুলের ম ম গন্ধে সুবাসিত হয়ে থাকে। এই সময়টায় গোধূলি বেলা থেকে রাতের মধ্যে যে কোন সময় পথের ধার দিয়ে যাওয়ার সময় ঝাপটা বাতাসে সুন্দর মধুমাখা গন্ধ নাকে ভেসে এলে ধরে নিতে হবে আশপাশেই আছে ছাতিম গাছ। ঝাঁকড়া পত্রপল্লব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা উঁচু এই গাছের শাখা প্রশাখায় ভরা পাতা আর সাদার মধ্যে সবুজাভ রঙে থোকায় থোকায় অগুনতি ফুলে প্রকৃতির কি নিসর্গ তা না দেখলে অনুভব করা যায় না। ছাতিমগাছ যেন শিশি উপুড় করে সন্ধ্যার বাতাসে গন্ধ ঢেলে দেয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ও মাদকতাময় হয়ে ওঠে এই গন্ধ। দেখা যায় সারা গাছ ছেয়ে থাকা গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা ফুল।
"আমি রূপে তোমায় ভোলাব না,ভালবাসায় ভোলাব "
শরতের সন্ধ্যা ও রাতের পুরো সময়টায় ছাতিম ফুলের ম ম গন্ধে সুবাসিত হয়ে থাকে। এই সময়টায় গোধূলি বেলা থেকে রাতের মধ্যে যে কোন সময় পথের ধার দিয়ে যাওয়ার সময় ঝাপটা বাতাসে সুন্দর মধুমাখা গন্ধ নাকে ভেসে এলে ধরে নিতে হবে আশপাশেই আছে ছাতিম গাছ। ঝাঁকড়া পত্রপল্লব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা উঁচু এই গাছের শাখা প্রশাখায় ভরা পাতা আর সাদার মধ্যে সবুজাভ রঙে থোকায় থোকায় অগুনতি ফুলে প্রকৃতির কি নিসর্গ তা না দেখলে অনুভব করা যায় না। ছাতিমগাছ যেন শিশি উপুড় করে সন্ধ্যার বাতাসে গন্ধ ঢেলে দেয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ও মাদকতাময় হয়ে ওঠে এই গন্ধ। দেখা যায় সারা গাছ ছেয়ে থাকা গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা ফুল।
ছাতিমের আকার ও গড়নের কিছু বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে লক্ষণীয়। সরল উন্নত কাণ্ড
কিছুদূর উপরে হঠাৎ শাখা-প্রশাখার একটি ঢাকনা সৃষ্টি করে আবার একলাফে একে
ছাড়িয়ে অনেক দূর উঠে যায় এবং এমনি পত্রঘন কয়েকটি চন্দ্রাতপের স্তর সৃষ্টি
করে। এসব কারণে অনেক দূর থেকেই ছাতিম গাছ শনাক্ত করা যায়।
১৫ থেকে ২০ মিটার উঁচু, চিরসবুজ দুধকষভরা সুশ্রী গাছ। পাতা প্রায় ১৮ সেমি লম্বা, মসৃণ, উপর উজ্জ্বল সবুজ, নিচ সাদাটে। শরতের শেষে সারা গাছ ভরে গুচ্ছবদ্ধ, তীব্রগন্ধী, সবুজ-সাদা ছোট ছোট ফুল ফোটে। ফল সজোড়, থোকায় থোকায় ঝুলে থাকে। আদি আবাস ভারত, চীন ও মালয়েশিয়া। macrophylla জাতের ছোট ছাতিম বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জন্মে। ফুল সাদা ও আকারে কিছুটা বড়। কাঠ সাধারণ আসবাবে ব্যবহার্য এবং উৎকৃষ্ট জ্বালানি। এ গাছের সংস্কৃত নাম সপ্তপর্ণী।
স্থানীয় অন্যান্য নাম:ছাতিয়ান, ছাইত্তান, বৈজ্ঞানিক নাম: Alstonia scholaris, ফুল ফোটার মৌসুম: শরৎ-হেমন্ত, পরিবার: Apocynaceae, জন্মস্থান: ভারত, চীন ও মালয়েশিয়া
গ্রামে মেলার সময় ছাতিমতলায় এসে আস্তানা গাড়ত মুনি-ঋষিরা। বৈষ্ণব বৈষ্ণবীরা একতারা নিযে গানের আসর বসাত। কেউ আবার জপতপ করত। ছাতিম গাছের ঘন পাতার জন্য রাতের বেলায় গা ছমছম করা ভাবও আসত। গ্রামের কুসংস্কারমনা লোকজন ছাতিম গাছকে নিয়ে নানা ধরনের ভূতের গল্প ফেঁদে বসত। যে কারণে বাংলার অনেক লোকজ ছড়ায় বলা হত- ‘শ্যাওড়া গাছে পেত্নি ঠাসা ছাতিম গাছে ভূতের বাসা’ । এই গাছের ইংরেজী নাম এ কারণেই বুঝি হয়েছে ‘ডেভিল ট্রি। ছাতিমের বৈজ্ঞানিক নাম এলস্টনিয়া স্কলারিস (alstonia scholaris)। স্কলারিস শব্দটির সঙ্গে বিদ্যা অর্থাৎ লেখাপড়ার যোগ আছে। এ ধরনের নামকরণের কারণ ছাতিমের নরম কাঠ থেকে পেনসিল ও স্লেট তৈরি হয়। ছাতিমগাছের আরও নানা ধরনের উপকারিতার কথা জানা যায়।
নজরকাড়া রূপ না থাকলেও ছাতিম বুনো গন্ধের জন্য আমার বড় প্রিয়।
১৫ থেকে ২০ মিটার উঁচু, চিরসবুজ দুধকষভরা সুশ্রী গাছ। পাতা প্রায় ১৮ সেমি লম্বা, মসৃণ, উপর উজ্জ্বল সবুজ, নিচ সাদাটে। শরতের শেষে সারা গাছ ভরে গুচ্ছবদ্ধ, তীব্রগন্ধী, সবুজ-সাদা ছোট ছোট ফুল ফোটে। ফল সজোড়, থোকায় থোকায় ঝুলে থাকে। আদি আবাস ভারত, চীন ও মালয়েশিয়া। macrophylla জাতের ছোট ছাতিম বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জন্মে। ফুল সাদা ও আকারে কিছুটা বড়। কাঠ সাধারণ আসবাবে ব্যবহার্য এবং উৎকৃষ্ট জ্বালানি। এ গাছের সংস্কৃত নাম সপ্তপর্ণী।
স্থানীয় অন্যান্য নাম:ছাতিয়ান, ছাইত্তান, বৈজ্ঞানিক নাম: Alstonia scholaris, ফুল ফোটার মৌসুম: শরৎ-হেমন্ত, পরিবার: Apocynaceae, জন্মস্থান: ভারত, চীন ও মালয়েশিয়া
গ্রামে মেলার সময় ছাতিমতলায় এসে আস্তানা গাড়ত মুনি-ঋষিরা। বৈষ্ণব বৈষ্ণবীরা একতারা নিযে গানের আসর বসাত। কেউ আবার জপতপ করত। ছাতিম গাছের ঘন পাতার জন্য রাতের বেলায় গা ছমছম করা ভাবও আসত। গ্রামের কুসংস্কারমনা লোকজন ছাতিম গাছকে নিয়ে নানা ধরনের ভূতের গল্প ফেঁদে বসত। যে কারণে বাংলার অনেক লোকজ ছড়ায় বলা হত- ‘শ্যাওড়া গাছে পেত্নি ঠাসা ছাতিম গাছে ভূতের বাসা’ । এই গাছের ইংরেজী নাম এ কারণেই বুঝি হয়েছে ‘ডেভিল ট্রি। ছাতিমের বৈজ্ঞানিক নাম এলস্টনিয়া স্কলারিস (alstonia scholaris)। স্কলারিস শব্দটির সঙ্গে বিদ্যা অর্থাৎ লেখাপড়ার যোগ আছে। এ ধরনের নামকরণের কারণ ছাতিমের নরম কাঠ থেকে পেনসিল ও স্লেট তৈরি হয়। ছাতিমগাছের আরও নানা ধরনের উপকারিতার কথা জানা যায়।
নজরকাড়া রূপ না থাকলেও ছাতিম বুনো গন্ধের জন্য আমার বড় প্রিয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন